যদি বেঁচে যাই
সময়ের নানা বর্ণের পাখায় মিশ্রিত ভাইরাস থেকে,
করোনার সংক্রমণ থেকে।
যদি আর বেঁচে থাকি
তেরোশত নদীর দেশ এই বাংলায়
প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নেবো
আমাদের সবুজ আঙিনায়।
যদি বেঁচে থাকি
“প্রভাতের সূর্য” মেলবে ডানা
সোনালী সকালে, ভোরের স্নিগ্ধ বাতাসে
হাঁটবো দলেদলে,
আমাদের এই রূপায়ণে।
যদি বেঁচে যাই।
যদি বেঁচে যাই
দুষ্টগ্রহের যাত্রা শেষে
তবে দেখা হবে, প্রাণ খুলে কথা হবে
পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াবো আমরা
বিপন্ন বসত ভরে যাবে
এই জাগ্রত বাংলায়।
জীবনে জীবন ঘষে পেয়ে যাবো
বিস্ময়কর তৃপ্তি এক!
যদি বেঁচে যাই
সবুজ পাতার ঘ্রাণে
বুকের ভেতর সুনীল প্রেম উঠবে জেগে
যদি বেঁচে যাই
বসন্তের শত ফুলের রং-এ হারিয়ে যাবো
কোকিলের কুহু কুহু ডাক শুনবো
বাঁশের ডালে ভেজা কাক দেখবো।
আবার বুনবো ধান
ফসলে ফসলে ভরে উঠবে মাঠ।
যদি বেঁচে থাকি
কাটবো ফসল সোনালী শস্যের
নবান্ন হবে স্বপ্নময়ী,
কৃষ্ণচূড়ার লালে রঙ্গিন হবে বিশ্ব।
যদি বেঁচে যাই।
যদি বেঁচে থাকি
হাজার তারার খেলা দেখবো
হাতে রেখে হাত।
ঘুরবো বিশ্বময়
যেখানে মন চায়, যাবো
টিম হর্টনের কফি খাবো।
স্রষ্টার সৃষ্টি দেখবো
পুর্ণ হবে অপুর্ণ স্বাদ।
যদি বেঁচে যাই।
অপেক্ষার আগ্রহ নিয়ে বসে আছি
ঝিলিমিলি ভোরের আলো আর
সকালের রাঙ্গা রোদে
অবগাহন করবো বলে।
যদি আর বেঁচে থাকি
আমাদের স্বাগত জানাবে
ঐ কৃষ্ণচূড়ার লাল ফুল।
যদি বেঁচে যাই ,
আবার হবে দেখা
মানুষের প্রাণচঞ্চল মিলনমেলায় ,
সোনারগাঁও হোটেলে,
ফুটপাতে চায়ের টং দোকানে
কিংবা বাংলাএকাডেমির বইমেলায়।
স্বাধীনতার ফসল থেকে বেড়ে ওঠা তুমি আর আমি
চলো সংগ্রামী চেতনায় সঞ্জীবিত হই,
গভীর আস্হা ও বিশ্বাসেে
জীবনের ইতিবাচক স্বপ্ন দেখি।
যদি বেঁচে যাই –
যদি বেঁচে থাকি,
দেখা হবে আমাদের সকলের
আবার এই বাংলায়।
### ### ###
রূপায়ণ টাউন, ১৩-০৫-২০২০।