আমি বসে থাকি নিঃশব্দে নিরবে
তুমি বলে যাও কত কথা কত গান
ছন্দে আনন্দে ভাসাও তরীখানি।
কিছু তার বুঝি
বোঝার চেষ্টা করি কিছু।
দূর থেকে ভেসে আসে বাঁশরীর সুর
মন মোর উড়ে যায় দূর বহু দূর।
মায়ার টানে বাঁধি খেলাঘর
স্বপ্ন বুনি নিপুণ হাতে ইন্দ্রজালে।
জানালার শার্শি দিয়ে দেখি
গাছে গাছে হেমন্তের রঙ
লাল হলুদ সবুজের বাহার
ঝরে পড়ে পাতা ঝির ঝির বাতাসে
এ যেন শীতের আগমনী বার্তা ।
পিছন ফিরে দেখি গ্রীষ্মের দুপুর
ফুলে ফুলে প্রজাপতি ফসলের মাঠ
ঘরটি খুলে যখন চোখে পড়ে
সবুজ দূর্বাঘাস অথবা পাকা রাস্তা
দু’দন্ড দাঁড়িয়ে দেখি তার রূপ
যেন তারা রয়েছে আমারই অপেক্ষায়।
সকালের শিশির ভেজা ঘাসগুলো
যখন ছুঁয়ে যায় আলো
আমি হাত পাতি – দেখি সে মুক্তো দানার মত
গড়িয়ে পড়ে তা আমারই হাতে;
আমি ভিজিয়ে নেই আমার শুষ্ক হাত দু’খানি
পরম আনন্দে ।
আমি প্রশস্ত করি মনের দৃষ্টি
আকাশ লীনাকে অতিক্রম করে
উড়ে যাই ভেসে যাই দূর থেকে দূরে
তোমার সীমানার কাছাকাছি
স্পর্শ করি স্বপ্নে বোনা ইন্দ্রজাল
যেখানে আছে বিশ্বাস আর পরম মমতা।