পৌরাণিক তাম্র লিপির পাতায় কোন প্রেমান্ধের উপাখ্যান
আমি খুঁজতে যাইনি কোনদিন—
কেবল একটি সংকলন হাতে নিয়ে প্রতীক্ষায় ছিলাম
যুগ যুগান্তর, হয়তোবা আরও অধিক কিছু সময়
কষ্টের তহবিল তছরুপ করে, প্রথম মুদ্রণ, একটি সংকলন
একটিই কপি, প্রচ্ছদ নেই কোন, খোলা জীবনের পাতা
তবুও অনাঘ্রাত থেকেছে এ হৃদয়!
ভাবলাম তাই একদিন ফের ভোর হয়ে যাই
দূর্বার সতেজ শরীরে বিছিয়ে দিয়ে বুকের নগ্ন উঠোন
বিদায়ের পূর্বে শিশিরের চোখে ছড়িয়ে দিয়ে অবশিষ্ট কিছু উত্তাপ
ভোর হয়ে যাই—
থাক না কিছু ব্যাথা, কিছু শোক, উপেক্ষার উপকথা,
জীবনের শতরঞ্জি খেলায় পরাভূত ভালোবাসার উপঢৌকন,
নীলিমার কপালে লাল টিপের দহন…
এ সবই তো এখন আমার নিত্য অবসরের বেলা
থাক না এসব!?—
একটু না হয় অবেলা, কি আসে যায় তাতে?
তবুও ভোর হই?—
মনঙ্গনের কালো ভূমি হেসে উঠুক মুহুর্ত
সেই অবুঝের হাসি, এক চিলতে বিলাসী আলোয়!
আমাদের দীর্ঘতম জীবনের ব্যাপ্তি গুলো তো ভগ্নাশেরও অনেক কম,
যা থাকে অব্যাক্ত মনের পাতায়
গৃহস্থালীর নিত্য বিষণ্ণতা ঢেকে দেয় রুদ্র যৌবনের ছাঁদ
নেশার আসক্তি নিয়ে—
শোকের নির্যাসে ছেয়ে থাকে এবড়ো থেবড়ো হৃদয়ের পথ
নিতান্তই অনাদরে বেড়ে ওঠা কিছু গুল্মলতা সেখানে—
এখনো বেশ বিলিয়ে দেয় বেনামী ভালোবাসার স্বাদ
থাক না হয় ওরা ও?—
এই সব কিছুই পুঁজি হোক এক কচি ভোরের সরলতায়
আমি ফের না হয় শিশু হয়ে যাই—
নাবালক শিশু!
শিমুল তুলোর পেছনে ছুটে চলি সেই বিস্মিত বালক
সকল ক্লান্তিকে অনুদান দিয়ে, ঘুমিয়ে পড়ি ঝরা পাতার বিছানায়!
এবার আর কোন ভুল হবে না
যদি কিছুটা দেরী ও করে ফেলি, হয়তো শতবছর
তুমি অপেক্ষায় থেকো—
পরিত্যাক্ত কোন স্টেশনে, ইতিহাস হয়ে তুমি অপেক্ষায় থেকো—
আমি আসবোই—
নূতন মোড়কে নিয়ে বুকের অব্যাক্ত ব্যাথার দ্বিতীয় সংকলন!!