সান্ধ্য ঘনায় এসেছে। স্বামী বিবেকান্দ তার বন্ধু বৎসল নিয়ে বাহিরে, সেই যে সকালে বের হইয়াছেন। বৈকালে একবার বন্ধুকে লইয়া আসিয়া কিছু কর্ম কাজ করিয়াই তৎক্ষণাৎ বাহির হইয়া গেলেন।
বাহিরে বৃষ্টির আওয়াজ পাওয়া যাইতেছে। কিন্তু তুমুল বৃষ্টি বলিয়া যে ধরনের হওয়ার আশংকা করিয়াছিলাম বৈকালে তাহা আর হইলো না। মেঘের গর্জনে তাহাই প্রকাশ হইয়াছিলো।
তথিত কথায় রহিয়া…… যতটা গর্জে ততটা বর্সে না **
চুপচাপ বসিয়া থাকিতে থাকিতে হাতের কাছের মোবাইল লইয়া কিছু ইলেক্ট্রনিক ছোটাছুটি করিবার সাধ জাগিলো।
হঠাৎ করিয়া একটি ছোট্ট লেখা চক্ষে পড়িয়া চক্ষু ঐ স্থানে আটকিয়া গেলো।।
সারমর্ম এমন……
***তুমি কাদিলে কেহই তোমার চোক্ষের জল মুছিয়া দিবে না। কিন্তু তুমি একটা ভুল করিয়া দেখো, তৎক্ষণাৎ আঙ্গুল তুলিয়া দেখিয়া দেবার মানুষের অভাব হইবে না ***
সাধু থেকে চলিতে ফিরে আসি —–
এটা পড়িবার পর মনের ভিতর হইতে এক ধরনের সাইক্লোন এর উদ্ভব হইলো। আসলেই তো তুমি কাঁদলে বরং তোমায় দেখে হয়ত মানুষজন প্রশ্ন করে তোমার চোখে পানি কেনো??? তুমি কি কাঁদছো??? জল মুছিয়ে দেবার কথা তো না হয় বাদই দিলাম। আর ভুল??? মানুষের সহজাত স্বভাব এমনই যে তার ভাব প্রকাশটাই থাকে এমন সে কোন ভুল করে না, অন্যায় করে না, তার চারপাশের মানুষগুলো পাল্টিয়ে অন্যায় কে ন্যায় করবে কিন্তু সে তার ভাবমূর্তি বজায় রাখবে।
আজকাল চারপাশের কাছের মানুষগুলোই এমন।।। তোমাকে সুদ্ধ হতে হবে।।।
এমন কোন মানুষ কি আছে যে তুমি ভুল করবে তোমায় সুদ্ধ করবে কিন্তু অপবাদ কটুক্তি করবে না 🙂
এ সমাজে, মহলে, ঘরে – বাইরে বড়াই করতে মানুষ পছন্দ করে।
কিন্তু আপন করে আপন ভেবে বন্ধু হয়ে নিজের পছন্দের সাথে না মিললেও সমোজতা করে পছন্দ বানিয়ে নিজের আপন করতে কজন পারে??? পারে না।।
শেষটা তথিত কথায় আসি 🙂
চালুনি বলে সূঁচকে, এই সূঁচ তোর পাছায় অনেক বড় ফুটা…….
সূঁচ হাসে। চালুনি তখন বলে এই তুই হাসছিস কেনো?
সূঁচ তখন অবাক হয়ে চালুনিকে বলে, তোর যে এতো ফুটা সেটায় নজর নাই তুই আমার একটা ফুটায় এতো বড় করে দেখলি /////
নীলিকা নীলাচল *****