দরজা দিয়ে ঢুকেই আস্তে কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি এবং সংক্ষেপ করে বললো স্লামালেকুম। আমি বিদেশিনীর মুখে সালাম শুনে কিছুটা অবাক হয়ে মুখ তুলে তাকাতে ভদ্রমহিলা একটু নার্ভাস হয়ে প্রায় ফিসফিসিয়ে অনেক কিছু একসাথে হড়বড় করে বলে ফেললো, দু:খিত যদি তুমি এটা (ইসলাম) ফলো না করো, তোমার নাম দেখে মনে হয়েছিল যে তুমি বোধহয় মুসলমান, আমি কোনভাবেই তোমাকে বিরক্ত করতে চাইনি ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি সালামের জবাব দিয়ে হেসে জিজ্ঞেস করলাম, আসসালামু আলাইকুমের অর্থ জানো ?
জানব না কেন, আমার হাসব্যান্ড পাকিস্তানী, আমার ৫ বছরের মেয়ে ইসলামিক স্কুলে পড়াসুনা করে। আমার চারপাশে সবাই মোটামুটি ইসলাম প্র্যাকটিস করে, শুধু আমি অনেক পিছনে পড়ে আছি। মনে হয় অনেক লম্বা জার্নি করতে হবে আমাকে। তবে আমার মনে হয় আমি একদিন ঠিকই পারবো ইনশা’ল্লাহ। আমার খুব ভাল লাগে আমার মেয়ের ইসলাম প্র্যাকটিস। বলতে লজ্জা নাই, আমি আমার মেয়ের কাছ থেকে অনেক লেসন নেই এ বিষয়ে।
বল্লাম, এরপর থেকে কোন সংকোচ ছাড়া, সবাই শুনতে পায় এরকম জোরে সালাম দেবে, আর আমি এবং আমার স্ত্রী তোমার জন্য দোয়া করবো যাতে আল্লাহ তোমার জার্নী অনেক সহজ করে দেন।
আমাদের ডিপার্টমেন্টের খন্ডকালীন শিক্ষক, খুব সম্ভবত ইটালিয়ান বংশোদ্ভুত এই মহিলার সাথে তেমন কোনো যোগাযোগ হয় না। মাঝে মাঝে কোনো কোনো সেমিস্টার এ একটা দুইটা ক্লাস নিতে আসে, হলওয়েতে বা অফিস এ দেখা হলে স্পষ্ট করেই সালাম দেয় এখন ।