বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেকে নিয়ে যে যাই বলুক,আমার অভিমত, তার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামে কোনো দেশ পৃথিবীর মানচিত্রে থাকতো কি না সন্দেহ। যুগে যুগে দেশে দেশে অনেক নেতার জন্ম হয়েছে এবং আরও হবে, তবে সবাই সাফল্য আনতে পারে না। দেখুন সুদান,সিরিয়া এবং ফিলিস্তিনে কত সমস্যা, নিত্য কত লোক জীবন দিচ্ছে। আমরা যেখানেই থাকি না কেন, স্বাধীন জাতি হিসেবে পরিচয় দিচ্ছি-আমরা গর্বিত । আমরা মানুষ,বঙ্গবন্ধু ও মানুষ ছিলেন, কেউ ফেরেস্তা নই। বঙ্গবন্ধু আর ফিরে আসবেন না;বঙ্গবন্ধুকে অবজ্ঞা করে তাঁর প্রতি কটূক্তি করা বা এমন কিছু করা বা স্মৃতি ভেঙে ফেলা সঠিক কাজ নয়। এ সব কাজ থেকে আমাদের এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের বিরত থাকা উচিৎ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার অধিকার আপনাদের ও আমাদের সবার আছে ; তবে উশৃঙ্খল জাতি পৃথিবীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না, একে অপরের প্রতি সন্মান, শ্রদ্ধাবোধ রাখুন।
১ ) আজ থেকে ৫৩ বৎসর পূর্বে অর্থাৎ ১৯৭১ সনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে (সরকারি হিসাবে) ) দুই লক্ষ বা তার ও অধিক মুক্তিযোদ্ধা অংশ নিয়েছিল এবং ১০,৭৮৯ জন (রাজাকার) বিহারি,বাঙ্গালী পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়ে পাকিস্তানিদের পক্ষে পূর্ব পাকিস্তানে যুদ্ধের নামে হত্যা ও নির্যাতন চালিয়েছিল ;সে সময় পূর্ব পাকিস্তানের লোকসংখ্যা ছিল ৭৫ মিলিয়ন বা সাড়ে সাত কোটি। রাজাকারের সংখ্যাকে শতকরা হিসাবে আনলে খুবই নগন্য বলে মনে হয়;তবে এটা অস্বীকার করা যায় না, অপরাধ যেই করুক,যত সামান্য সংখ্যাই হোক, শাস্তিযোগ্য। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয়, এই ৫৩ বৎসর পরে ও আমাদের লোকজনের অনেকেই একটু এদিক সেদিক হলেই যাকেতাকে রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দিয়ে থাকে । একটা মজার ব্যাপার হলো এ ধরণের কথা ওরাই বেশি বলে যাদের জন্ম ১৯৭১ সনের পরে । সে সময় মুক্তিযুদ্ধ কেমন ছিল দেখার সৌভাগ্য ওদের হয় নি,শ্রেণীকক্ষে বা পত্র পত্রিকায় পড়েছে,সে ইতিহাস কতখানি সঠিক তাও জানার উপায় নেই বা চেষ্টা করে জানতে চায় না।
২ ) আমি নিরপেক্ষভাবে কথা বলতে পারি তার কারণ ব্যক্তিগত ভাবে কোনো রাজনীতির সঙ্গে কোনোদিনই জড়িত ছিলাম না বা এ ধরণের কোনো চিন্তা ও করিনি। আমাদের সময়ে ঢাকা শহরে যে সব রাজনৈতিক সভা হতো তার অধিকাংশ গুলিতে সময় বা সুযোগ পেলে উপস্থিত থাকতাম। আমি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর জনসভা (যদিও লোক বেশি উপস্থিত হতো না ) উপস্থিত থাকতাম। আমাদের এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের যেন নেয়া উচিৎ মাওলানা ভাসানীর নিঃস্বার্থ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি;তিনি কোনোদিন নিজ বা পরিবারের স্বার্থের জন্য রাজনীতি করেন নি। অতি স্বাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষ এবং একজন বড়মাপের রাজনীতিবিদ।
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ভারত বিভাগের সময় আসাম, বাংলার জাতীয়তাবাদ প্রচার করেন। তিনি পুরা আসামকে পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত করার প্রচারণা চালানোর জন্য ও সময় ব্রিটিশ সরকার গ্রেফতার ও বন্দি করে রাখেন । তবে তাঁর বলিষ্ঠ পদক্ষেপের জন্য – ১৯৪৭ সালের গণভোটে, সিলেটকে পাকিস্তান জাতীয় প্রকল্পের অংশ হতে বেছে নিয়েছিল। এই নিঃস্বার্থপরায়ণ মহান নেতাকে আমরা কতখানি স্বরণ করি ?
তিনি ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের খাদ্যের দাবিতে অনশন ধর্মঘটে নেতৃত্ব দেন। তাঁর ধর্মঘটের স্থান মতিঝিল আমার অফিস থেকে কয়েক মিনিট হাঁটার পথ,আমি তাঁকে প্রায়ই দেখতেযেতাম। তাঁকে দেখলেই কেন জানি আমার চোখ জ্বলে সিক্ত হয়ে উঠতো। কয়েক মিনিট দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে হোটেল পূর্বাণীর পাশ ঘেসে চলে আসার সময় কিছু চিহ্নমূল হাড্ডিসার মহিলা ও ছেলেমেয়েদের ডাস্টবিন থেকে ময়লা যুক্ত উচ্ছিষ্ট খাবার তুলে খেতে ও দেখেছি। স্টেডিয়ামের দক্ষিন পাশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পার হতে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের লাশ টানার গাড়ি এবং সড়কের দুপাশে হাড্ডিসার চিহ্নমূল লোকদের দেখে দুঃখ ভরা মন নিয়ে কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থাকতাম, এটাই আমার অফিস আসা-যাওয়ার পথ।
বঙ্গবন্ধুর রেসকোর্স ময়দানের সর্ব শেষ মিটিং এ লক্ষ লক্ষ লোকের সঙ্গে আমি ও উপস্থিত ছিলাম। বঙ্গবন্ধু তাঁর বক্তৃতায় যা বলেছিলেন তাঁর সংক্ষেপ ” তোমরা আমাকে বল বঙ্গবন্ধু,জাতির পিতা,এই যে রিলিফের মালামাল উধাও হচ্ছে,বাজারে কিছু পাওয়া যাচ্ছে না,এ সব করা করছে ? তোমরাতো আমারই লোক; এখন লাল ঘোড়া দাবড়িয়ে দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই “। হেনরি কিসিঞ্জার সে সময় বাংলাদেশকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন ” Bangladesh isa bottomless busket বাংলাদেশ একটি তলাবিহীন বাস্কেট”। যদিও বঙ্গবন্ধু কিসিঞ্জার এর এই বক্তব্যের জোরালো ভাষায় প্রতিবাদ করেছিলেন । কিন্তু এই যে দুর্নীতি, বঙ্গবন্ধু যদিও স্বয়ং এর প্রতিবাদ করেছিলেন, আমরা তো সেই দুর্নাম থেকে আজ ও মুক্ত হতে পারি নি , গত ৫৩ বৎসরে আমাদের চরিত্রের কি কোনো পরিবর্তন হয়েছে ?
৩ ) তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশে সরকারের মধ্যে জবাবদিহিতার অভাব থাকায় সীমাহীন দুর্নীতি দেখা যায়। দেশের দুর্বল প্রশাসন, প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী বা প্রশাসনে নিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ শক্তহাতে কাজ না করে, নিজেদের আইনের উর্দ্ধে মনে করে, যে জন্য দুর্নীতি হ্রাস করা সম্ভব হয় না।
উদাহরণ স্বরূপ : আমি এক সময় কানাডায় একটি সংস্থায় কাজ করতাম , আমারই এক সহকর্মী গল্প করতে গিয়ে বলেছিলো ,তার বাবা এক সময় ফিলিপিন্স ফার্ডিনান্ড মার্কস এর মন্ত্রীসভায় মন্ত্রী হিসাবে কাজ করত। তারা চার ভাইবোন সবাইকেই তাদের বাবা অনেক অর্থ দিয়ে আমেরিকা ও কানাডায় স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ করে করে দিয়েছে। একদিন আমি উৎসুক হয়ে বললাম, মন্ত্রিত্ব ছাড়া তোমার বাবা বা তোমাদের ফিলিপাইনে কি ধরণের ব্যবসা ছিল ? সে বলে কৃষি- ধান ও তামাক উৎপাদন । আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে ভাবলাম, এতো অবিশ্বাস্য কথা যার সঙ্গে কোনো মিল নেই।
১৯৭২ সালে মার্কোস ফিলিপাইনে সামরিক আইন জারি করেন। কমিউনিস্ট ও নাশকতাবাদী শক্তি এই সংকটকে ত্বরান্বিত করেছে বলে ধরে নিয়ে তিনি দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছিলেন; বিরোধী রাজনীতিবিদদের কারাগারে পাঠানো হয় এবং সশস্ত্র বাহিনী শাসকগোষ্ঠীর একটি বাহু হয়ে ওঠে। ফার্দিনান্দ মার্কোস ২২ বৎসর ফিলিপাইন শাসন করেন। তার রাষ্ট্রপতি কর্তৃত্ববাদী ক্ষমতা, দুর্নীতি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের দ্বারা চিহ্নিত ছিল। মার্কোস দেশে আর্থিক সংকট রেখে ফিলিপাইন ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন এবং আমেরিকার হাওয়াই দ্বীপে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন । কথিত আছে যে তাঁর স্ত্রী ফার্স্ট লেডি ইমেলদা মার্কোসের তিন হাজার জোড়া জুতা ছিল। তার ওয়ারড্রোবে ১৫টি মিঙ্ক কোট, ৫০৮টি গাউন, ৮৮৮টি হ্যান্ডব্যাগ এবং একটি বুলেটপ্রুফ ব্রা ও ছিল। মার্কোস সরকারী তহবিল ব্যবহার করে ” স্বল্প সময়ের মধ্যে” অনেক জাঁকজমকপূর্ণ স্থাপত্য প্রকল্প নির্মাণের নাম করে বহু অর্থ আত্ত্বসাৎ করেন।তিনি এবং স্ত্রী জনগণের কাছ থেকে কোটি কোটি পেসো চুরি করেছিলেন,১৯৮৬ সালে তাদের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার সময় আনুমানিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যক্তিগত তহবিলে বিদেশে পাচার করেন
৪ ) এক সময় বলা হতো বাংলাদেশ দুই পারিবারিক রাজনীতির ঘেরাটোপে আবদ্ধ, বঙ্গবন্ধু পরিবার ও জিয়া পরিবার -এই দুই পরিবার দেশের ভালোমন্দ বুঝে এবং বাকিরা এদের লেজুড় ধরা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।একটা মজার কথা :,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমান, এই দুইজনের কে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক, এর সমাধান আজ ও হয় নি। দেশের এক ধরণের মানুষ স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বাচ্চার মতো ঝগড়া করে। বর্তমানে ও আমরা দেখি এক পরিবার সদস্যরা দেশের নব অভ্যুত্থানের ফলে ভারত ও অন্যান্য দেশে অবস্থান নিয়েছে , অপর দল প্রধান পূর্ব থেকেই লন্ডনে বাস করেন। যদি ধরে নেয়া হয় বর্তমান বা অদূর ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষমতায় আসে , সে ক্ষেত্রে তারেক রহমান লন্ডন থেকে এসে দেশ পরিচালনা করবেন । আবার কোনো কারণে যদি পা পিছলে যায়,সে ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু পরিবার ভারত ও অন্য্ দেশ থেকে এসে দেশ পরিচালনার দায়িত্ত্ব নেবে,এ অসম্ভব কিছু না । দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে দায়িত্ত্ব নেয়ার মতো আর কোনো নেতা বা নেত্রী তৈরী হয় নি। হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ সেনাবাহিনী থেকে অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতা নিয়ে আলাদা দল করলে ও এই দল জনগণের আস্তা ধরে রাখতে পারেন নি। পাকিস্তানে ভুট্টো পরিবার, ভারতে নেহেরু পরিবার এবং বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু ও জিয়া পরিবার, এটাই এ অঞ্চলে রীতি হিসাবে চলে আসছে।।
৫ ) কি হিন্দু ,কি মুসলিম, কি বৌদ্ধ সবাই মিলে পারিবারিক রাজনীতির ঘেরাটোপ থেকে বের হয়ে আসা উচিৎ । তৃতীয় বিশ্বের দেশে যেমন লিবিয়া, সিরিয়া ও আরও অনেক দেশেই পারিবারিক লোভ লালসার মাধ্যমে অরাজকতা সৃষ্টি করে,জনগণকে সীমাহীন দুঃখ দুর্দশার মধ্যে ফেলেছে । সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট নেলসন মেন্ডেলা একনাগাড়ে ২৭ বৎসর কারাগারে ছিলেন। এই নেলসন মেন্ডেলা দেশকে ব্রিটিশ (সাদা)উপনিবেশ এর কবল থেকে মুক্ত করে মাত্র এক মেয়াদে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবেও পরিচিত ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। নেলসন মেন্ডেলা দ্বিতীয়বার নির্বাচন করতে যায় নি এবং তার পরিবার থেকে কাউকে আজ পর্যন্ত নির্বাচন করতে শুনি নি । তাঁর মৃত্যুতে বিশ্বের অনেক বরেণ্য ব্যক্তি- জাতিসংঘের মহাসচিব, ইউরোপীয় কাউন্সিল ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী শেষকৃত্যে অংশ নেন।নেলসন মেন্ডেলের স্মৃতি কানাডায় ও আমরা দেখতে পাই , এখানে ও ওর বন্ধি, রাজনৈতিক নিয়ে আলোকপাত হয়।
৬ ) কানাডা বা আমেরিকায় চাকুরীজীবি,ব্যবসায়ী বা অন্য্ পেশার যে কোনো লোক যে কোনো সময় নির্বাচনে অংশ নিয়ে থাকে। যে সব লোক নির্বাচনে যেতে চায়,এলাকাতে প্রচুর সামাজিক কাজ করে পরিচিত হয়। মূলতঃ এই নির্বাচন সবাই চাকুরী হিসাবে নিয়ে থাকে, পরাজিত হলে অন্য্ চাকুরী বা ব্যবসা করে জীবন নির্বাহ করে।আমাদে দেশে রাজনীতিতে যারা যায় তারা ওটাকে জীবনের অবলম্বন হিসাবে ধরে রাখে এবং মনেপ্রাণে তারা রাজনীতিবিদ ; ও দিয়ে পরিবার, ছেলেমেয়েকে দাঁড় করাতে হবে, এমন একটা মনোভাব নিয়ে থাকে । চাকুরীর জন্য দরখাস্ত দিয়ে সর্বত্র কি কৃতকার্য হওয়া যায় ? পাশ না করলেই লাঠালাঠি শুরু হয়ে যায়,মনে করে সে সমুদ্রে পরে গেছে, ওখান থেকে আর উঠার সম্ভবনা নেই, এই মনোবৃত্তি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
সব পার্টিতে কিছু সংখ্যক ভালো, উপযুক্ত লোক রয়েছে ; বিশেষ করে নতুন সৎসাহসী লোকদের যদি সুযোগ দেয়া হয়, ওরা ভালোভাবে দেশ পরিচালনা করতে পারবে। প্রথম বিশ্বের যথা পাশ্চাত্য দেশগুলিতে এ ধরণের নিয়ম রয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা দেখা যায় না। আমাদের ডলি বেগম তার প্রমান, উনি তিন টার্ম অন্টারিও প্রদেশের সংসদ সদস্য হয়েছেন । ইউরোপ এবং আমেরিকার রাজনীতির দিকে তাকালে আমরা এর প্রমান পেতে পারি। কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জনসমর্থন একদম তলায় গিয়ে ঠেকেছে। আগামীতে পাশ না করলে কি করবেন ? ভুত পূর্ব প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপার হেরে গিয়ে একদম চুপচাপ, মনে হয় না যে পরাজিত হয়ে সাগরে ভাসতেছে।মিস্টার ট্রুডো গত ৯ বৎসর (তিন মেয়াদ ) এ দেশের প্রধান মন্ত্রী ; তাঁর বাবা পিয়ের এলিয়ট ট্রুডো অনেকদিন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন যখন তাঁর ছেলে জাস্টিন ট্রুডো স্কুল ছাত্র। সে বাবার পরিচয়ে নয়,বরং নিজের যোগ্যতা দিয়ে দেশ পরিচালনা করেন । এ সব দেশ রাজনীতিকে চাকুরী মনে করে,নির্বাচনে না পারলে অন্য্ কিছু ব্যবসা বা কাজ করে রোজগার করে। আমাদের দেশে সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতি , একজন মন্ত্রীর বাড়ি সব সময় লোকে লোকারণ্য থাকে, এ দেশে কোনো মন্ত্রীর বাড়ি বা অফিসে কোনো লোক তদবিরের জন্য কদাচিৎ যায়।
সমাপ্ত