কৃৃষ্ণচূড়া গাছগুলো দাঁড়িয়ে আছে
আজো সারিবদ্ধভাবে।
ফাগুনের মৃদুমন্দ হাওয়ায়
এলিয়ে পড়ে পাপড়ি তার
আনন্দে আত্নহারা বালিকার মতো।
সেই পথেই ছিল আমাদের চলাচল
ছিল না কোন ব্যস্ততা
বা সময়কে বাঁধার কোন ক্লান্তিকর চেষ্টা
দূর আকাশ থেকে থালার মত
বড় সূর্যটা যখন উঁকি দিত
আমাদের মনটাও যেন হয়ে যেত
আলো ঝলমলে সোনালী রোদ্দুর।
পাশেই ছিল গায়ে গা লাগানো বাড়িগুলো
একটু দূরে পদ্মপুকুর
তাতে রাজহাঁসগুলোর সাথে সাঁতার কাটতো
সদ্য কৈশোরে পা দেয়া দামাল ছেলের দল।
তার একটু সামনেই ছিল চায়ের দোকান
সকাল সন্ধ্যা বা অলস দুপুরে ছিল
লোক সমাগম
যেন সেখানে ছিল যুবক পৌঢ়ের মিলনমেলা।
আমরা হাটতাম , কথা বলতাম, হাসতাম
পায়ে পায়ে এগিয়ে যেতাম সামনে
আশে পাশের সবকিছু ছিল
বড় আপন বড় প্রিয়
আমাদের ভাল লাগা পৃথিবীর
নিজস্ব ভূবন যা মিশে গিয়েছিল
এক কেন্দ্রবিন্দুতে।
আচ্ছা এখনো কি সেই রাস্তায় হেটে বেড়ায়
আমাদের মত প্রনোচ্ছল কোন তরুণ তরুণী
কোন কাকফাটা রৌদ্রে কিংবা পড়ন্ত বিকেলে
কারনে অকারনে হেসে উঠে, গেয়ে উঠে বেসুরে
কথার পিঠে কথা দিয়ে বুনে যায় জাল!
অভিমানে ভরে মন তুচ্ছ কিছু নিয়ে!
বড় মাঠটা কি এখনো আছে ফাঁঁকা?
নাকি সেখানে উঠেছে
বড় কোন প্রাসাদোপম অট্টালিকা?
চায়ের দোকানটাতে কি এখনো রয়েছে ভিড়?
নাকি সেটা হয়েছে এখন কোন সুসজ্জিত রেস্তোরা
যেখানে ঢুকতে হলেও হিসাব কষতে হয় মানিব্যাগের!
পদ্মপুকুরটিতে কি এখনো ফুটে লাল পদ্ম?
যেখান থেকে একটি লাল পদ্ম তুলে আনে কোন তরুণ
তার প্রিয়াকে চমকে দিতে?
খুব জানতে ইচ্ছে করে ! খুব জানতে ইচ্ছে করে!!