নরওয়ে থেকে:-
বেলা শেষে সব পাখি নীড়ে ফিরে।
রাত বেড়ে এলে চোখে নেমে আসে রাজ্যের ঘুম।
হিমেল বাতাসে কুয়াশায় ঢাকা শীতের রাত, ,
সুরমার জলেভেজা সিলেটের রাত।
চারিপাশ জুড়ে নিস্তব্দতার বুকঘেঁষে কনকনে ঠান্ডা,,
রাস্তার ওপারে শেয়াল কুকুরের বিরামহীন বাকযুদ্ধ,
মাঝরাত পর্যন্ত্য অজানা কোনো এক পাখির মনখারাপ করে দেওয়া হৃদয়হীন বিশ্রী কুহু ডাক। আমার চোখ জুড়ে ঘুম নেই শুধু!!
কেন জানি মনে পড়ে চিরচেনা সেই মুখ, সেই চোখ—
হারিয়ে গিয়েও না হারানো বনলতার কথা !!
হাজার বছরের তৃষার রাতও ভোর হয়,,
নাটোরের বনলতার স্বপ্নও তখন ভেস্তে যায় জীবনের ব্যস্ততায়,,
জানালা ভেদ করে আসে আলোকরশ্মির তীব্রতা।দূর আকাশে ডানার রৌদ্রের গন্ধও মুছে ফেলে অচেনা কোনো এক চিল।
মোহময়ী বনুবিলের জলে তবুও কোনো এক সাদা বক এক পায়ে ঠায় দঁ।ড়িয়ে রয় শিকারের অপেক্ষায়।
আমি বসে আছি ওপারে, দূর এক রূপবতীদেশে বাংলাকে ভালোবেসে।
বেলাশেষে জানি একদিন ফেরা হবে ঘরে,,
শেষ হতে হতে আবার শুরু হবে নতুন কোনো এক স্বপ্ন।
সেই সদানন্দ, সেই আতহারিয়া স্কুল , মদন মোহন, মুরারিচাঁদ কলেজের সিঁড়ি ডিঙিয়ে হয়তোবা অনেকেই আসবে ক্রিস্টিয়ানস্যান্ডে।
আমি শুধু ফিরে যাবো মায়ের কাছে।
শীতের রাত,, বোয়াল মাছের পেটি ভাজা আর আলুর ঝোলে মাখানো হলদে হয়ে যাওয়া সেই সাদা ভাত, বড়ো ভাইয়ের সেই চোখ রাংগানো, বোনজামাই ও বোনদের ভালোবাসা, গ্রামের রাস্তায় হারিয়ে যাওয়া আমার সেই বনলতার গল্প নতুন করে সবই শুরু হবে আবার।
বেলা শেষে সব পাখি নীড়ে ফেরে।
আমিও ফিরে যাবো রূপবতীদেশে /////////বাংলাকে ভালোবেসে।