চোখের আলসেমি কাটতে না কাটতেই পাশে হাত বাড়িয়ে দেখি কেউ নাই। আড়মোড়া ভেঙে রোজ উঠতে এখন ভালোই লাগে। ভালো লাগাটা অনুভব করতে করতেই মনে হলো এবার উঠে পড়াটাই ভালো। উঠে হাত মুখ ধোয়ার জন্য তৈরি হতেই কল খুলে দেখি পানি নাই।বারে এবার কি হবে?
এই শুনো, কলে না পানি নাই —
সব কল দেখে বোঝা গেলো আজ মরুভূমি তে যাপন করবো। চারিদিকের এলোমেলো, পানির শূন্যতা আর আমার অপেক্ষা।
পতিদেবতা চলে গেলেন অফিসে। আর আমি বারান্দায় বসে চা পান করি আর অপেক্ষা করি।
কিন্তু ভালো লাগার কোন কমতি নাই। এটাকেও মজা করছি।
চারিদেকে অন্ধকার করে মেঘে ঢেকে যাচ্ছে আকাশ। বৃষ্টি টুপ করে নামবে। সকাল গড়িয়ে দুপুর হতে চললো রান্নার কোন গরজ এখনও নাই।
হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলো। বাইরে বৃষ্টির পানি আর ঘরে কোন পানি নাই।
তারপরও ভালো লাগা আর এ ভালো লাগা থেকেই অপেক্ষা।
চোখ জুড়ে তৃপ্তি নিচ্ছি, মেঘালয় এর মেঘবতী।

মনের অজান্তেই গুন গুন করে উঠি,

“বরিষ-ধরা মাঝে শান্তির বারি
শুষ্ক- হ্রদয় লয়ে আছে দাঁড়াইয়ে
উর্দ্ধ মুখে নর-নারী।।
না থাকে অন্ধকার, না থাকে মোহ-পাপ
না থাকে শোক- পরিতাপ।।।
হ্রদয় বিমল হোক, প্রাণ সবল হোক
বিঘ্ন দাও অপসারি।।।।

নীলিকা নীলাচল *****

 

 

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন