ক্রিস্তিয়ান্সান্দ, নরওয়ে থকে:-
শুভেচ্ছা সবাইকে , কেমন আছেন? শুভ সকাল।
আমার আজকের লেখার নায়ক, উদ্যমী, পরিশ্রমী, তরুণ উদীয়মান বাংলাদেশী মুজিবুর মোহাম্মেদ ইসলাম।
তরুণ মুজিবের জন্ম ১৯৮৯ সালে সিলেট জেলার , বিশ্বনাথ থানার , রামপাশা উনিয়নের , দুহাল গ্রামে।ছোটবেলা তেখেই মুজিব খুবই চঞ্চল , পরিশ্রমী এবং উদ্যমী একজন ছেলে হিসাবে তার নিজ এলাকায় পরিচিত ছিল।
২০০৩ সালে ১৪ বত্সর বয়সে মুজিবের নরওয়েতে আসা। পড়ালেখা , কর্ম জীবনের ওনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে বর্তমানে মুজিবের ব্যবসাহিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্টিত করার ইচ্ছা।
Norway আসবার পর পরই মুজিবের স্কুল জীবনের শুরু। এখানকার হাই স্কুলে ইন্ডাষ্ট্রিয়াল মেকানিক হিসাবে ২ বত্সর পড়া লেখা করবার পর নিজ ইচ্ছায় মুজিব পড়া লেখা ছেড়ে দেয়। কিন্তু আজও মুজিব মনে করে যে তার সে পড়া লেখা না করবার সিধান্ত টা ছিল খুব বড় একটা ভুল। কিন্তু আজ আর সেখানে ফিরে যাবার পথ নেই। সেটা অতীত হয়ে গেছে। জীবন থেমে থাকেনা, জীবন কখনোও কারো জন্য থেমে থাকেনি। পড়া লেখা বন্ধ করবার পর মুজিব চাচার সাথে কর্ম জীবনে ঝাপিয়া পড়ে। চাচার দোকান নদাল্যান্ড কাবাব এন্ড পিজ্জা সপ , রোসা পান্থার সপ, অস্কার সপে বিগত ৮ বত্সর কাজ করবার পর , ইন্টারন্যাশনাল ফুড চেন ম্যাক ডোনাল্ড এ বিগত ৫ বত্সর , টিম লিডার হিসাবে সম্মানের সাথে কাজ করে মুজিব। বর্তমানে ব্যবসায়ী হবার ইচ্ছায় বিভোর মুজিবর মোহাম্মেদ ইসলামের আগামীর দিন নিয়ে অনেক সপ্ন ।
এই ২৭ বত্সর বয়সে মুজিবের অর্জন কম নয়। এই তরুণ বয়সে মুজিবুরের গর্ব করার মত অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা, নিজের বাসস্থান । আছে নিজের মা বাবা, ভাই বোন দের প্রতি অগাধ ভালোবসা এবং অবদান। এই কম বয়সী মুজিব নিজে দায়িত্ব নিয়ে বড় ভাই, বড় ৩ বোনদের বিবাহের কাজ সম্পন্ন করেছে, নিজের আরেক ভাইকে দেশে ব্যাবসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আরেক ভাইকেও ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে।নিজ গ্রাম দুহাল এবং আশ পাশের এলাকার মানুষের জন্য ও মুজিবের অনেক অবদান আছে। মুজিব তার নিজ গ্রামের গৃহহীন গ্রামবাসীর পাশে দাড়িয়ে সকলকে বিভিন্ন ভাবে সহয়োগিতা করেন। মুজিব নিজ অর্থায়োনে ২ টি নলকূপ স্থাপন করে দেয়. তার গ্রামবাসীর সুবিধার জন্য। মুজিবের অনেক ভালবাসা আর অনেক স্বপ্ন তার নিজের গ্রামের জন্য। সব সময় গ্রামবাসীর বিপদের দিনে তাদের পাশে দাড়িয়েছেন এই তরুন । এই মুজিবের দেশপ্রেম আমাদের সবার মনকে নাড়া দেয়। এত কম বয়সে কতজন বাংলাদেশী তরুনের এত উদ্দম এবং কর্ম পরিকল্পনা আপনারা দেখেছেন ? মুজিব শুধু তার নিজ গ্রামের জন্য গর্ব নয়। মুজিব আমাদের সবার জন্য গর্ব বটে।
বর্তমানে মুজিবের একটাই স্বপ্ন, নিজেকে ব্যাবসায় হিসাবে প্রতিষ্টিত করা। তার সপ্ন ক্রিস্তিয়ান্সান্দ এর মাটিতে নিজেকে একজন সফল ব্যাবসায়ী হিসাবে প্রতিষ্টিত করা। মুজিব নিজের সাফল্যকে নিজের পরিবার পরিজনদের সাথে সাথে দেশ ও দেশের মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিতে চায়। আমরা মুজিবের মত তরুণ , উদ্যমী , সপ্নের ফেরিওয়ালা ছেলেদের জন্য গর্বিত. আমরা সব সময় দোয়া করি মুজিব তার লক্ষ্যে যেন অটুট থাকে, নিজেকে সম্মানিত ব্যাবসায়ী হিসাবে ক্রিস্তিয়ান্সান্দ নরওয়ে এর মাটিতে প্রতিষ্টিত করতে পারে। প্রবাসে আমাদের মুখ উজ্জল করতে পারে।
প্রিয় মুজিবুর মোহাম্মেদ ইসলামের জন্য বাংলাদেশী কমিউনিটি ইন ক্রিস্তিয়ান্সান্দ এর পক্ষ্য থেকে অনেক অনেক শুভো কামনা রইলো। আমরা সবাই আশা করি আমাদের প্রিয় মুজিব যেন অনেক অনেক বড় হয়। নরওয়ে তে বাংলাদেশী কমিউনিটি এবং দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনে।
সবাইকে ধন্যবাদ
Regards from
Ahmed Shador Shorif,
Chairman, Bangladeshi community in Kristiansand.
|