ছয় ঋতুর দেশ ছেড়ে চার ঋতুর দেশে বসবাস করতে এসে নিজেকে মাঝে মাঝে ফটিক এর মতো মনে হয়। আরে হ্যাঁ, রবি ঠাকুরের সেই ফটিক চক্রবর্তী । রবি ঠাকুর বলেছিলেন, বারো তের বছরের মতো বালাই আর নেই, উনি আরো একটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলেন যে, পঞ্চাশ-পঞ্চান্ন বছরের মানুষ সবচেয়ে বড় বালাই। শোভাও নেই , আবার ফুরিয়েও যায়নি । আর সে যদি ঘাড় ত্যাড়া টাইপের হয় তাহলে তো কথাই নাই।
গিন্নির বাণী চিরন্তনী এরূপ ছিলো,,, ,
“আমি বলে তোমার মত ত্যাড়া লোকের ঘর সংসার করে গেলাম, আর কেউ করবে না। বেহেস্তের সত্তরটা হুর, সত্তর দিনও থাকবে না। শেষ পর্যন্ত আমিই তোমার শেষ ভরসা।
– আচ্ছা বেহেস্তে কি তালগাছ থাকবে?
* তালগাছ কি করবা?
– তোমাকে তালের রস খাওয়ায়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখে পরকীয়া করবো।
ইহকালে তো পারলাম না, পরকালে একটা শান্তশিষ্ট ভদ্রলোক দেখে পরকীয়া করবো। তার হাত ধরে মনের সুখে বেহেস্তময় ঘুরে বেড়াবো”। পরকীয়া প্রেম নাকি খুব সুমধুর হয়, একবার করে দেখার খুব সখ”!!!!
এখানে প্রায়ই বৃষ্টি হচ্ছে, সেই সাথে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টি দেখে আষাঢ় শ্রাবণকে মনে পড়লো।
সামান্য প্রাণী জোক, তার বত্রিশটা মস্তিষ্ক, অথচ মানুষের একটা!! আমারও একটা থাকার কথা কিন্তু পিতামাতা শিক্ষক সবাই বলেছে খুপড়িটা শুধুই গোবর ভরা, ওখানে মস্তিষ্ক বলে কিছু নেই। তাই হয়তো এটা বাংলা কি মাস মনে করতে পারছিলাম না। খোঁজ নিয়ে জানলাম এটা আষাঢ় মাস। মনটা দুলে উঠলো।
আহ্ বরষা!!!
——
” সারাটা দিন বৃষ্টি পড়ে আজ,
আকাশে মেঘ, নদীতে কারুকাজ।
বৃষ্টি যেন খাঁসিয়া মেয়ের চুল,
হয়েছে ছুটি মিশনারী স্কুল।
সকাল থেকেই- উথাল পাতাল হাওয়া,
মেঘনা পা’রে হয়নি তবু যাওয়া।
বৃষ্টি যেন অন্ধ মেয়ের হাসি,
ইচ্ছে করে আবার ফিরে আসি।
বৃষ্টি ভেজা উদাসী ঝাউবন,
একলা ঘরে-কেমন করে মন।
(——-মহাদেব সাহা)