নীলাঞ্জনার নীল খামের চিঠিটি
পড়েছি বেশ কয়েকবার
যতবারই পড়ছি ততবারই
মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে
একটি প্রশ্ন
শুভঙ্কর কি দিয়েছিল উত্তর?
নীলাঞ্জনার চাওয়া খুব বেশি নয়
সে শুভঙ্করের কাছ থেকে শুনতে চায়
নীল শাড়ীতে তাকে কেমন দেখায়?
হাতের চুড়ি আর কপালের টিপ
তাকে মানিয়েছে কিনা
অথবা তার চোখের কাজল দেখার ছলে
শুভঙ্কর পড়ে নিক সেই চোখের ভাষা।
যখন বাতাসে নীলাঞ্জনার চুল এলোমেলো হবে
সে কপাল থেকে চুল সরিয়ে দিতে দিতে বলুক
ভালবাসি, ভালবাসি তোমায়।
অথবা কোন এক বিকেলে
পাশাপাশি হাটার সময়
শুভঙ্করের হাত থেকে সিগারেটটা ছুঁড়ে ফেলে দিতে দিতে
নীলাঞ্জনা শাসনের সুরে বলবে
“ কি এমন সুখ পাও এই বাজে জিনিষটির
ধোঁয়া টেনে টেনে?
চোখ বন্ধ কর — ভাবো
আমরা হাঁটছি মেঠো পথ ধরে
শাল তমালের পথ ধরে
একটু ঠাণ্ডা বাতাস বইছে–
তাতে কি? তুমি তো আছো সাথে
তোমার গায়ের চাদরটি
আমায় জড়িয়ে দিতে দিতে বলছো
ভালবাসি, ভালবাসি তোমায়।”
হয়ত শিলং পাহাড়ে বসে
শেষের কবিতার অমিত লাবণ্যের
সম্পর্ক বিশ্লেষণ করতে গিয়ে শুভঙ্কর বলবে
“আমার অমিত হওয়ার দরকার নেই
নেই প্রয়োজন কোন কেতকির
আমার লাবণ্য তুমি
যার কাছে করেছি আমায় সমর্পিত
অহর্নিশ বলি ভালবাসি, ভালবাসি তোমায়।”
নীলাঞ্জনার কি হয়েছে অবসান অপেক্ষার?
ভর দুপুরে জাবেদ চাচা কি দিয়ে গেছে
কোন নীল খাম চিঠি ?
যেখানে পরম মমতা আর ভালবাসায় লেখা আছে
প্রতিটি শব্দ প্রতিটি বাক্য নীলাঞ্জনার জন্য
জানতে ইচ্ছে করে– খুব জানতে ইচ্ছে করে!!