মাথার পরে আকাশটা একই আছে
তবে গুরুভার তেমন আর কিছু নেই
শূণ্যতা, কিছু অনাবাদি আর্তনাদ খেলে যায় মুক্তাঙ্গন হৃদয়ে
স্বপ্ন ভাঙার চেয়ে স্বপ্নহীনতাই ঢেড় ভালো জীবনের উষরতায়
যাবতীয় সৎকারের জন্যে জ্বালা ধরায় শান্তনার যে কোন বাণী!
পৃথিবীর ফুসফুসে এখন জলাতঙ্কের ছাপ,
তার মজ্জায় ক্যান্সারের মতো আধিপত্যবাদের বিস্ফোরণ
কোন এক ডিগ্রীধারী যুবকের বেকারত্বের বয়স তাকে অতিক্রম করে—
গ্রাস করে নেয় বোধ ব্যাসার্ধের সব অলিগলি পথ
দাঙ্গা বাঁধিয়ে পড়শী মাবুদ মিয়ার ছেলে—
মঙ্গল গ্রহে আত্মহত্যার খোয়াবে এখন মশগুল!
এক প্রস্থ ঝাঁঝালো রোদের বিতৃষ্ণা—
আমি তোকে বোঝাতে পারিনি কোনদিন
পৃথিবীর যজ্ঞে—
মোড়কে বন্দী করে রাখি একাকীত্বের নিখাদ আলিঙ্গন
দৃষ্টিকে খুঁজে পেতে পেঁচার নিষ্ঠায় প্রতীক্ষায় থাকি দিগন্ত প্রসারী আঁধারের!
কিছুটা রপ্ত করা, কিছুটা ধাঁধার গল্প, এই ই তো এক জীবনের সারৎসার
বৃক্ষের উপশিরায় ঘনায়িত অস্থিরতার পরিমিতি জানেনি কেউ কোনদিন
বিবর্ণতা শুধু কি সময়েরই ক্ষয়!?
যে আসে সে তো চলে যায় একদিন, যাবেই—
যা সৃষ্টি হয় তা ভেঙে পড়ে, পড়বেই নিশ্চয়
তবে কেন এই আকুলতা!?
কেন এই নিনাদ হৃদয়ের ঘনঘোরে?
এই কুষ্ঠিতে হিসেবের কোন খাতা তো ছিলোনা কোনদিন
তবু আজ খুঁজতে বসেছি তা
ভেঙে পড়া আয়নায় বিবমিষা জাগানো—
হাজার টুকরো এই নিজের মুখোমুখি দাঁড়াই
এক ভুলের সমুদ্র জলোচ্ছ্বাস হয়ে আসুক—
আসুক– আসুক—
আমি তবু অরক্ষিতই রাখবো আজন্ম পিপাসিত তীর!
আকাশও জানতে পারেনি কোনদিন হৃদয়ের ব্যাপ্তি— নীলিমা!!