নরওয়ে থেকে:-
জীবন বিপর্যস্ত হতে হতে একেবারে তলায় নেমে গেলেও থামবেন না। যারা থেমে যায় তারাই হেরে যায়। শত প্রতিকূলতার মাঝেও যারা সামনে এগিয়ে যায়, তারাই কোনো একদিন আলোকিত হয়, অন্যদের আলোকিত করে।
একটাই জীবন, এখানে, অনুশোচনা করা, ভেঙে পড়া আর সামনে এগোনোর চেষ্টা না করেই হাল ছেড়ে দিয়ে থেমে যাওয়ার কোনো মানে হয়না। পৃথিবীটা নিষ্ঠূর, এখানে বসবাসকারী প্রাণীরাও নিষ্ঠূর, আপনি ভেঙে পড়ে থেমে গেলে হাত বাড়িয়ে টেনে তুলার কেউ নেই , সবাই যে যার মতো করে নিজের জীবন নিয়ে ব্যস্ত ,, ছোট বেলায় আপনার মা বাবা হয়তোবা ভালোবেসে আপনাকে লালন পালন করছেন, তবে যে দিন পড়েছে ! বুড়ো হলে আপনার ছেলেমেয়ে যে আপনাকে দেখাশুনা করবে এর কোনো গ্যারান্টি নেই। আর তাই যতদিন বাঁচেন, নিজেকে টেনে নিয়ে যান, নিজের শারীরিক শক্তি , নিজের মেধা আর নিজের ভালোভাবে বেঁচে থাকার স্পৃহা নিয়ে সুন্দরভাবে বেচেঁ থাকুন। নরওয়ে অনেক ধনী একটা দেশ, তবে কাজ না করলে এদেশেও খাবার জুটেনা, থাকবার জন্য সুন্দর একটা রোম জুটেনা, শীত নিবারণের জন্য ভালো একটা শীত বস্ত্র জুটেনা, রাস্তায় হেটে গেলে পরিচিতজনেরাও কথা বলতে চায়না, তাই নরওয়েতে থেকেও সামান্য ভালোভাবে বাঁচার জন্য আমরা দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করি আর পরিশ্রম করি বলেই আমরা ভালো থাকি। জীবনে ভালোভাবে বেঁচে থাকবার জন্য সুশিক্ষা আর কঠোর পরিশ্রম কোনো বিকল্প নাই। যারা নিজেদের অপ্রাপ্তির জন্য সারাদিন অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ান তাদের পক্ষে কোনোদিন ভালোভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব না।
আমার অন্য পাশে দাঁড়ানো পুরান ঢাকার জলিল ভাইকে দেখতে পাচ্ছেন ?? ওর মতো পরিশ্রমী হোন, বয়স কম থাকতেই ওর মতো অনেক বড়ো পয়সাওয়ালা হোন এবং সুখী সুন্দর জীবন যাপন করুন।