দেশে সংস্কৃতিতে ধর্মের ছোঁয়ায় পালা বদল ঘটে চলেছে
বর্ষপালনের একই ধারায় বিষয়বস্তুর অদলবদল কিছু হয়েছে
মঙ্গোল নয়, ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় থাকছে কিছু নতুন মুখোশ
বাঙালি চেতনায় উজ্জীবিত কিছু মানুষেরা হয়েছে বেজায় নাখোশ।
লক্ষ্মীপেঁচা নয়, থাকছে শান্তির পায়রা ও মীর মুগ্ধর পানির বোতল
সংখ্যালঘু-গুরু বলে কিছু নেই, নেই ভেদাভেদ পাহাড়ি অথবা সমতল
ইলিশ মাছের পাইকারি ধলা মিয়ার চোখে নেই কোনো ঘুম
মানুষ কিনবে তো ইলিশ ? হবে তো রমনা বটমূলে পান্তা-ইলিশ খাবার ধুম ?
নিতাই জেলের মনে নেই তেমন সুখ, বিষাদে ঢেকে থাকে তাঁর মুখ
মহাজন ধলা মিয়া ঠকিয়েছে তাকে, দিয়েছে অনেক দুঃখ
এই বর্ষার আগে উঠবে কি নাকো নিতাইদের ঘরের চালা
মাছের টাকায় খুঁদ-চিড়া খেয়ে মিটাবে ক্ষুধার জ্বালা?
ধলা মিঁয়াদের শাসন , শোষণ বন্ধ হবে যে কবে ?
কৃষকের মনে, শ্রমিকের ঘরে শান্তি কবে হবে ?
সাজসজ্জা ও পান্তা-ইলিশে লৌকিকতার অনুষ্ঠান কেবল হয়
থাকেনা এতে অন্তর থেকে সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভয়।
ফেসবুকেতে ট্রল না করে বন্ধ করো বাক- যুদ্ধ
শ্রদ্ধা জানাই শত শহীদ, বীর আবু সায়ীদ, পানি হাতে বীর মুগ্ধ
আসুন সবাইমিলে গড়ে তুলি এক সত্যিকারের বৈষম্যহীন এক দেশ
দল-মত-ধর্ম- বর্ণ-গোত্র ভুলে সবাই গড়ে তুলি ‘নতুন বাংলাদেশ’।