টরন্টোতে nofrills এ সাধারণত প্রতি বৃহস্পতি বার sale শুরু হয়। এই সময় বিশেষ কিছু নিত্তপ্রয়োজনীও জিনিসের দাম কমানো হয়। বিশেষ ফ্লায়ারের মাধ্যমে খবরটি পৌঁছে দেয়া হয় কাস্টোমারদের কাছে।
প্রতি বৃহস্পতি বার আমরাও এই ফ্লায়ারটা পাই। এইবার সেলে আসছে Tilda বাসমতী রাইস। দাম ৯.৮৭ ডলার । যেকোনো কারনেই হোকনা কেন এই চালটা অত্যান্ত জনপ্রিয় সাউথ ইস্ট এশিয়ান কমুনিটির মধ্যে। তাইতো কেউ একজন খবর পেলে সাথে সাথে ফোন করে পরিচিত জনকে খবরটা পৌঁছে দেন।
আমি ভোজন বিলাসী নই। আমি বাঁচার জন্য খাই , খাবার জন্য বাঁচি না। তাই এই ব্যাপারটায় আমার খুব একটা মাথা ব্যাথা নাই। কিন্তু আমার গিন্নীর কিছুটা আছে , তাই খবরটা তাকে জানবার পর আমার দায়িত্বটা শেষ হলো মনে করে ছিলাম।
পরের দিন সন্ধ্যায় বন্ধুর ফোন :nofrills এ , Tilda সেলে আছে
বললাম : আপাতত আমাদের দরকার নাই।
পরের দিন সকালে এক নিকট আত্মীয়র ম্যাসেছ:- দাদা nofrills এ , Tilda সেলে আছে
বললাম : আপাতত আমাদের দরকার নাই।
দুপরে দেশ থেকে আগত এক আত্মীয়র সাথে খেতে বসেছি, আবারো সেই একই ফোন : ভাই , nofrills এ , Tilda সেলে আছে
সবিনয়ে বললাম : ভাই আপাতত আমার “টিলডার” দরকার নাই। কারণ গত সপ্তাহে আমাদের ব্লগের বর্ষপূর্তি অনুষ্টানের জন্য টিলডা কিনেছিলাম। তাতেই কাজ চলে গেছে।
এতক্ষনে আমার মেহমান মুখ খুললেন : ” আপনাদের এখানে ডালডা কি খুব জনপ্রিয় ?”
প্রশ্নটা শুনে প্রথমে একটু হোঁচট খেলাম , কারণ আমাদের ঘরে ডালডায় রান্নার কোনো প্রচলন নাই।
পাল্টা প্রশ্ন করলাম : কেন খাবারে কি ডালডার গন্ধ আসছে?
ভদ্রলোক বললেন : না , না . … খাবারে ডালডার কোনো গন্ধ নাই। কিন্তু আজ ২/৩ দিন সবাই ফোন করে ডালডা সেলের খবর দিচ্ছেতো , তাই ভাবলাম।
লে হালুয়া , কি উত্তর দিবো বুঝতে পারছিলাম না , হাসতেও পারছিনা , পাছে অমন্ত্রিত অতিথি আবার কিছু মনে করেন।
নিজেকে অনেকটা গম্ভীর করার চেষ্টা করে উত্তর দিলাম : না ভাই , ওটা ডালডা নয় টিলডা, আমাদের এখানের একটা অতি জনপ্রিয় পোলাওয়ের চাল।
ভদ্রলোক একটু হালকা হেসে বললেন : ও। তাই নাকি !!!