প্যরিস থেকে:-
পর্তুগালে অনেক সংখ্যক বাঙালি ভাইয়েরা ইদানিং স্বর্ণকেশী পর্তুগীজ কনে বিয়ে করছেন । এই বিয়ের বিষয়টি পর্তুগাল সরকারী ভাবে রেকর্ড করা হয় আর্থিক রাজস্ব বিভাগ বাঙালি ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে কর আদায় করে আর্থিক ভাবে উপকৃত রাজস্ব বিভাগ উপকৃত। আইনি উপায়ে আমাদের ভাইয়েরা বৈধতা নিতেছেন এটা অত্যন্ত ভালো লক্ষন। আপনাদের জন্যে ছোট একটি ঘটনা বলবো এখন। সিলেটের এক ভাই লণ্ডনে ভিসীট ভিসায় বেড়াতে যায়। ভাইটি আমার ছিল দারুন সুদর্শন তার রুপে মজে যায় এক মহিলা ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার। তিন বৎসর ভালবাসা চলার পরে তাহারা সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার বিয়ের তিনদিন আগে মহিলা ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার জানিয়ে দেন তিনি এ বিয়ে করছেন না। তিনি তার কারণ জানান, তিনি বাঙালিদের ইতিহাস যাহা ব্রিটিস পুলিশ বিভাগে রক্ষিত আছে তাহাতে দেখা যায় বেশির ভাগ বিয়ে করেছেন বাঙালি ছেলেরা বৃটেনে বৈধতা পাওয়ার জন্যে। বৈধতা নেওয়ার পরে ৯০ ভাগ বিয়ে ভেঙে যায়। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই বিয়ে তিনি করবেন না। তাই আমি বলতে চাই পর্তুগালের পুলিশ বিভাগে আপনাদের বিয়ের রেকড যেমন থাকবে তেমনি বিয়ে ভাঙার রেকড ও থাকবে। পরবর্তীতে বৃটেনে যা হয় এখন পর্যন্ত ব্রিটিশ মেয়েরা বাঙালিদের আর বিশ্বাস করেন না। বিশ্বাস ছোট শব্দ কিন্তু এর অর্থ ব্যাপক, বিশ্বাস একবার ভেঙে গেলে তা সহজে আর জোড়া লাগেনা। মানুষ তার সামান্য সুবিধার জন্যে বিশ্বাসঘাতকতা করে। মানুষ একটিবার চিন্তা করেন না নিজেদের বিশ্বাসের মূল্য রাখা কতোটা গুরুত্বপূণ ছিল তার জন্যে। পর্তুগালে বাংলাদেশী ভাইয়েরা যদি বিশ্বাস একবার নষ্ট করেন তাহলে আপনাদের অবস্থা হবে বৃটেনের বাঙালিদের মতো। তাই সাধু সাবধান !!!