প্যারিস থেকে:-
গতকাল আমার কিছু কাগজ নিয়ে অনুবাদকের কাছে গিয়েছিলাম। ( প্রিফেকচারের নতুন নিয়মের কাগজ ) বিকাল তিনটায় ভদ্রলোক আসবেন বিকাল পাঁচটায়। আমি পাঁচটায় গিয়ে বসে ছিলাম ভদ্রলোক আসলেন ছয়টা পনর মিনিটে।
আমার টিকেট নং ছিল তিন নং আমি অপেক্ষামান ১নং ভদ্রমহিলার কাজ চলছে। এর মধ্যে কয়েকজন এসে উসখুস করছেন কেন দেরি তাড়াতাড়ি চলে যেতে চান সবাই।
কিছু লোক সবসময় তাহাদের চিন্তা থাকে নিয়মকানুন কিছু মানতে চান না তাহারা। যখন আমার কাজের সময় আসলো তখন আমি অনুবাদক বাংলায় বলছেন আর আমি লিখছিলাম। তখনই পিছনদিক থেকে একজন ভাই আমাদের দুইজনকে বোঝাতে চান তিনি বিষয়টি ভালো জানেন।
আমি ইশারাদ্বারা থামতে বলায় উনি কিছুটা বিরক্ত হলেন। পরে আমি আমার কাজ শেষে অন্যজন কে বলি আমাদের আসল সমস্যা হলো যেখানে ধৈর্য্য দরে বসলে নিজেদের জীবনের উন্নতি হবে রুটি রোজগার এর একটা ভালো উপায় হবে। সেখানে বেশ কিছু মানুষ চরম অধৈর্য হয়ে যান।
বেশির ভাগ মানুষকে দেখেছি বিভিন্ন অফিসের অফিসারদের কাজে দেরী হলে বিরক্ত প্রকাশ করেন। অথচ গার দু নদ অথবা অন্যান্য যায়গায় ঘন্টার পর ঘন্টা বসে আড্ডা দিতে দেখা যায়।
আরও বড় যে সমস্যা সেটি হলো নিজের মন্দ নিজে ডেকে নিয়ে আসা যেমন প্রিফেকচার অফিস গেলে পেটের ভিতরে গোপনীয় যতো কথা আছে একজন আরেকজনকে বলছেন এইরকম কথা। আমি লন্ডন ছিলাম এখানে বলেছি আমি বাংলাদেশ থেকে সড়ক পথে ইতালী হয়ে প্যারিসে এসেছি।
দেশে রাজনীতিবিদ্ ছিলাম না কিন্তু এখানে বলেছি আমি রাজনীতিবিদ্ এইসব আলোচনা থেকে বেরোনো আমাদের জন্যা অতি জরুরী। বিশেষ করে এইসব সরকারী অফিসে এইসব কথা বলা যাবে না। PRÉFECTURE Assurance Maladies CAF OFII আমাদের কথাবার্তায়, আরও সতর্ক হতে হবে।
[asa]1259094278[/asa]