ঘরে আছি, ঘরে নাই..
হৃদয়ের পাশে জল ছাপ হয়ে
বাসা বাঁধে আতঙ্ক
অলিখিত বিষণ্ণতা গ্রাস করে নেয়
প্রজাপতি ডানার ফুল কুঁড়ি রং..!
পাড়া চড়িয়ে নিঃসঙ্গ হাঁটে বেলা
এ শহর আমি চিনি নাই কোনদিন
এ শহরে এখন
উদ্যানগুলো চেয়ে থাকে উদাসীন
আকাশে এখন প্রার্থনা ওঠে অসীম
বাতাসে মৃত্যু..
নিয়মিত উড়ায় সফেদ নিশান
ঈশ্বর চিনেন আমাদের অন্তর
ঈশ্বর চিনেন আমাদের ঘরবাড়ি
কার্নিশে প্রাণ ইতি-উতি সাড়া দেয়
ক্ষুধার্ত..
তবুও মানুষ ব্যাতীত প্রাণীকুল সব
নির্ভয়ে রাস্তায়
এ শহরে আজ বন্ধ হয় সব দুয়ার
পাহাড়ের মৌনতায় নির্জীব,
ছাই রঙা রাস্তায়..
এ শহর এখন অচ্ছুত পড়ে রয়
দখিনা বাতাসে টুপটাপ ঝরে
হিজলের লাল ফুল
সন্ধ্যা নামে খুবই অবেলায়
স্বপ্নেরা হয় বিলীন
জীবন এখানে সময়ের আগে
বোঁটা ছেড়ে চলে যায়
কিছু কান্না, কিছু শোক
এক মৃত্যুতে গড়ায় কিছু জল,
হাজার মৃত্যু শুকায় কেবল অন্তরলোক
এ শহর এখন ভাষাহীন যেন
আজন্ম এক মূকের প্রতীক
স্হীর নৈবেদ্যে দাঁড়িয়ে বৃক্ষ,
গাঙচিলেরা ভাসে স্বাধীন ডানায়
মানুষেরা সাঁতরায় সমুদ্র সফেন
হেম শিখা জ্বলে দূর মাস্তুলে
অমানিশা গুরুভার
শোকার্ত বুকে এ শহর জাগে
কখন আসে মুক্তির সেই
সোনালী পারাপার..!!
____ফরিদ তালুকদার / এপ্রিল ১, ২০২০