শুভংকর !
এতটা বেখেয়ালী হও কেন বল তো
কয়েকটা সপ্তাহ কাটাতে হল
কি এক অজানা আশংকা নিয়ে।
আমার চাওয়া কি খুব বেশি কিছু?
প্রতি সপ্তাহে মাত্র তো একটা চিঠি।
তাতে থাকবে গোটা গোটা অক্ষরে
তোমার কথা, তোমার হাসি আনন্দ স্বপ্ন।
আর সেখান থেকে আমি খুঁজে নেব
আমার আকাশ, বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠ
অথবা কলকল করে বয়ে যাওয়া
স্রোতস্বিনী নদীর গতিপথ।
সেদিন যখন নীল ডোরা শাড়িটা পরলাম
মনে হচ্ছিল তুমি খুব কাছ থেকে
আমাকে দেখছো আর বলছো—
নীলা তোমার কপালে আজ নীল টিপ
না দিয়ে কাল টিপ পড়িয়ে দেই!
আমি কেন প্রশ্ন করতেই বললে-
আমার নীলায় যেন অন্য কারো
নজর না লাগে।
আমি রাগী চোখে তোমার দিকে তাকাতেই
তুমি প্রান খোলা হাসিতে ভাসালে
আকাশ বাতাস
আর আমি খুঁজে পেলাম এক উচ্ছ্বল
প্রানবন্ত মানুষকে
যার হাত ধরে পাড়ি দেয়া যায়
হাজার থেকে হাজার ক্রোশ।
শুভংকর তুমি কি সত্যিই দেখতে পাও আমাকে
শুনতে পাও আমার না বলা কথা !
আমার চোখের তারায়
এখনো কি খোঁজ তোমার স্বপ্ন
পাহাড়, নদী, আকাশের নীল, সমুদ্রের উদারতা!
কোনো বৈশাখী ঝড়ের বিকেলে
ডানাভাঙ্গা পাখি দেখে এখনও কি কাঁদ !
সবাই তখন ঘরে ফেরে
তুমি কি ছোটো ঝড়ের বিপরীতে !
অথবা ঘুমের ঘোরে পৌঁছে যাও স্বর্গের সোপানে !
জানতে ইচ্ছে করে
বড্ড জানতে ইচ্ছে করে !!