একটা কবিতা লিখতে চেয়েছিলাম
যে কবিতায় থাকবে তুমি
আর থাকবো আমি
থাকবে আমাদের ফেলে আসা অতীত
ছুঁয়ে থাকা বর্তমান আর না দেখা ভবিষ্যৎ।
তুমি আর আমি স্পর্শ করতে চেয়েছিলাম
ছন্দে আনন্দে ভরে ওঠা কবিতার পংক্তিমালাকে
যে পংক্তিমালা আমাদের জীবনের কথা বলতো
রঙিন প্রজাপতির উড়ে বেড়ানোর কথা বলতো
নদীর বুকে রাজহংসের ভেসে বেড়ানোর কথা বলতো
অথবা বিজন বনে পাখিদের কলকাকলির কথা বলতো ।
আমরা সেই কবিতার প্রতিটি শব্দ পড়তাম আর মুগ্ধ হতাম।
অহর্নিশ ঘোরে সুরয- আলো আসে, নামে আঁধার
হৃদয়ের ঘুলঘুলিতে, কার্নিশে তবু বেঁচে থাকে ভালবাসা।
সেই ভালবাসার নবান্ন উৎসবে, শরতের প্রাতে
কিংবা কোনো বসন্ত আয়োজনে তুমি থাকবে পাশে ।
স্মৃতির পাতা উল্টে সেই আনন্দ উল্লাসে আত্মহারা পংক্তিগুলোকে
খুঁজি আমি একা অবসরে, পাই না তাকে কোথাও খুঁজে
সাদা বরফের মাঝে, কলকলিয়ে বয়ে যাওয়া স্রোতস্বিনী ঝর্ণাধারায়
অথবা ধু ধু মরু প্রান্তে কাকফাটা কোন খাঁ খাঁ নিস্তব্ধ ভর দুপুরে
হারিয়ে গেছে পংক্তিগুলো তোমার মতোই সেই অবেলায় অচিনপুরে।।