হেমন্তের কোন এক গোধূলি বেলায়,
হয়তো আবার দেখা হবে
কীর্তিনাশা’র তীরে।
আরে; হেসো না হেসো না তুমি,
ভালবাসা যদি ভালবাসা হয়
বারবার আসে ফিরে।।।।
এমন একটা কবিতা প্রতিটি মানুষ তার জীবনে একবার হলেও লেখে। কেউ কবিতাটি যত্ন করে লুকিয়ে রাখে, কেউ অযত্নে হারিয়ে ফেলে। তবে এক অর্থে হারিয়ে ফেলা ভাল, কারণ লুকিয়ে রাখা সহজ নয়। এ এক দায়, এ এক দ্বায়িত্ব, এ এক কষ্ট।
বাস্তব আর পরাবাস্তব এই দুয়ের মধ্যে আমাদের বসবাস। ভালবাসা, মায়া, মায়ার বাঁধন, এগুলো কি বাস্তব, না পরাবাস্তব?
আমি বিস্মিত হই, আমি পুলকিত হই, যখন আইনস্টাইনের মতো বিজ্ঞানী বলেন,” বাস্তব জগতের পুরোটাই মায়া। একটাই সমস্যা মায়া ধরার কোন পথ নেই “। তিনিও পরাবাস্তবকে উপেক্ষা করতে পারেননি।
” শোয়াচান পাখি আমার, আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছো নাকি “? উকিল মুন্সির এই যে ডাক, সে ডাকের কাছে বাস্তব আর পরাবাস্তব সবই হার মেনে যায়। সকল বাস্তবতাকে হার মানিয়ে সাজু রূপাই এর পথ চেয়ে জীবনপাত করে, কোন নিস্তব্ধ গভীর রাতে ফেরারী রূপাই এর নিঃপ্রাণ দেহ পড়ে থাকে সাজুর কবরের উপর। অজান্তেই চোখে অশ্রু এনে দেয় নকশীকাঁথার মাঠ। অথবা ঐ যে দেব আর পারু, চন্দ্রমুখী ; নৌকাডুবি’র সেই রমেশ হেমামালীনি আর কমলা কিম্বা আরো কতশত।
ও তো গেলো উপন্যাসের কথা, আমাদের পাড়ার যোগেশ’দা আর স্বাতী আপা, কারো কোন আপত্তি ছিলো না, কিন্তু ধর্মে যে মিললো না। আজও তারা ওমনি আছে, বিয়ের পিড়িতে কারোরই আর বসা হলোনা।
সময় বড় ক্ষয়িষ্ণু। ক্ষয় আর লয়ের জীবনে একদিন একে একে সবাই হারিয়ে যায়, পড়ে থাকে স্মৃতি, পড়ে থাকে আকুতি।
……..হয়তো আবার দেখা হবে কীর্তিনাশা’র তীরে।
ছবি:-সৌজন্যে You Tube