মাসব্যাপী সততা আর নিষ্ঠা নিয়ে মহড়ায় মহড়ায় আমাদের সকল সহযোদ্ধাদের তিলে তিলে নিজেদের তৈরি করে একটি শিল্পসম্মত নিবেদনের মানসে ‘মৃত্তিকার পঙত্তি মালা ও শিকড়ের সুর’ নিয়ে হাজির হয়েছিলাম আমরা ‘অন্যস্বর’। মূল বিষয় ভাবনায় আমি হিমাদ্রী আর বুনন এবং নির্দেশনায় ছিলেন দলনেতা আহমেদ হোসেন আর ডালি সাজিয়েছি আমরা সকল সহযোদ্ধারা মিলে।
কাকলি দিদির কথা ধার করে বলছি শুভ চেতনার ধমনী কখনো রক্তশূণ্য হয় ন। আমাদের উপর বিশ্বাস নিয়ে, আপনাদের উদার উপস্তিতি, আমাদের প্রেরণার স্নায়ুতন্ত্রে অক্সিজেন যুগিয়েছে। ধৈর্যচ্যুতি না ঘটিয়ে, প্রতিটি পরিবেশনার প্রতি আপনাদের মোহাবিষ্টতা;আমাদের নিবেদনকে অন্য স্তরে নিয়ে গেছে। শুধু তাই নয় আপনারা ঠিক সময়ে এসেছেন বলেই আমরাও সঠিক সময়ে অনুষ্ঠান শুরু করতে পেরেছি। আপনারা আমাদের উপর ভরসা করে এসেছেন আমরা শিল্পের প্রতি দরদ উজাড় করে দিয়েছি। ঝান্ডা সব সময় উড়াতে হয় না কখনো-কখনো হৃদয়ে ঝড় তুলে যায়, সেই চেষ্টাই করেছি; জানিনা কতটা সফল হয়েছি? এর বিচারের ভার দর্শকদের উপর দিয়ে রাখলাম। তবে আসরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, বসে-বসে যে স্নিগ্ধতা ছড়িয়েছেন তাতে আমরা স্বার্থক হয়েছি।
প্রবীণ ও অগ্রজ বাচিক শিল্পীদের দেখে মনে হয়েছে, একান্নবর্তী পরিবারের জমায়েত। যেন আজ ‘মিলন তিথির পূর্ণিমা চাঁদ ঘোচায় অন্ধকার’।
বিশেষ করে আমাদের সাংস্কৃতিক অংগনের সংগঠক, কর্মি, ও মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, দুর দুরান্ত থেকে আসা, সর্বোপরি সকল দর্শক, ধুলোমাটির মানুষের কথকতা সুরের প্রতি এই ভালবাসায় ; আমরা উজ্জীবিত হলাম। তাই বলতে ইচ্ছা করছে ‘শুধু কবিতার জন্য আরো দীর্ঘ কাল বেঁচে থাকতে লোভ হয়’।
মাটির কাছাকাছি থাকা কবির সেই বাণী আর খেটে খাওয়া মানুষের সুরকে, যারা কান পেতে শুনেছেন, সকলকে সশ্রদ্ধ চিত্তের প্রণাম।
এই প্রেরণার বাতি টুকু জ্বালিয়ে রাখুন, সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা আর ‘কবিতার জন্য আমরা অমরত্ব তাচ্ছিল্য করতে পারি’।
ধন্যবাদ আহমেদ হোসেন, সুযোগ এবং সম্মানটুকু সকল সহযোদ্ধাদের হয়ে মাথায় তুলে নিয়েছি,ব্যাক্তি হিসাবে নয়।
ধন্যবাদ মনির বাবু ভাই প্রজেক্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আগলে রাখার জন্য।
ধন্যবাদ যারা পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন, সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের।
হিমাদ্রী রয় সঞ্জীব।