দেশে অনেক আগে প্রতিটি দলের রাজীনীতি খুব কাছে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে, তাছাড়া রাজনীনিতি খুব ভালো বুঝিও না; সে জন্য রাজনীতি নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাই না। ভোটাভুটির সময় কখনো দলের নীতি, আমার স্বার্থ এবং নিদৃষ্ট পদপ্রাথীর ব্যক্তিত্বের কারণেও ভোট প্রয়গ করে থাকি। হয়তো বা দলের নীতি আমার পছন্দ নয় কিন্তু সেই দোল থেকে কেউ দাঁড়িয়েছে তার বেক্তিগত ভালো কিছু জিনিসের কারণে তাকেও কখনো ভোট দেওয়া হয়।
যাহোক বেক্তি ডগ ফোর্ডকে আমি ভালো করে জানিনা তবে তার নীতি বা নীতি বিষয়ক চিন্তা ভাবনা অনেকটাই জেনেছি আর তার অধিকাংশই আমার পছন্দ না। এখন আমার পছন্দ হোক আর না হোক, সে এখন আমাদের legitimate প্রিমিয়ার।
সে যে বলছে কাউন্সিলরের সংখ্যা ২৫ সে আনলে ট্যাক্স পেয়ারদের টাকা সেভ হবে ইত্যাদি। সেটা হতেও পারে কিন্তু জিনিসটি সে যেভাবে হুট্ করে সিটি কাউন্সিলের কিছু লোকের উপর বেক্তিগত ক্ষোভের কারণে ঠিক ইলেক্শনের পূর্ব মুহূর্তে, সবার সাথে আলাপ না করে বিল একটা এনে সেটা পাস্ করে এই ইলেক্শনেই সেটা করতে হবে সেটি আমার মতে ঠিক করেন নি।
তারপর তিনি কথায় কথায় বলছেন ২.৫ মিলিয়ন পিপল তাকে ম্যানডেট দিয়েছেন তাই তার আর কারো সাথে আলোচনা দরকার নেই। সে ভুলে জাস্ছে যে ইলেক্শনের আগ পর্যন্ত সে একটি পার্টির নেতা এবং ইলেক্শনের পরের সে সেই পার্টির প্রধান হতে পারে, কিন্তু ইলেক্শনের পরে সে তার পক্ষের বা বিপক্ষের প্রতিটি মানুষেরই প্রিমিয়ার, সেখানে তাঁর বার বার ২.৫ মিলিয়নের ম্যান্ডেট বলা ঠিক না, এখানেই তো সে অগণতান্ত্রিক কথা বলছেন যদিও কালকে সে কয়েকবার সংসদে বলেছেন সে শধু কেয়ার করে গণতন্ত্রের।
তাছাড়া তার এই হিডেন এজেন্ডার কথা ইলেক্শনের আগে বলেন নি। আগে বললে ওই ২.৫ মিলিয়ন সবাই যে এটা পছন্দ করতো তা তো আমরা বলতে পারি না।
বিল সে উপস্থাপন করতেই পারে। কিন্তু আলাপ আলোচনা করে সময়মত বিল পাস্ করলে, যদি সেটা ট্যাক্স পেয়ারদের জন্য ভালো হয় তাহলে অবশই মানুষ সেটা পছন্দ করবে কিন্তু whimsically কিছু করা ঠিক না।
যাহোক এবার অন্য কথায় আসি। কাল থেকে আজ পর্যন্ত অনেক গ্রূপের সাইটে বা বেক্তিগত সাইটে অনেকে কিছু কিছু ছবি দিয়ে কিছু মন্তব্য করছেন যেটা মন্তব্য এবং ছবির সাথে মিল নেই।
যেমন পুলিশ হাত কড়া দিয়ে দুটি সিনিয়র সিটিজেনকে সংসদ থেকে নিয়ে জাস্ছে। এক্ষেত্রে পুলিশ কিন্তু তারা যে ডগ ফোর্ডের বিলের প্রতিবাদ করছে সে জন্য নিয়ে গেছে তা ঠিক নয়। তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কারণ যেটা নিষেদ তারা সেটা করেছে। স্পিকার তাদেরকে নিষেদ করা সত্ত্বেও তারা শোনে নি, তারপর পুলিশ স্পিকারএর নির্দেশে তাদেরকে বের করে দেয়। এক্ষত্রে পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। এখানে পুলিশ ডগ ফোর্ডের স্বার্থে কাজ করেনি। ঠিক তেমনি বিরোধী দলের নেত্রীকে সংসদ থেকে বের করে দেওয়া হয়, এখানেও ডগ ফোর্ড বা ডগ ফোর্ডের কথা শুনে পুলিশ তাদেরকে বের করে দেয়নি, তারা নিয়ম ভঙ্গ করেছে তাই তাদেরকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এবং বিরোধী দলের নেতা বা এমপিরাও কিন্তু তাদেরকে বের করার জন্য পুলিশের সাথে ধস্তা-ধস্তি বা মারা মারি করে নি যেটা অনেক দেশেই দেখা যায়, এক্ষেত্রে তারাও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন।
সংসদে আপনার যাওয়ার অধিকার যেমন আছে তেমনি সেখানকার নিয়ম কানুন মানার দায়িত্বও আপনার, আর সেই দায়িত্বের অবহেলা করলে পুলিশকে তার দায়িত্ব পালন করতে হবে, এখানে সেটা তারা করেছে। পুলিশও যে সব সময় সেটা করতে পারছে তা নয়, আর সে জন্যই মাঝে মধ্যে তাদেরকে জবাবদিহি করতে হয় এবং জেলেও যেতে হয়। কালকেই জেল হলো রোমান নামের সেই পুলিশের যার dangerous on the job ড্রাইভিং এর কারণে এক বেক্তির মৃত্যু হয়।
এখানে পুলিশ অন্য অনেক দেশের মতো কোনো দলের হয়ে বা দলের নির্দেশে কাজ করে না। তা না হলে ভূতপূর্ব মেয়র রব ফোর্ডের ড্রাগ কেলেঙ্কারি বিষয়ে পুলিশের চিফ বিল ব্লেয়ার চুপ থাকতো। তারপর আমার মনে আছে কয়েকবছর আগে প্রভিন্সিয়াল ইলেক্শনের আগে Tim Hudak, বিরোধী দলীয় নেতা এবং তার প্রিমিয়ার হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, সে তার সঙ্গীদের নিয়ে সাবওয়ে তে election campaign এর কথা বলতে গেলে সাবওয়ের এক কনেস্টেবল তাকে বলেন “এখানে প্রচারণা নিষেদ দয়া করে নেমে যান”, এই নিয়ে সে একটি কথাও বলেন নি যদিও তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলকে ধুয়ে দিতেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন এবং নেমে এসেছেন।
দেখা যাক, মিঃ ফোর্ড যদি ভালো কিছু করেন সে আবার ক্ষমতায় আসবে, আবার না করলে চলে যাবেন। আপনাদের অনেকের হয়তো Mike হারিস এর তথাকথিত commonsense revulation এর কথা মনে আছে, কিন্তু তার দুই দুইবার ক্ষমতায় থাকার পরেও তার নীতির কার্যকলাপে অতিষ্ট হয়ে conservativeকে এই প্রদেশের মানুষ ১০ বছরের বেশি ক্ষমতার বাইরে রেখেছে। মানুষ পরিবর্তন চেয়ে মিঃ ফোর্ডকে সুযোগ দিয়েছে, কিন্তু সেই সুযোগকে যদি উনি হাতের মোয়া মনে করেন আর জনগনের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করেন তাহলে তার পতন হবে।
যাহোক আমাদের মন্তব্ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে আমরা যেন মানুষদেরকে ভুল মেসেজ না দেই। কানাডা ধোয়া তুলসীর পাতা নয় বা ইউটোপিয়া অথবা স্বর্গ নয় তাই এখানে চ্যালেঞ্জ বা সমস্যাও থাকতে পারে কিন্তু সেটা অন্নান্য অনেক দেশের তুলনায় অনেক কম এবং এখনো এখানে আইনের শাসন আছে।
আর আমি আমার সে সমস্ত বনধুদের বলবো যারা ভোটের দিন ভোট দিতে জানাননি তাদের উচিত এখন চুপ থাকা, কারণ জাগামতো প্রতিবাদ না করে ফাও চিল্লাছেলি করলে ফোর্ডের মতো লোক তাদের ইসছার প্রতিফলন ঘটাবেই। আপনি একজন সচেতন নাগরিক হলে দয়া করে ভোটের সময় আপনার ভোটটি দিন। আমরা সবাই দোআ করি চলমান সমস্যার যেন ভালো সমাধান হয়।
সবাই ভালো থাকেন। এগুলি আমার বেক্তিগত কথা। তারপরেও কেউ offensive feel করলে দুঃখিত।
বি. মুকুল