অনেক বেশি দূরত্ব বলে আসলে কিছু নেই। একটু একটু দূরত্ব গুলো একসাথে একদিন অনেক বেশি দূরত্ব হয়ে যায়। তীব্র অভিমান বলে কিছু নেই; ছোট ছোট অভিমান গুলো জোট বেঁধে একদিন তীব্রতর হয়ে উঠে।

খুব চেনা মানুষটা হঠাৎ করে একদিন অচেনা হয়ে যায় না; একটু একটু করেই হয়। যখন সমস্যা গুলো ছোট অবস্থায় থাকে তখন সেটাকে সমস্যা বলে মনে হয় না; যখন শিশু সমস্যাটি প্রতিদিন খাদ্য খেতে খেতে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠে তখন আর করার কিছু থাকে না।

একটা নতুন আসবাবপত্র কেনার পর সেখানে প্রতিদিন ধুলাবালি জমতে শুরু করে। সেটা যদি মাঝে মাঝে নেকড়া দিয়ে পরিষ্কার করা না হয় তাহলে একসময় ময়লার স্তুপ জমে এমন অবস্থা হয়; ডলে মুছে ঘসেও সেটা আর পরিষ্কার করা যায় না।

দুটা মানুষ যখন একসাথে থাকতে শুরু করে; প্রতিদিন ছোট ছোট অসংখ্য রাগ ,অভিমান , ভুল বোঝাবুঝি জমতে শুরু করে। সে হয়ত আশা করেছিল তুমি আগে যেভাবে তার ছোট ছোট ব্যাপারে তার খেয়াল রাখতে সেটা সব সময়ের জন্যই থাকবে। সে হয়ত কখনো কোন অভিমানের কথা অভিযোগ করেনি। কিন্তু এইসব বিন্দু বিন্দু দূরত্ব একদিন তোমাকে তার কাছ থেকে অনেক দূরে কোথাও নিয়ে যাবে।

 মানুষের সব চেয়ে বড় ভুল হল মানুষ তার ভুল গুলোকে অভ্যাসে পরিণত করে। তার খেয়াল না রাখা; তাকে রেখেই একা খাবার খাওয়া, মন দিয়ে তার কথা না শোনা সব কেমন স্বাভাবিক জীবনের অংশ হয়ে যায়।

যেখানে কোন ভালোবাসা থাকে না, একজনের প্রতি অন্যজনের মুগ্ধতা থাকে না, আগ্রহ থাকে না। কেবলই নিয়ম রক্ষার জন্য একসাথে থাকা। প্রথম কিছুদিন ভালোবাসার অভিনয় করে একসময় সেটাও আর না করা। বছরের পর বছর অভিনয় করা যায় না। একঘেয়ামি, ক্লান্তি এবং তিক্ততায় জীবন বিষাদময় হয়ে ওঠে। তখন আর করার কিছু থাকে না।

বেশির ভাগ মানুষ একই ছাদের নিচে জীবন কাটিয়ে দেয় নেহাত কিছু প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার জন্য। সম্পর্কের দুটা ভাগ। প্রথমটি রোমাঞ্চকর দ্বিতীয়টি দায়িত্ব পালন। নানান রকমের দায়িত্ব কাঁধে চলে আসে। সে মনে করে এগুলোই সংসার। এগুলোই জীবন এবং এরকম একঘেয়ামি ভালোবাসাটাই হল স্বাভাবিক ভালোবাসা।

 রবীন্দ্রনাথ তার শেষের কবিতায় সম্পর্ককে পানসে না করার অনেক গুলো উপায় দেখিয়েছিলেন। তার একটি ছিল ইচ্ছাকৃত বাঁধা সৃষ্টি। অর্থাৎ তাকে আজ কাছে পাবার সুযোগ থাকলেও কাছে না আসা।

সে তো আমারই, তাকে আমি পেয়ে গেছি ; এইসব ভাবনা তাকে সহজলভ্য করে ফেলে। তার মন জয় করার জন্য তাকে মুগ্ধ করার ইচ্ছে মনে জাগে না। যত দিন যায় সে কেবলই পানসে থেকে পানসে হতে থাকে।

দুঃসময়ের দিন চলে আসার আগেই তাকে একটু সময় দাও। রাগ অভিমান হল কাশির মত। কাশি আটকে রাখতে নেই। ঝেড়ে ফেলে না দিলে সেটা বুকের ভেতরেই বাসা বাঁধবে।।।।।

অনেকদিন পর কিছু একটা লিখলাম। হোক তা না হয় এলোমেলো। হাতটা তো খোলা শুরু হোক আবার।।।

লেখার গভীরত্ব না বুঝে অসুস্থ মষত্বিকের পরিচয় দিয়েন না।।।

সময় :—– বিকাল ৬:৫০

 নীলিকা নীলাচল ***

 

 

 

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন