সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ট সৃষ্টি মানুষ ,
প্রথম পুরুষ আদম আর পুরুষের প্রয়োজনে নাকি সৃষ্টি করা হয়ে ছিল মা “হাওয়া” কে
আমার কাছে মনে হয় মা “হওয়ার” সৃষ্টি হয়েছিল সন্তানের প্রয়োজনে।
যখন একজন নারীর জন্ম হয়,
সে তখন একজন শিশু।
তারপর শৈশব- কৈশোর- যৌবন পার হয়ে সে পরিণত হয় একজন “নারী ” ।
সৃষ্টির নিয়ম অনুসারে সে খুঁজে নেয় তার জন্য “সৃষ্টি ” হওয়া সেই জীবন সঙ্গীকে. . .
শুরু হয় তার একটা নতুন জীবনের।
একদিন সে খুঁজে পায় তার মধ্যে বেড়ে ওঠা একটা “নতুন প্রাণের ”
বদলে যেতে থাকে তার জীবন ধারা। সে এক নতুন অনোন্দ , একটা মধুর অনুভূতি।
সব কিছুতে একটা বাড়তি সাবধানতা , সতর্কতা। এই ভাবে কাটে যায় নয়টা মাস। একদিন তার হাত ধরে পৃথিবীর মুখ দেখে একটা শিশু।
সেই দিন শুধু একটা শিশুরই জন্ম হয়না , জন্ম হয় একজন “মায়ের” …. নারী পেলো তার শ্রেষ্ট পরিচয় – “মা ”
তারই হাত ধতে ধরে বেড়ে ওঠে একটা ছেলে। পরিচয়ের জন্য ছেলেটার একটা নাম থাকে। যে নামে সবাই তাকে ঢাকে , কিন্তু মার কাছে তার জন্য থাকে অন্য একটি নাম- “খোকা”। শুধু মার “খোকা ” আর কারো নয়।
কাটতে থাকে দিন , মাস , বছর। শৈশব, কৈশোর , যৌবন … একদিন খোকাও বড় হয়ে যায়। কিন্তু আজও মায়ের কাছে সে খোকাই রয়ে যায়।
সময় বয়ে যায়…. ছেলেটি একদিন হয়ে যায় কারো স্বামী, কারো বাবা। কিন্তু আজো মা তাকে ” খোকা ” বলেই ডাকে। যে নারী তার জীবনে আসে সেও হয়তো তাকে অনেক “নতুন” নামে ডাকে। কিন্তু মার কাছে সেই “খোকা ” নামটা কখনই হারিয়ে যায় না। এই ভাবেই চলতে থাকে জীবন …..
সময় আর স্রোত কারো জন্য বসে থাকে না।
তাইতো একদিন সময় আসে চলে যাবার , একদিন সেই মাও পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পাড়ি দেয় পারোপারে। মার সাথে সাথে মৃত্যু হয় একটি নামের -“খোকা ” । সেই নামে আজ আর কেউ তাকে ডাকবে না । সেই দিন মার সাথে সাথে কবর হয় একটি নামের -“খোকা”।
একটি কবরে দুটি লাশ – “মা আর তার খোকা”।
আজ যে বেঁচে আছে সেতো “খোকার” পরছায়া।……..
“তোমরা কবর দিয়ো , আমায় কবর দিয়ো
আমার মার কবরের পাশে ”