বরাবরের মতো আবারো বলছি। আপনি যদি প্রফেশনাল ক্যারিয়ার এর খোঁজে থাকেন তাহলে আপনার বেক্তিগত উপস্থিতির সাথে সাথে আপনার social mediaর উপস্থিতিও প্রফেশনাল-লুকিং করুন। Trust me, it matters. যতদূর সম্ভব আপনি আপনার সঠিক পরিচয় দিন। একটি বেঠিক উচ্চ মানের পরিচয়ের থেকে একটি অতি সাধারণ কিন্তু সঠিক পরিচয় অনেক ভার বহন করে।
আর আপনি যখন কাউকে frined request পাঠান, নিশ্চয় আপনি কোনো না কোনো কারণে সেটি পাঠাচ্ছেন তাই অন্তত ২/৪টি শব্দে হলেও তাকে আপনার খুবই সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিয়ে কারণটি জানান।
যেমন ধরুন আপনি চাকরিস্থলে, ক্যাম্পাসে অথবা কোনো এক সোশ্যাল gatheringএ কোনো একজনের সাথে পরিচিত হতে বা বন্ধুত্ব করতে আগ্রহী। সে ক্ষেত্রে আপনি নিশ্চয় হে, হাই, হেলো, কি খবর, উত্তর দেন, কি ভাই, কি আপা স্রেফ এই জাতীয় সম্মোধন করবেন না কারণ আপনি লোকটিকে চিনেন না তাই আপনার প্রথম এক্সপ্রেশনটা যাতে আপনার আসল ব্যক্তিত্বকে উপস্থাপন করে সেদিকে খেয়াল রাখেন। ঠিক সোশ্যাল মিডিয়াতেও আপনার প্রথম উপস্থাপনটা সেরকম হতে হবে। এই প্র্যাক্টিস কিন্তু আপনাকে জীবনে অনেক help করতে পারে।
আমি বেশ কয়েকটি মৌখিক ইন্টারভিইতে থাকার সময় দেখেছি আমাদের অনেক সাউথ এশিয়ান ক্যান্ডিডেট Tell me about yourself প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে হয় রচনা বলতে শুরু করে অথবা থতমত খেয়ে গলা দিয়ে যেন শব্দ বের হতে চায় না।
এই ধরণের সমস্যা আমাদের অনেকেরই কমবেশি থাকে। অন্তত আমার নিজের ছিল, কিন্তু কথা হলো সেই সমস্যাকে সমস্যা মনে করে তার প্রতিকারের চেষ্টা করে। দুঃখজনক হলেও সত্য, অনেকেই আছেন সে বিষয়ে কোনো পাত্তা দেননা এবং দীর্ঘদিন যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ভালো কোনো প্রফেশনাল চাকরি পান না। ব্যতিক্রম হয়তো আছে তবে খুবই অল্প।
আপনি যদি প্রফেশনাল চাকরি খুঁজে না থাকেন অথবা অলরেডি ভালো চাকরি করছেন বা চাকরির দরকার নেই তাহলে এই বিষয়ে খুব একটা নজর না দিলেও চলবে। আপনি সঠিক বেঠিক যেটা ইচ্ছা সেরকম FB নাম ব্যবহার করুন, যা ইচ্ছা তাই পোস্ট করুন। দিলের খবর, আমি দিওয়ানা, ডেকো না আমায়, বেকার ছেলে, খবর আছে ইত্যাদি যেই নাম ইচ্ছা সেই নাম রাখুন, কোনো সমস্যা নেই।
কথাগুলো এই কারণে বললাম যে, আজকে আমাদের এক পার্টনার এজেন্সিতে একটি মিটিংয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে ব্রেক টাইমে একজন HR সহকারী এবং একজন hiaring ম্যানেজার এর সাথে আলাপ হস্ছিলো, তখন কথার মধ্যে এই জাতিও আলাপ হস্ছিলো।
অনেকের দামি বাড়ি এবং দামি গাড়িতে গেলেও ঢুকতে মন চায় না, আবার অনেক সস্তা বাড়ি বা গাড়ি আছে যেখানে দেখলেই ভিতরে যেতে ইচ্ছা করে। নির্ভর করে কে কতটা পরিপাটি করে রেখেছেন।
তাই আসুন আমরা নিজেকে এবং আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ার উপস্থিতিটাও যেন কিছুটা হলেও পরিপাটি করে রাখি। এতে অর্থের প্রয়জন নেই, শুধু মানসিকতার প্রয়োজন আছে।