টুলস বা যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহার !! (লেখাটি একটু বড়ো, ৪ পাতার মত, তবে এটি আপনার ভাবনাকে নিয়ে যেতে পারে এক ভিন্ন মাত্রায়)
আজকের বিশেষ দিনটাতে ভালোবাসাবাসি নিয়ে বহু লেখা, বহু কথা, বহু মন্তব্য যোগাযোগ মাধ্যমগুলি ছেয়ে গেছে। বরং প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বেশি, মনে হয়। যাহোক আমি সে বিষয় কথা না বাড়িয়ে শিরোনামের বিষয়, Crisis (সংকট) দিয়েই শুরু করতে চাই। আইনস্টাইন এক সময় বলেছিলেন, “in the midst of every crisis, lies great opportunity.” এই কথাগুলি যেমন কমবেশি অনেক গুণীজন বা বিশিষ্ট ব্যক্তি বলে গেছেন, তেমনি বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ বা দর্শন জাতীয় গ্রন্থেও আছে। যাহোক কে বললো বা কোথায় লিখিত আছে তা নিয়ে আর বেশি কথা না বলি।
কারোর জীবনে যেকোনো ধরণের Crisis বা সংকট কখনই কাম্য নয়। তবে একথাও সত্য যে, আমাদের অনেকেরই জীবনে আমরা না চাইলেও সংকট এসে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই আমরা সংকটকালীন মুহূর্তে সংকটটি মোকাবেলার দিকেই নজর দেই এবং সংকট নিরসনের চেষ্টা করি। এবং সংকটটি নিরসন হলে ফিরে যাই স্বাভাবিক জীবনে। কিন্তু কিছু মানুষ আবার সংকট নিরসন হলেও, তারপরে তারা ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা (debrief) করেন এবং এর থেকে কিছু শিক্ষা গ্রহণ করে নতুন কোনো সুযোগ খুঁজে পান। সংকট যেহেতু অনাকাঙ্খিত একটি জিনিস, তাই সেটি যখন জীবনে এসেই পড়ে তখন সেটিকে মোকাবেলা করে তার থেকে কিছু সুযোগ তৈরী করতে পারলে ক্ষতি কি !
আপনি আসে পাশে তাকালে বা একটু পড়াশুনা করলে বা খবর নিলে দেখবেন এমন অনেক উদাহরণ আছে যে মানুষ কিভাবে মরণপণ সংকট মোকাবেলা করে তার থেকে সুযোগ বের করে নিয়েছে। প্রক্রিয়াটি সবসময় হয়তো সহজ হবে না কিন্তু অবশ্যই সম্ভব। যেমন ধরুন ফিনল্যাণ্ড একটি জনসংখ্যা, জায়াগা এবং ক্ষমতার দিক থেকে রাশিয়ার থেকে অনেক ছোটো। কিন্তু সেই বিশাল রাশিয়ার পাশে থেকেই তারা আস্তে আস্তে নিজেদেরকে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হিসাবে গড়ে তুলেছে।পৃথিবীর অন্যতম Scandinavian মডেলের একটি দেশ, অথচ সেই বিশাল রাশিয়ার অবস্থা আমাদের সবারই জানা। যাহোক আমি ওখানে আমার পড়াশুনাকালীন সময় ফিনিশ Socio-Economic পলিসির উপর একটি Assignment করতে গিয়ে জেনেছিলাম যে রাশিয়া ২/৩ বার ফিনল্যান্ডকে আক্রমণ করে এবং এক সময় তাদের উত্তর পূর্ব ভূখণ্ডের একটি অংশ নিজেদের দখলে নিয়ে যায় এবং সেই জায়গার বাসিন্দাদের ফিনল্যান্ডের ভিতরে তাড়িয়ে দেয়। ইত্যাদি কারণে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অন্যান্য বিষয় প্রবল সংকটের সম্মুখীন হয়ে পড়ে। অনেক ফিনিশ অর্থিনীতিবিদ, সমাজবিজ্ঞানী এবং রাজনীতিবিদদের মতে রাশিয়ানদের আক্রমনের দ্বারা ক্ষতিকে সামলিয়ে উঠা এবং রাশিয়ানদের দখলকৃত ফিনিশ অংশের বিতাড়িত নাগরিকদের পুনর্বাসন, ইত্যাদি করতে গিয়ে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নতি সাধন হয়, এবং বর্তমান যুগের অন্যতম একটি Industrialized Nationএ পরিনিত হয়েছে। শুধু তাই নয় তাদের Child Education পৃথিবীর সবথেকে সেরা, এবং তারা তাদের গণতন্ত্রকে সমুন্নত রেখে একটি সুন্দর ওয়েলফেয়ার স্টেট গড়ে তুলেছে। যাহোক যেটা বলতে চাচ্ছি তা হলো, ফিনিশরা কখনো চাইনি তারা রাশিয়া দ্বারা ওই ভাবে আক্রান্ত হোক, বা তাদের ভূখণ্ডের এক অংশ দখল করে তাদের লোকদের তাড়িয়ে দিক। কিন্তু এই বিপদ থেকে তারা কিন্তু ঠিকই সুযোগ তৈরী করে নিয়েছে।
এখন অন্য একটি উদাহরণ দেই। আমেরিকার ক্রিস্টোফার জ্যাকব জন্মেছিলো Severe Autistic Syndrome নিয়ে। তার Diagnosed করা থেরাপিস্টরা ধারনা করেছিলেন এই ছেলে যদি জীবনে নিজের জুতার ফিতা নিজে বানতে পারে, তাহলে বড়ো একটা কিছু করা হবে। কিন্তু সেই কথাকে ভুল প্রমাণিত করে সে এখন পৃথিবীর একজন অন্যতম Mathematician, বলা হয় সে আইনস্টাইন বা হকিংসের মতো জ্ঞান রাখে এবং হয়তো ভবিৎষতে সে রকম কেউ হতে পারে। তার জীবনের এই জার্নি খুব সহজ ছিল না। তার বাবা মার খুব বেশি টাকা পয়সাও ছিল না। অত্যান্ত কঠিন জীবন, কিন্তু তার বক্তব্যের একটা কথা আমার খুব মনে পড়ে। সে বেলছিলো অটিস্টিক আমার অনেক কিছুকে স্থবির করে দিলেও আমার কল্পনা বা চিন্তা করার ক্ষমতা ছিল, তাই আমার সব কিছু বসে থাকলেও চিন্তা বা কল্পনা করা বসে থাকে নি, আর সেটাকেই পুঁজি করে সে হয়ে উঠেছে আমাদের অনেকের অনেকের থেকে উন্নত চিন্তাধারার একটি মানুষ। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তার মায়ের লেখা ” The Spark” বইটি পড়তে পারেন এবং ইউটিউব থেকে Ted Talkএ ওর লেকচার শুনতে পারেন। এই রকম উদাহরণ অনেক আছে, এবং আমাদের আসে পাশেই অনেক আছে, যেখানে অনেকেই তাদের অনাকাঙ্খিত সংকটকে মোকাবেলা করে সেখান থেকে সুযোগ বের করে নিয়েছেন।
আমার নিজেরই প্রায় ৯ বছর আগে একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সার্জারি হয়। সমস্যাটির কারণে অনেকেরই জীবন শেষ হয়েছে, এবং তাদের অনেকেই মাল্টিমিলিওনারও ছিলেন। কিন্তু রেহাই হয়নি। আল্লাহর রহমতে আমি এখনো আছি এবং ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। এ বিষিয়ে অন্য একদিন বলবো। এই জাতীয় বিপদ আমি নিজে যেমন কখনো চাই নি বা চাই না, তেমনি এও চাইনা যে অন্য কারো হোক। কিন্তু ওই সার্জারিরই পর থেকে আমার জীবনকে আমি অন্য ভাবে দেখার সুযোগ পেয়েছি। ত্যাগ করতে পেরেছি জীবনের অনেক অর্থহীন বা অমূলবান অভ্যাসকে। শিখেছি জীবনের চাওয়া পাওয়ার স্থিতিস্থাপকতা (Elasticity) টানতে, এবং আল্লাহতালা যা দিয়েছেন বা দেন তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে। শিখেছি অতি সাধারণ এবং তুচ্ছ জিনিসের মধ্যে থেকে Interesting জিনিস খুঁজে পাওয়া বা আনন্দ পেতে।
বর্তমানে এই কোরোনা সংকটে বলতে গেলে আমাদের সবারই জীবনে দুর্ভোগ চলছে, সেটি বিভিন্ন ফর্মে। তবে এই সংকটের মধ্যে থেকেও আমরা কিন্তু কিছু ভালো সুযোগ করে নিতে পারি। এবং অনেকে সেটি করছেনও। আবার কেউ কেউ অতি মাত্রায় Panicked হয়ে Depression এর রুগী হয়ে যাওয়ার পথে। আমি মনে হয় আগে বলেছি। আমার এক ক্লায়েন্ট যিনি তার Disabilityর কারণে কাজ করতে পারেন না তাই সরকারের দেওয়া যৎসামান্য পয়সায় চলেন। এই মহামারিকালীন বছরে তিনি ঘরে বসে বসে ডলার স্টোরের কেনা জিনিস দিয়ে তৈরী করেছেন সুন্দর সুন্দর Hand-Crafted Show Case সরঞ্জাম। আমি ইতিমধ্যে ২/১টি জায়গায় যোগাযোগ করেছি, কোরোনা শেষ হলে তারা উনার কাছ থেকে ওই সমস্ত জিনিসের সাপ্লাই নিবে। আমি পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি যে সে ভবিৎষতে একজন উদ্দ্যোক্তা হওয়ার পথে। আমি তো তার সাথে প্রায় ৮/৯ বছর কাজ করছি কিন্তু কিছু ভলেন্টারিং ছাড়া এই জাতীয় কিছু আগে করতে পারে নাই, অথচ কোরোনার এই সংকটকালীন সময়কে কাজে লাগিয়ে হতে চলেছেন একজন উদ্যোক্তা।
আমি যখন তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম তুমি এগুলি কিভাবে শিখলে। সে বললো Utube দেখে আর ইন্টারনেট থেকে। এখন আমার শিরোনামের দ্বিতীয় কথায় আসি। এক্ষেত্রে উনি Utube নামক Toolটিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করে নিজের এবং কমুনিটির উন্নয়নের কাজ করছেন এবং এদেশের অর্থনীতিতে Contribution করতে চলেছেন। তিনি যেমন সংকট থেকে সুযোগ বের করেছেন, তেমনি Utubeএর সঠিক ব্যবহার করে নিজের এবং অন্যের উপকার করতে চলেছেন।
ফলহীন দুঃশ্চিন্তা, Tools এর অপব্যাবহার বা নিজের মনকে বিষন্নকারী জিনিসের পিছনে সময় নষ্ট না করে বরং এই সময় থেকে ভালো কিছু বের করার অনেক পথই আল্লাতালা খোলা রেখেছেন। শুধু আপনাকে মনটা সেই পজেটিভ দিকেই ধাবিত করতে হবে। মন কিন্তু আপনার মুখের রুচির মতো। যেমন আমাদের মুখে অস্বাস্থকর জিনিস খেতে বেশি ভালো লাগে এবং এই Consumer Societyতে স্বাস্থসম্মত চলা একটু কঠিন। ঠিক তেমনি মনটাকে পজিটিভ দিকে ধাবিত করা একটু কঠিন। তবে একটু চেষ্টা করলে সেটি অনেক সহজ হয়ে যায় এবং আপনার জন্য অনেক মঙ্গোল বয়ে আনবে। এই জন্য আমাদের খেয়াল রাখতে হবে আমরা যেন আমাদের মনটাকে নেগেটিভ দিকে ধাবিত হতে না দেই।
আপনি আপনার Tools বা যন্ত্রপাতিকে কিভাবে ব্যবহার করবেন বা আপনি আপনার গাড়িকে রাইট লেনে নিবেন নাকি লেফট লেনে নিবেন সেটি আপনার উপর। এখন আপনি যদি রাইট লেনের জায়গায় লেফট লেনে নিয়ে এসে মনে করেন রাইট লেনে যাওয়ার সুবিধা নিবেন তাহলে তো কোনো কাজ হবে না, বরং আপনার মৃত্যুও হতে পারে। এই বিবেকতো সৃষ্টিকর্তা আপনাকে দিয়েই দিয়েছেন।
যেমন ধরুন, আজকাল Utube বা অন্য সোশ্যাল মিডিয়াতে ভালো জিনিসের সাথে সাথে অসংখ গার্বেজ এর ছড়াছড়ি। আমাদের ট্রেন্ডটা দুঃখজনক হলেও গার্বেজ এর দিকে বেশি থাকে। এবং গবেষণায় দেখা গেছে যারা এই গার্বেজ নিয়ে বেশি নাড়াচাড়া করে তাদের মনের বা অন্তরের অবস্থা ততটা ভালো নয়। এর পরেও যদি ওই গার্বেজ আপনার মনটাকে শান্তি দেয় বা Blissful করে তাহলে সমস্যা নেই, করেন ওগুলি নিয়ে নাড়াচাড়া।
সপ্তাহ দুয়েক আগে আমার কয়েকদিন ছুটি ছিল। ওই সময় একদিন গ্রামের মধ্যে লং ড্রাইভে গেছি এবং নির্জন বনে বরফপাড়া রাস্তায় হাইকিং করেছি, দুই একটি বই পড়েছি, দুই একটি মুভি দেখেছি। আর Utube থেকে সুন্দর সুন্দর কিছু ডকুমেন্টারী দেখেছি। ওই সময় আবার বাংলাদেশে সরকারের দুর্নীতি নিয়ে একটি বিদেশী চ্যানেলের প্রোগ্রামকে কেন্দ্র করে বেশ হৈচৈ। আমাকে আমার কিছু শুভাকাঙ্খী ওই জিনিসের লিংক ইনবক্স করেছে। তারা হয়তো ভেবেছেন আমাকে ওই জিনিষগুলি এন্টারটেইন করে তাই হয়তো আমাকে পাঠিয়েছেন, কিন্তু আমার দীর্ঘদিন পর পাওয়া ছুটির দিনগুলিকে ওই জাতীয় মূল্যহীন (অন্তত আমার কাছে) জিনিস দিয়ে শেষ করতে চাই নি। আর তাছাড়া আমি ওই বিষয় নিয়ে গবেষণা করছি না বা আমি কোনো রিপোর্টার নোই যে আমার ওগুলি দেখতে হবে। বেক্তিগতভাবে ওগুলি আমার কাছে পুরানো প্যাচাল, এবং আমার দেখাতে বা শোনাতে ওগুলির কোনো পরিবর্তন হবে না। তবে ওই সময় আমি যে ডকুমেন্টারিগুলি দেখেছিলাম তার একটির লিংক আমি নিচে দিচ্ছি। সময় পেলে দেখবেন। দেখেবন আমরা অনেক কিছু নিয়ে হা হুতাশ করে মরি, অথচ এই বর্তমান পৃথিবীরই অন্য কোনো প্রান্তে কিছু মানুষ আমাদের কাছে যেগুলি মামুলি ব্যাপার সেই জিনিষগুলি অর্জনের জন্য কি ধরনের কষ্ট করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
লিংকের ডকুমেন্টারিতে দেখানো হয়েছে যে, মঙ্গোলিয়ার বেদুইন (Nomad) লোকজন তাদের বাচ্চাদের শিক্ষার জন্য কি কষ্টই না করে। বচ্চারা নিজে এবং তাদের বাবা মা কি কষ্টই করেন। আমি মনে করে এই ডকুমেন্টারিটি আমাদের প্রতিটি বাচ্চাদের এবং ইস্কুলে দেখানো উচিত। We take so many things granted for কিন্তু সেই জিনিসটি কত মূল্যবান সেটি আমরা সবসময় বুঝি না। আমরা যখন আমাদের বাচ্চাকে বাসে নিবো না হেটে নিবো নাকি গাড়িতে করে ইস্কুলে নিবো এই নিয়ে ভাবনায় থাকি তখন নিচের ডকুমেন্টারিতে একজন মাত্র ১০ বছরের মঙ্গোলিয়ান ছেলেকে প্রতি ইস্কুল দিনে বরফের মধ্যে Sub-Zero তাপমাত্রায় ১০/১২ কিঃমিঃ পথ ঘোড়ায় চড়ে বরফ ঢাকা পথ এবং নদী পার হয়ে শিক্ষা নামক জিনিসটি অর্জনের পিছনে ছুটতে হয়। ছেলেটির বরফজমা নদী একা একা অতি সাবধানে ঘোড়ায় চড়ে পার হয়ে সময়মত ইস্কুলে যাওয়া দেখলে আপনার চোখে জল এসে যাবে।
আমি এখানে শুধু মঙ্গোলিয়ান বাচ্চাদের ইস্কুলে যাওয়ার Dangerous পথের উপর ডকুমেন্টারির লিংক দিয়েছি। আপনারা চাইলে ওই সিরিজ থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের ইস্কুলে যাওয়ার Dangerous পথের উপর ডকুমেন্টারি দেখতে পারেন। আমি আনন্দিত এবং appreciative যে ওই প্যাচাল বা নোংরা রাজনীতির নাটকের পিছনে সময় না কাটিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টরিটি দেখতে পেরেছি। শুরুতে যেটা বলেছি Tools আপনাকে দেওয়া হয়েছে এবং তার গুন্ বা আগুনের কথাও আপনার জানা। এখন আপনি সেটির সঠিক ব্যবহার করে নিজের জীবনকে সমৃদ্ধি করতে পারেন অথবা ঘন বিষন্নতায় ভোরে তুলতে পারেন।
ভালো থাকবেন। পজিটিভ ভাববেন এবং পজেটিভ কাজ করতে চেষ্টা করবেন। আপনি যেই ধর্মের বা যেই মতের বিশ্বাসী হউন না কেন “Try to be spiritual! It will bring you lots of peace”.
আজকের ভালোবাসার দিনে আপনাদের জন্য আমার ভালোবাসার এই ব্যাতিক্রমী উপহার !
সবাই ভালো থাকবেন।
মুকুল।
টরন্টো