“আমি বাংলাদেশের কাছে বলবো ,
সারা পৃথিবীর কাছে বলবো
এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য।” -নুসরাত জাহান
কথাগুলো কার আমরা সবাই জানি। এই আকুতি যার ছিল সে চলে গেছে। নুসরাত জাহান চলে গেছে না ফেরার দেশে। সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় , দেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে সেই প্রতিবাদ। কিন্তু কতদিন ? সাগর রুনি , তনুর মতোই একদিন নুসরাতও হারিয়ে যাবে। সাক্ষী হয়ে থাকবে শুধু সময়। একটা জাতি হিসাবে এটা আমাদের জন্য বড়ই লজ্জার।
নুসরাতের স্মরণে ১২ই এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় টরন্টোর ডানফোর্থে আয়োজন করা হয়েছিল একটা মানব বন্ধনের। সমাজের বিভিন্ন পেশাজীবীর ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্টানের প্রধান আহব্বায়ক ছিলেন জনাব আতিকুল ইসলাম।
আতিকুল ইসলাম একজন তরুণ প্রকৌশলী। একজন প্রতিবাদী তরুণ। তার আপোষহীন প্রতিবাদী কর্মকান্ড শুরু হয়ে ছিল স্কুল জীবন থেকে। যার ডাকে সারা দিয়ে এগিয়ে আসেন আরো অনেকে।যার মধ্যে সক্রিয় ভাবে ছিলেন জনাব নওশের আলী , কাজী আব্দুল বাসিত , মাসুম চৌধুরী সহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখেন জনাব আতিকুল ইসলাম , জনাব নওশের আলী প্রমুখ। এরপরে মানব বন্ধনে আসা অনেকেই বক্তব্য রাখেন ওখানে।
হাসিনা আক্তার জানু বলেন “আমরা আরেকটা নুসরাত দেখতে চাই না “
উপস্থিত একজন মহিলা বললেন “আমি নুসরাতের মা , আমি আমার মেয়ের ধর্ষণের বিচার চাই, সব মায়েরা রুখে দাঁড়ান , সব নারীরা রুখে দাঁড়ান”
সায়েদা বারী বললেন ” ধর্ষণের জন্য বাংলাদেশে জিরো টলারেন্স হওয়া উচিত। পৃথিবী থেকে ধর্ষণ শব্দটা উঠে যাওয়া উচিত। “
নুসরাতকে নিয়ে স্বরচিত কবিতা পাঠ বিশিষ্ট লেখিকা মৌ মধুবন্তী।
একটা সময় উপযোগী বলিষ্ঠ পদক্ষেপের জন্য জনাব আতিকুল ইসলাম ও তার সকল সহকর্মীদের পরবাসী ব্লগের পক্ষথেকে ধন্যবাদ জানাই।