আজ সারাদিন যখন তুষার পড়ছিল
অবিরাম ধারায় বৃষ্টির মতো
জানলার শার্শিতে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম নিবিড়ভাবে
আসলে কি দেখছিলাম কিছু ?
না ভাবছিলাম তোমার কথা!
দূর থেকে ভেসে আসা সুরে কানে বাজছিল
তোমার সেই ভরাট কণ্ঠের রবীন্দ্র সংগীত
“ বিঁধি ডাগর আঁখি যদি দিয়েছিলে
সেকি আমারি পানে ভুলে পড়িবে না……”
রবীবন্দ্রনাথের গান বা কবিতা
এখন আর শোনা হয় না তেমন করে
এত ব্যস্ততায় তোমার মত গানগুলোও চলে গেছে
কোন সীমাহীন গন্তব্যে
যেখান থেকে সুর ও লিপি উঠে আসে না যখন তখন
আচ্ছা এখন কি অন্য কেউ তোমার গান তন্ময় হয়ে শোনে?
জোর করে একটার পর একটা গাইবার!
তুমি কি তার ডাগর কালো আঁখির পানে চেয়ে থাক
নিঃশব্দে মুগ্ধতা নিয়ে
তারপর শব্দ করে গেয়ে উঠো
“ ভালবাসি ভালবাসি ……”
কেন যেন মনে হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
তোমার হৃদয়ের গভীরে থাকা কথাগুলোকে নিয়েই
যেন লিখেছিলেন যত গান আর কবিতা।
আমি সবকিছুর মত তোমাকে ভুলতে ভুলতে
যখন অনেক কিছু দেখার নামে কিছুই আর দেখি না
তখনি হঠাৎ কানে বাজে তোমার গান
আজও তা ভেসে আসে এমনি কোন
বিষণ্ণ দুপুরে অথবা আলো ঝলমলে
কোন পূর্ণিমার রাতে
কিংবা রিমঝিম ছন্দে কোন বাদল দিনে।।