এখানে এখন শনিবার সকাল, বাংলাদেশে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নেমেছে। মনে করেছিলাম পাঁচদিন পর ছুটি সকালে পড়ে পড়ে ঘুমুবো। ঐ মনে করা পর্যন্তই, সাত সকলে সহপাঠিনী বান্ধবীর কল বেজে উঠলো ভাইবারে।
– কি রে ঘুমুচ্ছিস?
# না, ব্রেক ড্যান্স দিচ্ছি।
– তোরা সব পুরুষ এক,সহজ কথা সহজ করে বলতে পারিস না।
# আচ্ছা সরি, কি বলবি বল।
– শোন, সংসার ত্যাগী হলাম, এই বয়সেও বাপের বাড়ি চলে এলাম। তোর বন্ধুকে বলিস আর ফিরে যাচ্ছি না। এটাই লাস্ট এন্ড ফাইলান।
# হা হা হা, কেন কি হলো আবার?
– আরে সে আমাকে সবসময় Floccinaucinihilipilification করে। এভাবে আর সংসার করা যায় না।
… আমি ঘর কাঁপানো হাসি দিয়ে বললাম, যে ইংরেজি অভিধানের সবচেয়ে বড় শব্দটা ধৈর্য ধরে বলতে পারে, তার জন্য সংসার করা কোন ব্যাপার না। যা বাসায় যা।
হঠাৎ ঠকাস করে শব্দ হয়ে লাইনটা কেটে গেলো। সে রাগে ফোনসেট ছুড়ে ফেললো? না নিজেই পড়ে গেলো বুঝতে পারলাম না।
… রাত একটা থেকে তুষার ঝড় হচ্ছে, ৫/৬ ইঞ্চি বরফে ঢাকা পড়ে গেছে পুরো মিশিগান। শীতমাত্রা ফিল মাইনাস ১৪। বাড়ির হিটার সিস্টেম জানপ্রাণ দিয়ে চেষ্টা করছে আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে।
কম্ফোটারের মধ্যে গুটিশুটি হয়ে শুয়ে শুয়ে ভাবছি,
” সংসার সত্যি এক অদ্ভুত জায়গা”।
যার কোন পূর্ব প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যাবস্থা নেই, তবুও সেখানে প্রতি ক্ষণে ক্ষণে পরীক্ষা, এবং পাশ করা বাধ্যতামূলক।
(ছবি:-সৌজন্যে মিসিগান রেডিও)