পৃথিবীর কয়েকটি  ব্যতীত, বাকি দেশগুলিতে  আংশিক গণতন্ত্র : যেমন   রাজতন্ত্র  , আধা- গণতন্ত্র, লোক দেখানো -গণতন্ত্র বা স্বৈরাচারী  শাসন ব্যাবস্থা দিয়ে দেশ  পরিচালনা করে।

পুঁজিবাদী ও  কম্যুনিজম  বা সোশালিজম, এই  ধরণের নীতিমালা নিয়ে পৃথিবীর দেশগুলি রাষ্ট্র পরিচালনা করে :

পুঁজিবাদ, যাকে মুক্ত বাজার অর্থনীতি বা মুক্ত এন্টারপ্রাইজ অর্থনীতিও বলা হয় । পুঁজিবাদ অর্থনৈতিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায়, দেশের বাণিজ্য শিল্প, রাষ্ট্রের পরিবর্তে লাভের জন্য বেসরকারী মালিকদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় ; সরকার লভ্যাংশের উপর ট্যাক্স আদায় করে।   আজকাল পৃথিবীর সব দেশেই পুঁজিবাদীরা একচেটিয়া ক্ষমতাবান। পুঁজিবাদ অর্থনীতিতে মূলধনের ব্যক্তিগত মালিকানা সংস্থাগুলিকে পণ্য এবং শ্রম বাজারে একচেটিয়া ক্ষমতা অর্জন করতে সক্ষম করে। ক্ষমতা সম্পন্ন সংস্থাগুলি শ্রমিকদের কম মজুরি দিয়ে  নিজেরা রাতারাতি বড়োলোক হয়।  এই পুঁজিবাদীর মাধ্যমে গরিব এবং ধনীর মধ্যে বৈষম্য, সামাজিক বিভাজন সৃষ্টি করে। ধনীদের প্রচুর অর্থ সম্পত্তি, অথচ দরিদ্র অনাহারে, অর্ধাহারে কোনোরকমে বেঁচে থাকে।  এই যে ধনী দরিদ্রের ব্যাবধান ,  যুগ যুগ চলে আসছে বিভিন্ন দেশে, কেউ আশ্রয়হীন, কেউ প্রাচুর্যের মধ্যে,  কেউ রাস্তায়, কেউ বস্তিতে এবং ভালোভাবে  দুইবেলা রুটি রোজগারের ব্যবস্থা নেই। পুঁজিবাদ অর্থনীতিতে গরিব – ধনী , শ্রমিক- মালিক বৈষম্য  অনেক বেশি যা কম্যুনিজম বা সোশালিজমে দেখা যায় না।  তবে পুঁজিবাদ অর্থনীতিতে জনগণের স্বাধীনতা বেশি, নিজেরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। পুঁজিবাদী দেশগুলিতে যত বেশি মুক্ত  অর্থনীতি  থাকবে, ততই  আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত বাজার গড়ে তুলতে স্বক্ষম হবে। 

পুঁজিবাদ অন্যান্য সমৃদ্ধ দেশগুলির সাথে শক্তিশালী বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা, উদ্ভাবন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ককে উৎসাহিত  করে।  

পক্ষান্তরে, কমিউনিজম শ্রেণীভেদ  বিভাজনের বিরোধিতা করে, যেহেতু এটি শ্রেণীহীন সমাজের প্রচার করে, সুতরাং, ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। পুঁজিবাদের মধ্যে  গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা রয়েছে,বিপরীতে, সমাজতন্ত্রে মানুষ মেশিনের মতো কাজ করে রাষ্ট্রের জন্য ।  সমাজতন্ত্রে রাষ্ট্রই সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে, জনগণকে তার যোগ্যতা অনুযায়ী নিজেদের পাওনা দিয়ে থাকে । তবে ভালোর দিক হলো,সমাজতন্ত্রে কেউ খাবে ,কেউ খাবে না, এ ধরণের নীতি চলে না।  সবাই সুযোগ সুবিধা ভোগ করে।   ।     

চীন, ভিয়েতনাম, কিউবা, নর্থ কোরিয়া আরো ও কয়েকটি দেশ যারা সমাজতন্ত্র লালন করে, অনেকেই    সমর্থন করে না   সমাজতন্ত্র, কমিউনিজম বা মার্কসবাদ সবাই জানে যে এগুলো ব্যর্থ রাজনৈতিক ধারণা, শক্তিশালী পুঁজিবাদ এবং আইনের ভাল শাসন যার  সাথে মিলিত হয়ে  দীর্ঘ পথ যেতে পারে।

সারা পৃথিবীর ১৮/১৯ টি, যেমন,ইংল্যান্ড,নরওয়ে,কানাডা,আইস্ল্যাণ্ড এবং আরো ও কিছু দেশে পুরাপুরি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা মেনে চলে।  বাকি সব  দেশের সরকার নিজেদের সুবিধার জন্য রাজতন্ত্র,এক নায়কত্ব স্বৈরাচারী বা নামে মাত্র গণতন্ত্র দিয়ে চালায়।   

গণতন্ত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : এটি দেশের মানুষকে মুক্ত চিন্তা বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দেয় এটি দেশের বিভিন্ন সমস্যাদি নিয়ে   আলোচনা এবং বিতর্কের জন্যও অনুমতি দেয়, যা আরও ভাল নীতিগুলির দিকে পরিচালিত করে। উপরন্তু, গণতন্ত্র শান্তিপূর্ণ পরিবর্তনের অনুমতি দেয়, যা অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য।

উদাহরণ স্বরূপ  :  বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি :   আক্রমণ,পাল্টা আক্রমণ, বাকবিতন্ডা, শহর,গ্রাম, গরম হাওয়া,গরম খবর সবারই জানা আছে । এখনোও ইলেক্শনের এক বৎসর বাকি ; অবস্থা দেখে মনে হয় ইলেকশন বেশি দূরে নয়।   জিল্লুর রহমান সাহেবের উপস্থাপনায় দেশের  অন্যতম প্রচার মাধ্যম টেলিভশন (channeli )” তৃতীয়মাত্রাঅত্যন্ত জনপ্রিয় প্রোগ্রাম, এতে দেশের   বিশিষ্ট নেতৃস্থানীয়, সিনিয়র অবসর নেয়া কর্মকর্তাদের  অভিজ্ঞতার আলোকে দেশের অতীত,বর্তমান ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি নিয়ে মূল্যবান পরিবেশনা সবাই শুনে থাকবেন। পক্ষ, প্রতিপক্ষ দেশের উন্নতি নিয়ে আলোচনা,সমালোচনা,সরকারের ত্রুটিবিচ্যুতি ধরিয়ে দেবেএটাই গণতন্ত্রের নিয়ম।  এদের মুক্ত চিন্তাভাবনাকে নিয়ে সরকার দেশ পরিচালনা করলে, হয়তো বর্তমান অবস্থার আরো উন্নতি হবে, এটা অনেক চিন্তাবিদদের অভিমত।  

আমাদের বাঙ্গালীরা পাকিস্তানি স্বৈরাচারীদের তাড়িয়ে দিয়ে  একটা স্বাধীন দেশ গড়েছে, এটা  অত্যন্ত গর্বের কথা। দেশ বিভিন্ন বাধাবিপত্তি  অতিক্রম করে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে , এটা জনগণের আশাআকাঙ্খা    

পৃথিবীতে অনেক দেশ আছে,  সরকার মুখে গণতন্ত্র বললে কাজে কর্মে গণতন্ত্রের ধারেকাছে না   এর অনেক কারণ: উন্নয়নশীল দেশগুলিতে   নিজেদের অর্থনৈতিক সামাজিক সমস্যা রয়েছে, দরিদ্র অবকাঠামো এবং অপেক্ষাকৃত কম শিক্ষিত জনসংখ্যা।  নেতা ব্যক্তিদের দ্বারা গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি হয়তো  সম্মিলিতভাবে গ্রহণ করা হয়, আর্থিক সঙ্গতির কারণে বাস্তবায়ন সম্ভব হয় না।   দুর্নীতিগ্রস্ত অদূরদর্শী নেতাদের দিয়ে ত্রুটিপূর্ণ শাসন, ভালো ফলাফল  আশা করা যায় না , অবাক হওয়ার কিছু নেই। এই জাতীয় দেশগুলিতে, জনপ্রিয়তার কারণে সেলিব্রিটি নেতা হওয়া স্বত্বে ভালো কিছু আশা করা যায় না।   প্রায়শঃই সরকারের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতার কারণে দুর্নীতিপরায়ণ, স্বার্থপর লোকেরা বিভিন্ন  পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ক্ষমতার অপব্যাবহার করে   ;  উন্নয়নশীল দেশগুলিতে অনেক রাজনীতিবিদকে খুঁজে পাবেন যারা দেশের চেয়ে নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।এরা  বড় বড় সেলিব্রিটি নেতা, কিন্তু  ক্ষমতায় গেলে সচিবালয়ের  উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করে দেশ পরিচালনা করেন।  তাছাড়া নামিদামি ব্যক্তি, ভুয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসে,হাজারো লোকের ভিড়ে মাথা ঠিক রাখাও কঠিন। নেতা দেশের কাজ কখন করবেন, তিনি  তো সকাল বিকাল মানুষের ভিড়ে অস্থির থাকেন। তাছাড়া জমিজমা বিক্রি বা লোন নিয়ে নির্বাচন  করলে শেষে লোন পরিশোধের চিন্তা, পরিবার ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ, দেশের কাজ কখন করবেন?  এটাই হলো আমাদের তৃতীয় বিশ্বের সমস্যা , ত্রুটিপূর্ণ  গণতন্ত্রের স্বরূপ  

 ১৯৫৪  তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান বা তার পরের ইলেকশন এবং আজকালকার ইলেক্শনের ধারা অনেক পরিবর্তন হয়েছে।  সে সময় কেউ লক্ষ বা  কোটি টাকা খরচ করে ইলেকশন করতো না;আজকাল এর রীতিনীতি পরিবর্তন হয়েছে।    

আমরা সকলেই জানি যে গড়পড়তা মানুষের  সাধারণ চিন্তা,  ভালোভাবে  বসবাস করা,  অর্থ রোজগার  , উপভোগ , সঞ্চয়   ইত্যাদি। সুতরাং নিজের চাহিদা মিটিয়ে  বৃহত্তর সমাজের ভাল কিছু করার  বা ভবিষ্যতের কথা খুব কমই চিন্তা করে,  নিজেরা কি ভাবে ভালো থাকবে এবং আরো ও ভালো করবে  এ চিন্তা নিয়ে বাঁচতে চায় ।   

একজন নেতার দায়িত্ত্ব অনেক, আপনার,আমার বা  চারিপাশের লোকের উন্নতির কথা চিন্তা করতে হবে , কঠোর পরিশ্রম করতে হবে নিজের জন্য  এবং  দেশের ভালোর জন্য এবং  দেশের দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থের জন্য, ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আপনার, আমার চারিদিকের সমাজকে লালন করতে হবে যে ভাবে আপনি আমি শিশুকে লালন করি।  তবেই একটি সুশীল সমাজ গড়ে উঠবে। কিন্তু ধরণের চিন্তা ভাবনা কতজনের রয়েছে ?

১৯৬০ সালের জুলাই স্বাধীনতা লাভের পর থেকে সোমালিয়া গৃহযুদ্ধ, গোষ্ঠী সংঘর্ষ, বিচ্ছিন্নতা এবং আলশাবাবের মুখোমুখি হয়েছে।গত ৬১ বৎসরে দেশে স্থায়ী সরকার বা গণতন্ত্র আসে নি।   ১৯৬৯ সালে ৬৪টি দল মিলে  নির্বাচনে যাবে বলে আশা ব্যাক্ত করলে সম্ভব হয় নি।   একটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে, দীর্ঘ বছরের একনায়কতন্ত্র, এমনকি দীর্ঘ বছর ধরে চলা বেসামরিক সংঘাতের পর, দেশটি গোষ্ঠী মিলিশিয়া, জলদস্যু দল এবং ইসলামী চরমপন্থীদের দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে । দেশে আজ বিভিন্ন গোষ্ঠী মিলিশিয়া, জলদস্যু দল এবং ইসলামী চরমপন্থীদের চরম উত্তেজনার মধ্যে রয়েছে।  যারা সরকারি  দলের সমর্থনে, তাদের সুযোগ সুবিধা রয়েছে  , অন্যদের দুবেলা রুটি  মিলাতে কষ্ট হয়।

 এই কানাডায় বহু সোমালিয়ান শিক্ষিত নামিদামি লোকের দেখা  পাওয়া যায়। অনেকে সরকারি,আধাসরকারি, বেসরকারি  প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল কলেজ বা ইউনিভার্সিটি, সর্বত্রই ওদের দেখা যায়।  সাদা, কালো বিভিন্ন রং বেরংয়ের লোকের সঙ্গে প্রতিযোগিতা দিয়ে ওরা কঠোর পরিশ্রম করে বেঁচে আছে।   

মিস্টার আহমেদ হোসেন একজন নামিদামি কানাডা সরকারের ফেডারেল মিনিস্টার যিনি (গত বৎসর) ২০১৭ থেকে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।  উনি গত ১৯৯৩, ১৬ বৎসর বয়েসে সোমালিয়া থেকে দেশে রেফিউজি হিসেবে এসেছেন।  এখানে ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রী নিয়ে একজন দক্ষ্য রাজনীতিবিদ হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন। দেশে সরকার, কেউ সেলিব্রিটি পারসন খুঁজে বেড়ায় না , কাজের লোক খুঁজে বেড়ায়। মিস্টার আহমেদ হোসেন দেশে থাকলে কি করতে পারতেন বলতে পারি না ; হয়তো অন্য সব রেফুজিদের স্রোতে ভেসে যেতেন, দেশে পরিশ্রম করে অনেক সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।  

সাংবিধানিকভাবে সোমালি আরবি হচ্ছে সোমালিয়ার দুটি দাপ্তরিক ভাষা। দেশের ছোটছোট ছেলেমেয়েরা ভালো আরবি বলতে পারে।  ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানোর পূর্বে আমাদের দেশের মতো গ্রামের মক্তবে আরবি শিখানো হয় এবং ছেলেমেয়েরা /১০ বৎসরের মধ্যে কোরান মুখস্ত করে ফেলে।  আমরা কানাডার মসজিদে অনেক সময় সোমালি ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের মুখস্ত কোরান শুনে আশ্চর্য্য বোধ করি।  

সোমালিয়া সুফী এবং সুন্নি মুসলমান দেশ ;স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই আভ্যন্তরীন  সমস্যাযেখানে রয়েছে সুফী সালাফি (সুন্নি) মুসলিম।  আলশাবাব (গেরিলা ) যারা দেশে কোরান ভিত্তিক হুদুদ শরিয়া আইন স্থাপন করতে চায়। সন্ত্রাসীদের অভিমত:  মহিলাদের স্কুল,কলেজ পড়াশুনা করানো কোরান ভিত্তিক নয়;  কোরান ভিত্তিক  হুদুদ আইন মোতাবেক দেশ পরিচালনার পক্ষপাতি; আল-শাবাব ইসলামের সৌদি-অনুপ্রাণিত ওয়াহাবি সংস্করণকে সমর্থন করে ।এটি তার নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় শারিয়ার কঠোর সংস্করণ আরোপ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ব্যভিচারের অভিযোগে অভিযুক্ত মহিলাদের পাথর মেরে হত্যা করা এবং চোরদের হাত কেটে ফেলা। সন্ত্রাসীদের অত্যাচার ও  জীবনের ভয়ে হাজার হাজার লোক  বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে।  

আজকের দুনিয়া ছোট হয়ে এসেছে, দেয়া গ্রহণ (give  and  take )নীতির অবলম্বন করে সবাই চলে , কারোও সঙ্গে বৈরী ভাব নিয়ে বেশি দূর এগোনো যায় না।  নিজেদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সুহার্দ নীতি নিয়ে চলতে  হয় , বৈরীভাব নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে বেশিদূর এগোনো যায় না।  

সোমালিয়ায় স্কুলের বইপত্র   শিক্ষাগত সম্পদের অভাবের একটি প্রধান কারণ হল  গৃহযুদ্ধ। এটি সরাসরি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করেছে , যার ফলে অনেক শিক্ষার্থী শ্রেণীকক্ষ থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে উপরন্তু, অন্যান্য দেশের তুলনায়, সোমালিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সর্বনিম্ন তালিকাভুক্তির হার রয়েছে। প্রাথমিক স্কুলবয়সী শিশুরা সোমালিয়ার জনসংখ্যার প্রায় . মিলিয়ন। কিন্তু মাত্র ৪২ শতাংশ স্কুলে যায়, বাকি ছেলেমেয়েরা বাস্তুচ্যুত বা স্কুলে পড়াশুনার সুযোগ পায় না।   

১৯৬০ থেকে আজ পর্যন্ত দেশে স্থায়ী কোনো জনগণের সরকার আসতে পারে নি।   কারণ গুলির মধ্যে স্তিথিশীল সরকারের  অভাব, বিভিন্ন গ্রুপ কেউ কাউকে মান্য করে না।  আল- শাবাব, আরোও অন্যান্য গ্রুপ দেশে ত্রাসের সৃষ্টি করে রেখেছে।  এই সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য সারা পৃথিবীতে দেশটির  সুনাম সুখ্যাতি নষ্ট হচ্ছে এবং উন্নত দেশগুলি এ দেশে কোনোরকম বিনিয়োগ  করতে সাহস পাচ্ছে  না।   শরণার্থী দিনের পর দিন না খেয়ে বর্ডার অতিক্রম করে কেনিয়া অন্যান্য দেশে আশ্রয় নিয়েছে।  অনেক শরণার্থী মাইলের পর মাইল হেঁটে  রুটির জন্য কাকুতি মিনতি করে।  

সমাপ্ত

 

পূর্ববর্তী নিবন্ধতৃতীয় বিশ্বের গণতন্ত্রের রূপ-পর্ব ২
পরবর্তী নিবন্ধকেবলই আত্মিক
নজরুল ইসলাম
নজরুল ইসলাম - জন্ম:- ১৯৪৮ সাল । এনায়েতপুর, কচুয়া, চাঁদপুর, বাংলাদেশ। শিক্ষা:- এম, কম ( ব্যাবস্থাপনা ), ঢাকা ইউনিভার্সিটি। এম, এ (অর্থনীতি ) জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি। চাকুরী জীবন:-ইসলামাবাদ, পাকিস্তান,বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া,আমেরিকা ও কানাডা। বর্তমানে :- অবসর জীবন- কানাডাতে। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখির শুরু। প্রকাশিত বই:-আমার সংগ্রামী জীবন,সাদা ঘোড়া,জীবন চক্র,শুচিতা ও জীবনের মুখোমুখি।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন