মন খারাপের দিনে—
সূর্যটা ইঞ্চি দুয়েক বেশী হেলে পড়ে দক্ষিণে!
ইতিহাস থেকে ফিরে আসা কিছু উত্তুরে বাতাস—
তাদের স্মৃতির ডালা খুলে,
কোন এক বসন্তে ফোঁটা শিমুল পলাশের গল্প ফেঁদে বসলে,
বিরক্তিতে মুখ ফিরিয়ে নেয় হালের সময়!
পায়রার ঠোঁটে শেষ বিকেলের উপচে পড়া ভালোবাসায়–
হঠাৎ নেমে আসে এক পৌরাণিক বিষণ্ণতা!
সুযোগ নেই আত্ম নিয়ন্ত্রণের,
দুই ঠোঁটের আবেগ ঘনীভূত হতে থাকে নিক্তির পালায়!
আমাদের করোটির সবটা পরিসর দখল করে এখন–
প্রতিদিন সেখানে বস্তুবাদের হাট বসে
ভোগের সরগরম মেলায় ঘুর ঘুর করে দেহের খদ্দের
কিন্তু—
নীলিমার স্বপ্নগুলোর কোন ক্রেতা মেলে না!
হাট শেষের আবর্জনার স্তূপে তাই পুড়তে থাকে তা!
আমরা সুখের নেশায় শুধু একটার পর একটা দুঃখের রং বদলাই…
বাতাসে পোড়া গন্ধগুলোর এখন আর আমি কোন তফাৎ বুঝি না!
কোনটা মানুষের, কোনটা মানবতার—
আর কোনটা নীলিমার স্বপ্নের আবর্জনার….?
আমি কোন তফাৎ বুঝি না!
আমাদের হাতে বধ হবার পূর্বে পশুর সন্ত্রস্ত চোখের গহীন যেমন—
তেমনি নির্বাক নীলিমার চোখ আমাকে প্রশ্ন করে–
‘সুখের বাজারে একমাত্র মুদ্রারই এতো দৌরাত্ম্য কেন?’
আমি তার কোন সঠিক উত্তর দিতে পারি না!
শুধু বলি–
‘আমরা তো ক্ষুধা আর লোভকে কোনদিনই বশে আনতে পারিনি নীলু!’
সূর্যটাও যে তাই এখন, প্রতিদিনই হেলে থাকে দক্ষিণে!
_____ফরিদ তালুকদার / জানুয়ারী ২১, ২০২১