আজ থেকে ২৫ বছর আগে ২৬ শে ডিসেম্বর ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্ত হয়ে যায়। ২৫ শে ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মিখাইল গর্বাচভের পদত্যাগের পরে ক্রেমলিনে সোভিয়েত পতাকা নামিয়ে রাশিয়ার পতাকা উত্তোলন করা হয়।
টিভিতে গর্বাচভের বিদায়ী বক্তব্য দেখার সুযোগ আমার হয়েছিল লেনিনগ্রাদে বসে। সচরাচরের মতই টেবিলে পানির গ্লাস রাখা ছিল কিন্তু তাতে কোন পানি দেয়া হয়নি। বক্তব্য শেষ করে গর্বাচভ পানি পান করতে যেয়ে তাতে পানি না পেয়ে তার যে মুখের অভিব্যক্তি হয়েছিল তা আজও চোখে ভাসে।
সোভিয়েত ইউনিয়নের টিকে থাকা ছিল রিপাবলিক গুলোর নেতাদের স্বার্থের পরিপন্থী। তারা চাইছিলেন তাদের নিজের নিজের দেশে “জার” হতে। গর্বাচভ এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন থাকলে তা সম্ভব ছিলনা। সবচাইতে বেশী সমস্যা ছিল রাশিয়ার ইয়েল্ৎসিনের । তাই প্রায় প্রতিটি রিপাবলিক একে একে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা ঘোষনা করে।
ডিসেম্বরের ১ তারিখে ২য় বৃহৎ রিপাবলিক ইউক্রেন স্বাধীনতা ঘোষনা করলে সোভিয়েত ইউনিয়নের টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
৮ই ডিসেম্বর ইয়েল্ৎসিন, ইউক্রেনের ক্রাভচুক এবং বেলারুশিয়ার শুশকেভিচ বেলারুশিয়ার “বেলাভেঝস্কায়া পুস্যা” নামক এক নির্জন অরণ্য নিবাসে গোপনে মিলিত হয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তি ঘোষনা করে ,যা ছিল অবৈধ কিন্তু গর্বাচভ এবং সোভিয়েত সরকারের তখন পায়ের নীচে মাটি ছিলনা এবং এর বিরুদ্ধে কিছুই কিছুই করার ছিলোনা।
সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তির মাধ্যমে পৃথিবী একক পরাশক্তির অধীনে চলে আসে।
কিন্তু শত্রু ছাড়া পুঁজিবাদ এবং সাম্রাজ্যবাদ বাচঁতে পারেনা। তাই যেই শক্তিগুলো এতকাল ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে লড়াইতে আমেরিকার বন্ধু হঠাৎ করে তারা শত্রুতে পরিনত হয়। শুরু হয় যুদ্ধ এবং সন্ত্রাস, দেশে দেশে।