টিএসসি চত্বরে পরিশ্রান্ত পরিমলকে দেখা গেল সারাদিন আন্দোলন শেষে এককাপ চা হাতে নিয়ে সিগারেট ধরিয়েছে। নামে বর্ষাকাল। বৃষ্টির নামগন্ধ নেই। প্রচন্ড গরমে সিগারেটের স্বাদ পরিমলের কাছে কেমন যেন তেঁতো তেঁতো লাগছে। পরিমল সিগারেটে আরেকবার টান দিয়ে মাটিতে ফেলে পায়ের জুতা দিয়ে মাড়িয়ে ঝিম মেরে বসে আছে। যায়গায় যায়গায় ছাত্ররা জটলা করছে। সেসব জটলা থেকে একটু পর পর সরকারবিরোধী স্লোগান ভেসে আসছে। সামান্য দূরেই আন্দোলকারী কয়েকজন সমন্বয়ক কিছু ছাত্রদের সাথে আন্দোলনের পরবর্তী ধাপ নিয়ে আলাপ আলোচনা করছেন। ঠিক এমন সময় একজন ছাত্র দৌড়ে এসে চিৎকার করে বললো, ‘ বন্ধুরা, গরম খবর, তাড়াতাড়ি হলে চল, দেশের সব সরকারি, বেসরকারি ভার্সিটি বন্ধ করে হল ছাড়ার নির্দেশ দিছে।’ একজন সমন্বয়ককে দেখা গেল হ্যান্ড মাইক হাতে নিয়ে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে বলছেন, ‘ আমরা সরকারি ডিসিশন মানি না, কেউ হল ছাড়বেন না আমাদের কাছে খবর এসেছে, আজ শুধু আবু সাঈদকে ওরা মারেনি , হানাদার বাহিনীর আরো অনেক ছাত্রদের মেরে ফেলেছে । আমাদের আন্দোলন চলবেই চলবে।’
ঢাকা শহরে পরিমলের তেমন কোনো আত্মীয়স্বজন নেই। পরিমল কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে ভাবছে কি করা যায় ! হলে থাকলে যদি পুলিশ দিয়ে হল রেইড করে টেনেহিঁচড়ে বের করে দেয় তবে গভীর রাতে আবার কোথায় যেয়ে উঠবে ? এদিকে হল ছেড়ে দিয়ে সুর সুর করে বগুড়ায় বাড়িতে ফিরে যাওয়ার মানেই হয় না। খানিক্ষন সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে পরিমল রিকশা নিয়ে জিগাতলার দিকে বাবার এক বন্ধু সতীশ কাকার বাসার দিকে রওনা হলো।
সতীশ বাবু ঢাকা সচিবালয়ের অফিসের একাউন্টেন্টের চাকরি করেন। তিনি আজ দুপুরে খাবারের সময় সহকর্মীদের সাথে বিতর্ক করে ছোটোখাটো একটি হাঙ্গামায় জড়িয়ে গেলেন। বিতর্কের সূত্রটি ছিল এরকম। দুপুরে লাঞ্চ ব্রেকে হট পট থেকে পালং শাক, কয়েক ফালি আলু আর মিষ্টিকুমড়ার সবজি দিয়ে স্ত্রীর হাতের মজাদার লাবড়া আর ঘিয়ে ভাজা পড়াটা বের করে সবেমাত্র তিনি কয়েক পিস পেটে চালান দিয়েছেন। জানালা দিয়ে বাইরে ছাত্রদের মিছিল দেখে তিনি বললেন, ”দেশে এত বিষয় থাকতে, কোটা নিয়ে এতো লাফালাফির কি হলো, মেধা থাকে তো কম্পিটিশন করে চাকরি কর, দেশের জন্য যারা জানবাজি রেখে দেশ স্বাধীন করেছে, শহীদ হয়েছে, সেই শহীদ পরিবারের কেউ চাকরি পেলে ওদের সমস্যা কি? সহকর্মী দেলোয়ার সাহেব বললেন, ‘ না বুঝে শুনে কি বলছেন, আপনি জানেন মুক্তি যোদ্ধাদের পরিবারের জন্য কত পার্সেন্ট কোটা বরাদ্দ ? থার্টি পার্সেন্ট সিট যদি আগে থেকেই রিজার্ভ থাকে, তো মেধা থাকলেও ওদের চাকরি হবে কীভাবে? কথাবার্তায় এ পর্যায়ে তেমন একটা হট্টগোল তখনও হয়নি। একপর্যায়ে সতীশ বাবু ফস করে বলে ফেললেন, ‘কিছু রাজাকারের বাচ্চারা বস্তির ছেলেমেয়েদের নিয়ে রাস্তায় মিছিল মিটিং করলেই দাবি আদায় হয় না।’ মুহূর্তেই দেলোয়ার সাহেব পরিমল বাবুর ধর্মের প্রতি অশ্রীল বিশেষণ যোগ করে ক্ষিপ্ত হয়ে সতীশ বাবুর নাকে ঘুষি বসিয়ে দিলেন। মুহূর্তেই নাক থেকে গল গল করে রক্ত বের হয়ে সতীশ বাবুর শার্ট, প্যান্ট রক্তে রঞ্জিত হয়ে উঠলো। সারাদেশে আজ কিছু কিছু জেলা শহরেও রক্তে রঞ্জিত হয়ে উঠেছিল। সতীশ বাবুর রক্ত এবং আজ যে সমস্ত ছাত্র-জনতা পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছে সবার রক্তের রং টকটকে লাল। রক্তের কম্পোজিশন একই। লোহিত কণিকা, শ্বেতকণিকা, অনুচক্রিকা সব এক। তবুও অখণ্ড বাংলাদেশী জাতীয়তাকে খণ্ডিত করা হয়েছে। পাহাড়ি, উপজাতি, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ইত্যাদি গোষ্ঠীকে সংখ্যালঘু বিশেষণে বিশেষিত করা হয়েছে। ২০২৪ সালের কোটাবিরোধী/ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ও আন্দোলন পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশিদের মাঝে দেশে ও প্রবাসে মত, ধর্ম ও গোত্রের পার্থক্যসমূহ আরো প্রকট হতে দেখা যাচ্ছে।
রিকশায় যেতে যেতে পরিমল রিকশাওয়ালা মামাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘মামা, সারা দেশে যে ছেলেমেয়েদের আন্দোলন হচ্ছে এটি জানেন? রিকশাওয়ালা মামা প্রথমে কিছুক্ষন নীরব থেকে উদাসভাবে রিকশায় প্যাডেল মেরে চললেন, যেন তিনি কিছুই শুনতে পারেননি। পরিমলের সাধাসাধিতে তিনি এবার মুখ খুললেন। পরিমলকে অবাক করে রিকশাওয়ালা মামা পাল্টা প্রশ্ন করলেন, ‘আপনি আওয়ামী লীগ করেন, না বিএনপি করেন? পরিমল ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললো, ‘ মামা আমি আওয়ামী লীগও করি না, বিএনপিও করি না।’ পরিমলকে আগের চেয়েও অবাক করে এবার রিকশাওয়ালা মামা বলে উঠলেন, ‘আপনি আওয়ামী লীগ করলে কইতাম, মামা আগস্ট মাস হইলো গিয়া শোকের মাস। এই মাসে আবার আন্দোলন কিসের ? কথার মাঝে পরিমল বললো, ‘ আর বিএনপি হলে কি বলতেন ? এবার তিনি একটু হালকা হেসে বললেন, ‘ তাইলে কইতাম, এই সরকার হইতাছে জালিম সরকার, হে রে যেমন কইরাই হোক খেদাতেই হইবো। পেটের জ্বালায় রিকশা চালাই মামা, দুইটা ভাড়া বেশি পাওয়ার লাইগা প্যাসেঞ্জারের মন জুইগা আমাগো চলা লাগে।’ পরিমল পকেট থেকে সিগারেট বের করে আরেকটি সিগারেট ধরিয়ে রিকশা ওয়ালা মামা’ র প্যাডেল করা দেখছে। এই দেশে স্বাধীনতার পরে বহু বিষয় নিয়ে অসংখ্য আন্দোলন হয়েছে। একদিন হয়তো কোটা আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটবে, হয়তো আরও অনেক দাবিদাওয়ার আন্দোলন হবে আবার থেমেও যাবে, হয়তো পালা করে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ক্ষমতায় যাবে, আসবে কিন্তু, এই সোনার বাংলাদেশে দিনমজুর খেঁটে খাওয়া মেহনতি মানুষের মৈলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা কী তবে অধরাই থেকে যাবে !!
রাতের খাবার খেয়ে আয়েস করে সতীশ বাবু বসেছেন টেলিভিশনের সামনে। ঠিক এমন সময় ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেল। ছয় তালার ফ্ল্যাটের টপ ফ্লোরে গরম কিছুটা বেশি থাকে। সমগ্র ফ্ল্যাটের ছোটোখাটো একটি জেনারেটর থাকলেও সেটি চালিয়ে কয়েকটি বাতি জ্বালালেও ফ্যান চালানো যায় না। সতীশ বাবু মেয়ে শ্যামলীকে চায়ের কথা বলে বারান্দায় চেয়ারে বসে আছেন। স্ত্রী প্রভা রানী স্বামী সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করে স্বামীকে হাত পাখা দিয়ে ক্রমাগত বাতাস করে যাচ্ছেন। শ্যামলী বললো, ‘বাবা, বাসায় দুধ নেই, শুধু লিকার দিয়ে চা বানিয়ে দেই? রাগান্বিত সতীশ বাবু মেয়েকে বললেন, ‘একটা জিনিস শেষ হওয়ার আগে যে বলতে হয় সেটা কি এ বাসার সবাই দিন দিন ভুলে যাচ্ছে? বাসায় দুধ নাই, আগে থেকে বলিসনি কেন? যা, এক ফালি লেবু চিপে লেবু চা বানিয়ে নিয়ে আয়, নাকি বাসায় লেবুও নেই?
আমাদের এই সতীশ বাবুদের জেনারেশন-কে আধুনিক ছেলে মেয়েরা ‘এক্স ‘জেনারেশন বলে থাকে। এনাদের জন্ম ১৯৬৫ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে। এর ঠিক আগের জেনেরেশন হচ্ছে Baby boomers জেনারেশন অর্থাৎ যাদের জন্মকাল ১৯৪৬ থেকে ১৯৬৪ সালের মধ্যে। প্রতি জেনারেশনের কিছু আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট থাকে। সারা পৃথিবী জুড়ে এক্স জেনারেশনের কিছু সাধারণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এনারা বর্তমান জেনারেশন অর্থাৎ জেড বা আল্ফ়া জেনারেশনের চেয়ে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বেশ রক্ষণশীল টাইপের। এক্স জেনারেশনের রুক্ষনশীল মানসিকতা অবশ্য Baby boomers জেনারেশনের চেয়ে খানিকটা কম হলেও, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ানদের ক্ষেত্রে যেটি দেখা যায়, এই এক্স জেনারেশনের লোকজন বুঝে হোক না বুঝে হোক একবার যে রাজনীতির পক্ষ অবলম্বন করবেন সেটি একেবারে অন্ধের মতো হৃদয়ে ধারণ করবেন। যুক্তি তর্ক দিয়ে সহজে সেই অন্ধ বিশ্বাসের নড়াচড়া করা যাবে না। ঠিক এই যায়গাতেই দেখা যায় বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ান দেশগুলোতে ‘এক্স এবং ‘জেড’ জেনারেশনের মাঝে একটি পার্থক্যের প্রাচীর এই দুই জেনারেশনকে আগলে রেখেছে। সাদা কে সাদা এবং কালো কে কালো বলতে হলে যে সাহস থাকতে হয় তা এই জেড জেনারেশনের মধ্যে যেমন প্রবলভাবে দেখতে পাওয়া যায়, এক্স বা Baby boomers জেনারেশনের মাঝে তেমন একটা দেখা যায় না। এ হচ্ছে গড়পড়তা কথা। যুগে যুগে সব জেনেরেশনেই কিছু না কিছু সৎ ও নির্লোভ মানুষের বিচরণ ঘটে বলেই দেশগুলো এখনো চলছে, পৃথিবীটা এখনও টিকে আছে।
শ্যামলী ফ্রিজ খুলে বিস্ময়ের সাথে দেখলো ফ্রিজে কোনো লেবু নেই। বাবার রাগান্বিত মুখের ছবি চিন্তা করে শ্যমলীর রক্ত হীম হয়ে এলো। একবার ভাবলো, পাশের ফ্ল্যাট থেকে আন্টির কাছ থেকে দুধ চেয়ে নিয়ে আসবে। বাবা আবার দেখে ফেলবে ভেবে সেই চিন্তা ঝেড়ে ফেলে লেবুহীন লেবু চা বানিয়ে নিয়ে কাঁপতে কাঁপতে চায়ের কাপ বাবার দিকে এগিয়ে দিলো শ্যমলী। সতীশ বাবু চায়ে চুমুক দিয়েই ‘ওয়াক থু’ করে মুখ থেকে ফেলে দিয়ে দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে শ্যামলীকে চিৎকার করে বললেন, ‘এটা চা? নাকী কৃমির ওষুধ? সারাক্ষন মোবাইল ফোন নিয়ে পড়ে থাকলে চা বানানো শেখা যায় ? চা নিয়ে যখন সতীশ বাবুর বারারান্দায় চিৎকার চ্যাচামেঁচি হচ্ছে ঠিক সে সময়ে বাসার সামনে একটি রিকশা থেকে একজন যুবক পিঠে ও ঘাড়ে ব্যাগ নিয়ে নেমে ভাড়া মিটিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে এলো।
অসময়ে পরিমলকে দেখে সতীশ বাবু বেশ অবাক হলেন । শ্যামলীকে তেমন একটা অবাক হতে দেখা গেল না। টিএসসি এলাকা থেকে সতীশ কাকাদের বাসায় রিকশায় উঠেই শ্যমলীর সাথে পরিমলের কথা হয়েছে। জেড জেনারেশনের communication skills একেবারে ঈর্ষণীয় পর্যায়ের। বিশেষ করে, দেশের সাম্প্রতিক কোটা তথা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে এটি আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আর সে কারণেই হয়তো তদানীন্তন সরকার ভীত হয়ে দফায় দফায় দেশের ইন্টারনেট ব্যাবস্থাকে বন্ধ রেখেছে। আজ অবশ্য শ্যামলীর সাথে আগেভাগে কথা বলে পরিমলের একটি লাভ হয়েছে। শ্যামলী পরিমল কে সাবধান করে দিয়েছে বাসায় এলে সে যেন বাবার সাথে এসব কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে কথাবার্তা একেবারেই না বলে।
পরিমল কথা রেখেছে। রাতে খেতে বসে সতীশ কাকার নানান প্রশ্নের উত্তরে হাঁ/না বলে কাটিয়ে দিয়েছে। এমনকি সতীশ কাকা যখন বললো,’ ভার্সিটি বন্ধ, এখন ঢাকায় থেকে কি করবে ? কাল পরশু বগুড়ায় চলে যাও, ঘরে বসে মন দিয়ে পড়াশুনা করবে। পরিমল তার কাকার সেই আদেশ বা উপদেশের পিঠে কি বলবে যখন কথা খুঁজে না পেয়ে অহেতুক পাতের ভাতের দলা নিয়ে নাড়াচাড়া করছে ঠিক সে মুহূর্তে শ্যামলী বললো, ‘বাবা অর্চনার এস এসসি পরীক্ষা সামনে, দাদা যদি কয়েকদিন থেকে অর্চনাকে ইংরেজিটা একটু দেখে দেয়, ওর জন্যে অনেক ভালো হতো।’
বাবারা এই একটি যায়গায় বেশ দূর্বল। ছেলে মেয়েদের পড়াশুনার ক্ষেত্রে কোনো আপোষ নেই। ঘরে দুটি উঠতি বয়সী মেয়ে থাকা সত্ত্বেও একজন বাইরের যুবককে বাসায় থাকতে দেওয়ার ঝুঁকি কতখানি যৌক্তিক সেটা ভাবার অবকাশ বা যৌক্তিকতা সতীশবাবুদের মধ্যে তেমন একটা দেখা যায় না। তবে সতীশ বাবুর স্ত্রী প্রভা রানীর চোখেমুখে হালকা একটি খুশির ঝিলিক দেখে সহজেই বোঝা যায় শ্যামলীর প্রস্তাবে ওনার সম্মতি আছে ।
১৬ ই জুলাই মঙ্গলবারে আবু সাঈদের সেই নিশৃংস হত্যাকান্ড ছাড়াও সারা দেশে দিনভর ব্যাপক বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ হলো। তদানীন্তন সরকারি পার্টির সমর্থক, পুলিশবাহিনীর ঝাঁপিয়ে পড়লো আন্দোলনকারীদের ওপর। দৈনিক খবরের কাগজের রিপোর্ট অনুযায়ী এদিনে নিহত হলেন ছয়জন। কোটা-বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম দুইজন সমন্বয়ক নাহিদ ও সারজিস দলবল নিয়ে আন্দোলনের পরবর্তী ধাপ নিয়ে জল্পনা কল্পনা করছেন । আর ওদিকে, বিকেলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ঘোষণা দিয়ে বলে উঠলেন, ‘আন্দোলন যাবে, আন্দোলন আসবে। কিন্তু ছাত্রলীগ থাকবে। সবকিছুই মনে রাখা হবে এবং জবাব দেওয়া হবে। একটি ঘটনাও জবাব ছাড়া যাবে না। রাজাকারদের ফাঁদে পড়ে ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করলে ভবিষ্যতে আমরা দেখে নেব, কত ধানে কত চাল হয়।’ (প্রথম আলো, আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২৪, ০১: ৫৫ )
কত ধানে কত ধান হয়, কত চিড়া হয়, কত মুড়ি হয় সেই হিসাবনিকাশ আমার পাঠকেরা ইতিমধ্যে জেনে ফেলেছেন। তবে, আমার এই ধারাবাহিক গল্পের পাতায় পাতায় বাংলাদেশের কোটা-বিরোধী আন্দোলন, বৈষম্য-বিরোধী আন্দোলনের আরও কিছু চমকপ্রদ কাহিনী দিয়ে প্রতিটি পর্ব সাজিয়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাবো। কখনো আফতাব, কখনো রাজন, লিটন, পরিমল অথবা সতীশ বাবু ছাড়াও আরও কিছু চরিত্রকে জীবন্ত ও প্রাণবন্ত করে তুলতে যেয়ে এই ঐতিহাসিক গল্পের বাস্তব ঘটনা প্রবাহে যেন মিথ্যা কোনো তথ্যের পরিবেশনা না থাকে সেদিকে সচেষ্ট থাকার প্রতিশ্রুতি রেখে গেলাম।
(চলবে)
আগের পর্বের লিংক : প্রথম পর্ব