অনেক বছর পরে দেখা অরবিন্দু
আমাকে চিনতে মোটা ফ্রেমের চশমা লাগে তোমার!
আবার আমিও কেন যে..।
মনে আছে খালের ওপাড়ে নাদিরাদের বাড়ী
বাশের সাকোতে ঝাকুনি দিয়ে ফেলে দিয়ে
কি যে আনন্দ তোমার!
আমি, মালতী, সুপ্রিয়া, মমতাজ কতবার ভিজেছি ওই জলে।
আচ্ছা আমাকে যখন বাবা ভবানীপুরে মামা বাড়িতে পাঠিয়ে দিলো
তোমার কি মনে হয়েছে আমি আছি না মরে গেছি?
কাকদ্বীপের এক বড় ঘরে বিয়ে হয়েছে আমার
বংশ, লগ্ন, পুথি, জাত কূল সবই দেখলো
সুখী আমাকে হতেই হবে যে!
তা আর!!
যেতে যেতে কতবার ভেবেছি এই বিশ্ব সংসার
ভেংগে চূরে একাকার হোক
তবুও আমি তোমারই হব।
হয়নি তোমাকে বলা,
তুমিও ভেংগে দাও এই অহংকার
নিয়ে যাও, কোন দিগন্তে
যেখানে পাখী, নদী, ঘাস আমি আর তুমি।
যাবার সময় কি কান্নাই না কেঁদেছি
বড় দা বললো প্রেমে পড়বি
জাত মান দেখবি না, বড় দার চোখেও জল।
তোমার ছেলেটা হয়েছে সাক্ষাত কার্তিক
একেবারে তোমার মুখটি বসানো
ভালোই আছো দেখছি।
তুমি এখন বসো চারু।
আমার নামটিও ব দলে দিলে অরু
কুঞ্জ লতা ডাকতে আমায়,
তুমি সব ভূলে বসে আছো।
অরু আবার একবার যদি হাতটা ধরো
আমি যাব ভবপারে সেই স্পর্শ নিয়ে
শুধু তোমারই হয়ে
ধরবে কি?
নাকি সময় বড় নির্দয় !!