হঠাৎ থেমে গেলে বাহাত্তর বিটের এই মেট্রোনম, কোন খবর হবো না!
বড়জোর হয়তো–
কিছু পোকামাকড়,
ভরপেটে ঈশ্বরের কাছে তৃপ্তির মোনাজাতে হাত তুলবে
ব্যাস্—।
কবিতাকে রূপসীদের অলংকার কিংবা প্রসাধনী করার কোন কৌশল আমি জানিনা
তাই তোমার জন্যে রেখে যাবো এমন কিছুই নেই আমার কাছে!
অথচ, নিয়েছি অনেক
নাহ্– তুমি জানো নি কোনদিন!
তোমার অজান্তেই—
আমি হাজার ভাষায় অনুবাদ করেছি তোমার এক নিমেষের চাহুনি
ঠিক উদাসীনতা না থাকলেও,
কেমন এক নৈর্ব্যক্তিক তাচ্ছিল্য মাখা থাকতো সে দৃষ্টিতে!
তাতে কি আসে যায়?
ভালোবাসাই তো পৃথিবীতে একমাত্র কঠিন আঘাত, যার জন্যে
আমরা ভিখিরির মতো, বেহায়ার মতো, কাঙাল হয়ে থাকি সবসময়!
বারবার পেতে চাই সে আঘাত!
বহুবার ভেবেছি, কাছে এসে বলি– ‘ভালোবাসতে হবে না’
তুমি এমন একটু তাকালেই—‘দেখতে পাবে অগ্নুৎপাত’,
সেখানে লাভার তপ্ত প্রান্তরকে নিমেষে ঢেকে দেয়—
লক্ষ পারিজাতের ঘ্রাণ!
আমি তাকে অনুবাদ করি—!
আমি তাকে অনুবাদ করি—
কখনো বৃষ্টি ফোঁটায়, সোপানের নকটার্ণ পিয়ানোর বিটে,
কখনো বিসমিল্লাহ খানের সানাইয়ে,
আবার–
কখনো বা স্মৃতির জাবর কাটা বিমর্ষ কোন প্রাসাদে,
নিশুতি রাতের বিষাদী তানপুরায়!
আর ভুল করে কোনদিন যদি একটুখানি মনোযোগী হও,
সেদিন আমার মরা যমুনায় সারাটা রাত চাঁদ হাসে,
পৃথিবীর সব অবজ্ঞাকে ভুলে, নিজেকে মনে হয় সময়ের শাজাহান!
তাই অনেকদিন ভেবেছি, কৃতজ্ঞতাটুকু জানিয়ে দেই
কিন্তু—
সবসময়ই যে তোমার চারপাশে তোষামুদির ভীড়!?
জানি নিলামে তুললেও দু’পয়সা হাঁকবে না কেউ এ হৃদয়
তাই এখনো তাকে খুইয়ে ই আমি সুখী
অকৃপণ হাতে একদিন যা কিছু সম্ভারে সাজিয়ে দেয় সময়,
ভাড়া করে সাজানো মঞ্চের আসবাবের মতো, মেয়াদ শেষে-
তাকেই সে আবার একে একে খুলে নিয়ে যায় নির্দয় হাতে!
মিডিয়া, প্রেস, তোষামুদি বন্ধু, ক্যামেরার সাটার, রূপ সব…
তামাটে পৃথিবীর রং সেদিন ফের ঘিরে ধরে আমাদের চারপাশ!
এমনি কোন এক দিনের জন্যে আমি রেখে গেলাম দূরের এই ডাক!
যেদিন সবকিছু মিথ্যে হয়ে যাবে তোমার বোধের অভিধানে,
তুলে নিও তখন
তুমি আরেকবার চিনবে তোমার ভুল!
জানবে-
সময়ের ও সাধ্য নেই সত্যিকারের ভালোবাসাকে ঝরিয়ে দেয় কোন অক্ষরে!
চিনলে না তো?
তা ঠিক, কোনদিন নামটাও যে জানতে চাওনি!
তবে স্মরণে আছে নিশ্চয়–?
ক্যাফেটারিয়া, দ্বিতীয় সারির কর্ণার চেয়ার!!
_______ফরিদ / জানুয়ারী ৩, ২০২১