যারা সম্মুখ সাড়িতে আছেন তারা আপনার আমার প্রিয়জন।
আমি বিস্মিত হই যখন সরকারের, রাস্ট্রের ও দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নীতি নির্ধারক, সমন্বয় কারীরা কোন লিখিত গাইড লাইন না দিয়ে দেদারছে ভুল তথ্য দিয়ে স্বাস্থ্যসেবীদের চরম দূর্যোগে ফেলে দিয়েছেন। আপনারা যারা একাত্তর জার্নাল দেখেন প্রকৃত চিত্র দেখতে পারবেন,সংবাদ সংযোগে।
কোভিড ১৯ নাই, কিন্তু তারা বলছে আছে। আবার নিজেরাই স্বীকার করছে নাই। স্বনামধন্য একজন সাংবাদিক রীতিমতো একজন ডাক্তার কে ধমকিয়ে বললেন, আপানাকে কে বলছে পিপিই বারে বারে ব্যবহার করা যায় না? কারণ ওই ডাক্তার বলেছেন এটা একবার ব্যবহার করার নিয়ম।
আসলে নিয়ম হলো একবার ব্যবহার করার (according to WHO)
আবার জনস্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী পরিচালক ডাক্তারদের বলে দিলেন, আপনি মনে করবেন আপনার স্ত্রীরও করোনা পজিটিভ। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, ডাক্তারদের ধরে নিতে হবে যত রোগী আসে সবার করোনা আছে। আবার একই সময়ে তিনি বলছেন আপনি নিজে প্রটেকশন নিয়ে অন্যান্য রোগী দেখবেন। কিভাবে? উত্তর দিয়েছেন তিনি, রোগী যখন দেখবেন অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিঃশ্বাস নিবেন। দম বন্ধ করে রাখবেন! কি অদ্ভূত সমাধান!!
কিন্তু ডাক্তাররা নিজেদের কিভাবে প্রটেক্ট করবেন? আপনারা কি নিশ্চিত করেছেন প্রতিটি সরকারী হাসপাতালে কোভিড -১৯ সেফটি ইকুইপমেন্ট আছে? উনার উত্তর ফাইনালি “না”।
রোগীরা তাদের তথ্য লুকাচ্ছে, কারন তাদের একটা সামাজিক ” স্টিগমা” বা বিশেষ ভাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। তাদের বাড়ীতে রেড ফ্লাগ উড়িয়ে দিচ্ছে, পুলিশ প্রশাসনের অগোচরে। বাড়ী ছাড়তে বলা হচ্ছে ডাক্তারদের ( প্রধানমন্ত্রী এদের খুজে বের করতে বলেছেন, এসব বাড়ীওয়ালাদের)। করোনা হলেও ঘরে মানুষ মরে যাবে, যদি দ্রুত এসব সমাধান না করেন।
আমার মতো অতি সাধারণ মানুষের কথা শোনার দরকার নাই। শুধু কিছু জরুরী পদক্ষেপ নিন।
১৷ এই মহামারী আমরা কেউ দাওয়াত দিয়ে আনি নাই।
২। সারা বিশ্বে পিপিই র সংকট অনেক কমে গেছে, কারন তারা নিজেরাই উৎপাদন করছে খুব জরুরী ভিত্তিতে।
৩। প্রশাসনিক জটিলতা বাদ দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব এই সব প্রান রক্ষাকারী প্রটেক্টটিভ ইকুইপমেন্ট আনার ব্যবস্থা করুন।
৪। শুধু করোনার চিকিৎসক কেন সব হাসপাতালের ডাক্তারদের এই কোভিড -১৯ ইকুইপমেন্ট লাগবেই। কারন বাংলাদেশে এটা কমিউনিটি লেভেলে অনেক বেশী ছড়িয়ে গেছে। রোগীরা ভয়ে তথ্য গোপন করছে।
৫। প্রতিটি জেলার হাসপাতালের ভেন্টিলেটর ঠিক আছে কিনা দ্রুত পরীক্ষা করে টেক্নিশিয়ানদের রেডী রাখুন।
৬। টেক্নোলজির সহায়তা নিয়ে সারাবিশ্বের এক্সপার্টিজদের সাহায্য নিন।
৭। মন্ত্রী, এম পি, আর স্থানীয় দলীয় নেতৃবৃন্দ সব কোরাইন্টানে আছেন। তাদেরকে পি পি ই পরে মানুষের দূর্দশা দেখে আসতে নির্দেশ দেন।
এখানে হার জিতের প্রশ্ন না, এখানে মানুষের জীবন মরন সমস্যা। এই অদেখা শত্রু কাউকে ছাড়ছে না। এই ভাইরাস বুঝতে পারেনা,বা মহাশক্তিশালীদের ভাষা, না হলে সব হতভাগ্য মানুষদের সে ভ্যানিশ করে দিত এতোক্ষণে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা, আপনার উদ্বিগন্নতা আমাদের কাদায়, অসহায় মনে হয়। দেশ, বিদেশের সব দেশ প্রেমিক মানুষকে আপনি পাশে পাবেন। এই যুদ্ধে জিতে যাবে মানবিকতা। সবার জন্য শুভকামনা।