মৃন্ময়ী কে আঘাত করেছিলাম প্রাপ্তির ব্যাসার্ধ বাড়াবো বলে
আমার সামনে আরও একটা, পাঁচটা, দশটা কিংবা অসংখ্য পথ ছিলো
কিন্তু আমি কিনা!?—
ক্ষয়িষ্ণু চাঁদ আর্তনাদে বলে উঠলো—
মৃন্ময়ী তো পাথর নয়, তুমি কি তা জানো না!?—
একটি হৃদয় নির্মাণে আরেকটি হৃদয়েরই যে খুব বেশী প্রয়োজন
আমার মতো পুনর্জন্মে কেউ কি কখনো ফিরে আসে বারবার?
আলোক প্রতিবন্ধী হয়ে নির্বাক আলোর সমুদ্রে পথ চলি ছায়াহীন—
মিথ্যের স্বরলিপিতে—
নাগরিক সব বিলবোর্ড গেয়ে যায় যার যার শ্রেষ্ঠত্বের গান
পৃথিবী পরিভ্রমণের খায়েশ বুকে হিসেব কষি জন্মান্তরের
নক্ষত্রদের অনীহায় ধ্বসে পড়ে বিষাদী বিউগলে ডুবে যাওয়া রাতের মুখমন্ডল
সাগরের ক্ষুব্ধ প্রলাপের সাক্ষী হয়ে ধূসর পাহাড়,
হাজার বছরের মৌনতা ভেঙে—
অপাংক্তেয় ঘোষণা করে অর্বাচীন এই ছুটে চলা!
বলে কতোটা ধারণ, কতোটা দায় তুমি নিতে পারো পথিক,
একবার জেনে নিও!
বিরুদ্ধতার আজন্ম সংঘাতে শতচ্ছিন্ন মনপুরার বসতি পাড়া
ক্ষমা করেনি সময়, কিংবা সঙ্গীহীন দিগন্তে ভূমিষ্ট এই বোধ
ছায়া সঙ্গী হয়ে ছুটে আসে অপরিশোধ্য সব ভুলের মিছিল
থামতে পারিনা তবু্ও
পথ হাঁটি—
জানিনা আরও কতোটা আরণ্যক হলে ছোঁয়া যায় প্রকৃতির হৃদয়!?
তবে নিশ্চিত জানি
প্রার্থনাহীন গন্তব্যের শেষ রেখায়—
একফোঁটা কান্নার দাগ পড়ে থাকবে তখনো
‘রেখে যাওয়া অব্যাক্ত অসীম এই ভালোবাসায়’!—
ফরিদ তালুকদার ভাইর কবিতা, প্রাণের ভেতর থেকে লেখা। প্রতিটি লেখাই মানুষ, মানবতা এবং মানবিকতার জন্য। অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা আমার প্রিয় কবি ফরিদা তালুকদার ভাইর জন্য।