নরওয়ে থেকে:-
দেশের ইজ্জত এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার তাগিদে এবং রহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে , প্রয়োজনে বাংলাদেশ মায়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষনা করতে পারে। বৎসরের পর বৎসর ধরে রহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের স্থিতিশীল সমাজ ব্যবস্তা ও সার্বভৌমত্বের উপর চরম হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে… যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান দরকার। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতায়, অথবা জাতিসংঘের মাধ্যমে কিংবা বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোর সহায়তায় কূটনীতিক উপায়ে সমস্যা সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা যেতে পারে … যদি না হয় তবে এ ব্যাপারে যে দেশগুলো আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারে তাদের নিয়ে সমস্যা সমাধানের লক্ষে যা প্রয়োজন বাংলাদেশের তাই করা উচিত। মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুতে মিয়ানমার আমাদের জন্য সবচেয়ে বড়ো হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ হুমকি মোকাবেলায় সবাইকে ঐকবদ্ধ হতে হবে এবং দেশের জনগণকে সরকারের সাথে এক যুগে কাজ করতে হবে। তবে জেনে রাখা ভালো, দু দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধলে দেশের পার্বত্য অঞ্চল , কক্সবাজার, চট্টগ্রাম সহ দেশের অন্নান্য অনেক জেলাও কয়েক বৎসরের জন্য সরাসরি আক্রান্ত হতে পারে এবং এতে করে চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক কার্যক্রম বাধা গ্রস্ত হবে যা দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে বিরাট প্রভাব ফেলবে। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমেই বিশেষ করে দেশের বেশিরভাগ আমদানি রপ্তানি নিয়ন্ত্রিত হয় এবং চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সবচে বড় মজুদ কেন্দ্র ও সেনা প্রশিক্ষণের জন্য বিশাল কেন্টনমেন্ট রয়েছে। মিয়ামনমার সেনাবাহিনী প্রথমেই চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ও চট্টগ্রামে অবস্থিত কেন্টনমেন্টের উপর হামলা করবে যা সামাল দেবার মতো ও নিরাপদ রাখার মতো সামর্থ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর থাকা দরকার। যুদ্ধ বাঁধলে নিজেদের কি পরিমান ক্ষয় ক্ষতি হতে পারে এবং তা নিয়ন্ত্রণে আমাদের সক্ষমতা কতটুক আছে তা নির্ণয় করে তবেই যুদ্ধে নামতে হবে। না হয় সমাধান তো হবেই না , তার উপর অনেক কিছু খুয়াতে হবে। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরের পর থেকে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের যে অপরূপ পতাকা আমরা পেয়েছি, বিশ্বের বুকে তা উঁচিয়ে ধরা ও তার সম্মান রাখার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকার, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশের আপামর জনতার।