নরওয়ে থেকে:-
দিন শেষে আমরা সবাই একা,-
ঘরের পাশের ঝকঝকে রাস্তা, রাতটাকে আলোকিত রাখা লাইটপোস্ট এমনকি দলবেঁধে সারাদিন উড়ে বেড়ানো গাংচিলটাও একা।
এ গ্রাম, এ শহর, এ মহাবিশ্বের নীলাচলে সবাই কেমন যেন নীরব, নিস্তব্দ, নিথর।
দিগন্তের পানে ছুটে চলার এ মহাউৎসবে সবাই কেমন জানি বিচ্ছিন্ন, বিবর্ণ, বেমানান !
অফিসের ব্যস্ত কর্মচারী, রাস্তার মোড়ের ট্রাফিক অফিসার, রেস্টুরেন্টের মহাব্যস্ত মালিক আর স্বামী সংসার আর ছুট্টো মেয়েটাকে নিয়ে নাজেহাল পাড়ার ভাবিটাও একাকিত্বে কেমন জানি ভাবলেশহীন আজকাল ।
যে মেয়েটা হই হুল্লোড়ে সারা ঘর , সারা সিলেট মাতিয়ে রাখতো,
আজ সে নিবৃত্তে কাঁদা সংসারের বড়ো বৌ !
অনেক সাধনার, অনেক শখের সাইন্সের বড়ো ডিগ্রীটা, পহেলা বৈশাখের তাঁতের রঙিন শাড়ীটা বড় বেমানান তার জীবনে !
মায়া মমতাহীন সংসার, জন বিচ্ছিন্ন নেতা, নীতিহীন সমাজ, ঘুনে ধরা রাষ্ট্রযন্ত্র-
তারপরও -সবাই কেমন জানি ছুটে চলেছি !
সবাই কেমন জানি ব্যস্ত নিজেকে নিয়ে ,
কিসের পানে ছুটছি, কি কারণেই বা ছুটছি ?
রাস্তার নেড়ি কুকুর, পাড়ার ইফজাল মাস্টার, সংসারী তুমি, দলছুট আমি,-
দিন শেষে সবাই একা, -বিচ্ছিন্ন, বিবর্ণ, বড্ডো বেশি বেমানান !