নরওয়ে থেকে:-
বনুয়ার তীরে দাঁড়িয়ে, চারুলতাকে কথা দেইনি সেদিন,
ভয় ছিল কথা রাখতে না পারার।
কলেজ ক্যাম্পাসে বনলতা কথা দেয়নি সেদিন,
ওর ভয় ছিল ও হয়তোবা কথা রাখতে পারবেনা কোনো একদিন ।
লন্ডনে, টেমস নদীর তীরে দাঁড়িয়ে হাতে হাত রেখে এনিকে কথা দিয়েছিলাম ,
কথা রেখেও ছিলাম সেদিন।
সময় চলে যায়- জীবনানন্দ, রবি ঠাকুর, হুমায়ুন সবাই আজ অতীত :
সময়ের হাত ধরে বনলতা, চারুলতা, এনি স্মৃতি হয়ে অতীতের গল্প হয়ে গেছে আজ ।
১৯ বৎসরের ব্যবধানে কোতয়ালপুর- সিলেট – লন্ডন- ক্রিস্টিয়ানস্যান্ড হয়ে আজ মান্ডালে থাকি।
ফুলে ফুলে ভরা শহর-
চারিদিকে সুন্দর্য আর সুরভীর মাতালটা ,
তবুও কেন জানি বনুয়ার বিল আমাকে টানে,
সুরমার তীর, বুনো ঘাঁসের গন্ধ আর ফেলে আসা অতীত, ফেলে আসা কলেজ ক্যাম্পাস সবই যেন এক নেশা !
শত ব্যস্ততার মধ্যেই থাকিনা কেন :
মান্ডালে থেকেও কেন জানি নাকে ভেসে আসে সিলেটের গন্ধ ।
মানডাল-প্যারিস -টেক্সাস হয়ে জানি একদিন ফেরা হবে শেখ মুজিবের বাংলায়।
শুভ্র চুল,শুভ্র দাঁড়ি নিয়ে দেখা হবে ফেলে আসা অতীত আর অতীতের মানব,মানবীদের সাথে।
বাপ্ দাদার ভিটে মাটি , সেই পুকুর ঘাট, সেই খেলার মাঠ কক্ষনো কি ভুলে থাকা যায় ?
ভুলা যায় কি বনুয়ার বিল? কুয়াশায় ঢাকা শীতের রাত ??
সেই নীল শাড়ি কিংবা পূর্ণিমার রাতে তোমার বাড়ানো সেই আবেগ জড়ানো হাত ???
স্মৃতিঘেরা, আবেগমাখা একটি লেখা। কবিতার বিষয়ে অনভিজ্ঞ আমার মতো মানুষের মনকেও অনায়াসে নাড়া দিয়ে যায়. ভালো থাকুন, আরো লিখুন প্রিয় শরীফ ভাই.