বাংলাভাষা ও বাংলা সাহিত্যের মূলস্রোত কে কানাডার পরিমণ্ডলে  সঠিক ভাবে সম্প্রসারণের  অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে একজন  নিবেদিতপ্রাণ ও অমায়িকউদ্যোমী ব্যাক্তিত্ব বাংলাদেশি কানাডিয়ান  শেখ সাদী আহমেদ   ২০০৩ সালে কানাডার টরেন্টো শহরে প্রথম  বাংলা বইয়েরঐতিহ্যবাহী দোকান “অন্যমেলার’ প্রতিষ্ঠাকরেন , ‘ অন্যমেলা’  টরেন্টোর বাংলা টাউন রূপে জনপ্রিয় ২৯৮৬  ডানফোর্থ সড়কেঅবস্থিত  l এরই ধারাবাহিকতায় শেখ সাদী আহমেদের সফল নেতৃত্ব ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কানাডার  ‘টরেন্টো বাংলা বই মেলার’ যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সাল হতে । এই বছর আগামী ৬  ও ৭ অগাস্টে অনুষ্ঠিত হবে টরেন্টো বাংলা বই মেলা l আর এর মাধ্যমঐতিহ্যবাহী টরেন্টো বাংলা বই মেলা পদার্পণ করবে ষোল বছরে l

বর্তমানে টরেন্টো বই মেলা শুধুমাত্র কানাডার  বাংলাদেশিলেখক  ও বাংলাদেশের প্রকাশক , লেখকদের নয় বরং একই সাথে বহুজাতিক সংষ্কৃতির প্রতি উদার কানাডার অভিবাসী , লেখকসহ সাধারণ মানুষের  ভাব ও সংষ্কৃতির আদান প্রদানের একটি সফল জনপ্রিয় বার্ষি ক মিলন মেলাআর  উৎসবে পরিণত হয়েছেl এই ভাবে টরেন্টো বাংলা বই মেলা বাঙালি বাংলা সাহিত্যের মূলস্রোতের  বিকাশর অঙ্গীকারে সাংষ্কৃতিক সত্তার এক সফলপ্রতিফলন রূপে বাংলাদেশি কানাডিয়ান দের জীবনে ভূমিকা রেখে আসছে ।

টরেন্টো বই মেলার স্থপতি ও মূল রূপকার  , মূল আয়োজক নিবেদিত প্রাণ  বাংলাদেশি  কানাডিয়ান শেখ সাদী আহমেদ  বাংলাদেশের দেশাত্মবোধে লালিত সাহিত্য ও বইপ্রেমীমানুষ l বাংলার আবহমান সাহিত্য সংষ্কৃতির সঠিক বিকাশের প্রতি অবিচল  শেখ সাদী আহমেদের নিরলস নেতৃত্বে আর প্রচেষ্টার  ফলস্বরূপ  বাংলা বইমেলা কানাডার পরিমণ্ডলে সৃষ্টি করেছে এক অনন্য স্বতন্ত্র ঐতিহ্য lবহুমুখী   প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও  পাড়িদিয়েছে দীর্ঘ সফল পথ পরিক্রমা l টরেন্টো বাংলা বই মেলা বাংলাদেশের অমর একুশে ফেব্রুয়ারির বই মেলা অনুষ্ঠিত হবার পরআমাদের ১৯৫২ সালের মহান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের  ও মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের আবহের ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত হয় l একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে শেখ সাদী আহমেদ আলোকপাত করলেন  টরেন্টো বাংলা বইমেলা বিষয়ক বিভিন্নতাৎপর্যপূর্ণ কয়েকটি দিক  l

প্রশ্ন.১ –  আসালামুআলাইকুম । কোন ভাবাদর্শ , দর্শন ও আদর্শ থেকে কানাডায় প্রবাস জীবনে বাংলা বই এর বিকাশ নিয়ে কাজকরেছেন আর এক্ষেত্রে আপনার কোন সুনির্দিষ্ট  চিন্তাকে প্রাধান্য দিয়েছেন ?

উওর – ওয়ালাইকুম আসসালাম l জীবন সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি তা সে পার্থিব কিংবা অপার্থিব যাই হোক না কেন তা হলদর্শনএর মুল বিষয।আর প্রতিটি মানু্য তার চিন্তাচেতনায় বা যে কোন ক্ষেত্র বিশেষে গভীর উপলব্ধি ধারণ ও বহন করে ।এইবহমানতাই তার পরিচয় ও কার্যক্ষেত্র। ব্যক্তিগত ভাবে আমার মনে হয়েছে পৃথিবীর যে অঞ্চলেই আমরা  বসবাস করি না কেন  বাঙালীর য়ে আবহমান কৃ্ষ্টি , সমৃদ্ধ সংস্কৃতি রয়েছে তা অন্যান্য জন এবং নব প্রজন্মের মধ্যে তুলে ধরা ; আর এর জন্যপ্রয়োজন ভাল বই । আর এ কারনেই বাংলা বইএর প্রাধান্য ।মেধা ও মনন বিকাশের ক্ষেত্রে মাতৃভাষার চর্চা প্রয়োজন ।বই হলোসেই চর্চার অন্যতম সেরা মাধ্যম।

প্রশ্ন.২- টরেন্টোর বাংলা বই মেলা আয়োজনে কি মাত্রার প্রতিবন্ধকতার সন্মূখীন হয়েছেন ও হচ্ছেন ? প্রতি বছরের এই বই মেলায়সাধারণত কেমন সাড়া মিলছে সেই দিকটা কিছুটা আলোকপাত করবেন কি ?

উওর- যে কোনো বৃহৎ ও মহৎ কাজ করতে গেলে  নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা আসে।সেটা স্বাভাবিক । তবে বাংলা বই মেলার মতঅতি উচ্চমার্গের একটি আয়োজন করতে বিশেষত অভিবাসী জীবনে প্রতিকূল পরিবেশ; আর্থিকসংকট এবং এ কারনেঅধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিকল্পনা মোতাবেক বই মেলা করা হয়ে উঠে না।এছাড়াও ব্যক্তিগত আভিজাত্যের আত্মাভিমান ওঅনেককেরই  নির্লিপ্তার কারন একটি প্রতিবন্ধকতা । প্রতি বৎসর অভিবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধি, প্রজন্মের অধিকতর অংশ গ্রহণবাংলাদেশ থেকে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে বাংলাদেশের  স্বনাম খ্যাত প্রকাশকবৃন্দ যেমন সময়, কথাপ্রকাশ, অনন্যা , অংকুর সহঅন্যান্য প্রকাশক বৃন্দের অংশ গ্রহন তথাতাঁদের বিপুল বই সম্ভার অভিবাসী ও প্রজন্মের মধ্যে ব্যপকউৎসাহ উদ্দীপনা  এবংআগ্রহ তৈরী করেছে।এ ছাড়াও বাংলা একাডেমি সহ বাংলাদেশের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বরেণ্য ব্যক্তিত্ব টরন্টো বাংলা বই মেলায়অংশ গ্রহন করে উৎসাহিতকরে গেছেন ।একই সাথে স্হানীয় অভিবাসী লেখক, কবি ,শিল্পী , সাহিত্যিক বৃন্দ তাঁদেরপৃষ্ঠপোষকতা দিয়েবই মেলা কে আরো বেগবান করেছেন ।

প্রশ্ন .৩- টরন্টো বাংলা বই মেলা সম্পকে আপনার অভিমত কি?

উওর – টরন্টো বাংলা বই মেলা কানাডার বাংলাদেশিদের  একটি বড় অনুস্ঠান ।১৫তম টরন্টো বাংলা বই মেলা উদ্বোধনকালেবাংলাদেশের বরেণ্য কবি – কবি আসাদ চৌধুরী বলেছেন – টরন্টোর একটি বিশেষ উৎসব এই বই মেলা । এক অর্থেকানাডার এক বড় উৎসব ।এই অর্থে সর্ব সাধারনের অভিপ্রায় তাঁর কন্ঠে উচ্চারিত ।টরন্টো বাংলা বইমেলা বিগত ২০০৭ সালথেকে শুরু হয়ে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে চলে এবছর ২০২২ এ ১৬ বৎসরে পদার্পণ করচ্ছে।

প্রশ্ন.৪-আমরা জানি কানাডায় বাংলা বইয়ের বিকাশে ও বইমেলা বিষয়ক আপনার অবদান অনন্য ।সেই প্রেক্ষিত হতে আপনারমতামত কি?

উওর – কানাডা বহু সাংস্কৃতিক দেশ হিসেবে পরিচিত এবং এখানে অভিবাসী সকল জাতী,গোষ্ঠী, সম্প্রদায়,এর আপন সংস্কৃতিচর্চা কেসন্মান ও উৎসাহ প্রদান এবং পৃষ্ঠপোষকতা করা হয় রাষ্ট্রীয় ভাবে।বাংলাদেশি  তথা বাঙলী হিসেবে আমার মনে হয়েছেআমাদের জাতিয় জীবনের অনেক কিছু  এখানে পালনের চেষ্টা করিএবং পালন করি ।সেই হিসেবে আমাদের একটি জাতিয়অনুস্ঠান বইমেলা ।যার সাথে আমাদের ইতিহাস , ঐতিহ্য , এমনকি জাতিয় স্বত্বা জড়িত।সে রকম একটি জাতীয় বিষয়ের সাথেনিজেকে জড়িত করতে পেরে স্বস্তি অনুভব করি প্রতিনিয়ত। দেখুন কানাডা আমার মাতৃভূমি নয় বাসভূমি।জীবনের অধের্কসময়এখানে অতিবাহিত করেছি; এই দেশের এই সমাজের অংশ হিসেবে।তবু আমার মানস গঠন , আমার চেতনার উন্মেষআমার জন্মভূমি বাংলাদেশে।সে দেশের মাটি, আকাশ, বাতাস,থেকে বয়োপ্রপ্তি ও স্হিতি লাভ করেছি।এর জন্য আমাকে অতিঅব্যশই সতত মাতৃভৃমি র সেবা ও পরিচর্যা করে যেতে হবে। তা যে কোনোউপায়ে হোক না কেন।আর এটি আমার ব্যক্তিগতঅভিমত।

প্রশ্ন ৫- আপনার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন বিষয়ক  কিছুটা ধারণা দিবেন কি ?

উত্তর – আমি ও আমার সহধর্মিনী বাংলাদেশের স্নাতকোত্তর এবং বাংলাদেশে প্রথম শ্রেনীর সরকারী চাকুরি জীবি ছিলাম।আমার এক কন্যা কানাডায় লেখা- পড়া শেষেকানাডার প্রাদেশিক সরকার এর অধীনে চাকুরি রত।

আন্তরিক ধন্যবাদ শেখ সাদী আহমেদ ভাই আপনার গুরত্বপূর্ন সময় হতে কিছুটা আমাকে দেবার জন্য l

উত্তর – আপনাকে ও আন্তরিক ধন্যবাদ l

উল্লেখ্য যে প্রতি বছর বাংলা বই মেলার পাশাপাশি শেখ সাদী আহমেদস্থানীয় ও কানাডার বাঙালি লেখক , চিন্তাবিদদের সমন্বয়ে’ অন্যমেলায় ‘ নিয়মিতভাবে আলোচনা বাংলা সাহিত্য সভা , নুতন ও দুষ্প্রাপ্য বাংলা বই বিষয়ক আলোচনা ,বই পরিচিতি , কবিতা পাঠ , খ্যাতিমান ব্যাক্তিদের শুভেচ্ছা বিনিময় , জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম  এবং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরজন্মজয়ন্তী পালন  , স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস স্মরণিকা প্রকাশ ,বিষয়ভিত্তিক সাহিত্য আলোচনা ইত্যাদি বিভিন্ন আয়োজনেরমাধ্যমে বাংলার সাহিত্য ও সংষ্কৃতির গতিময়তা কে অক্ষুন্ন রেখেছেন l

“ রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে আসবে, কিন্তু বইখানা অনন্ত- যৌবনা- যদি তেমন বই হয়।”কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী একটি ভাল  বইয়ের দীর্ঘস্থায়ী  গুরুত্বের দিকটা বিশ্লেষণের প্রেক্ষিতে   ইরানের দার্শনিক কবিওমর খৈয়ামের অমর একটি রুবাইয়া কে এভাবে উল্লেখ  করেছেন ।একটি ভাল বই , প্রজন্ম হতে প্রজন্মান্তরে মানুষেরজীবনবোধের  বিকাশ ঘটিয়ে  প্রেরণার অমলিন উৎস হয়ে বেঁচে থাকে আর মানবতার সুকুমার বোধ গুলি কে বিকশিত করে i

কানাডার পরিমন্ডলে টরেন্টো বাংলা বই মেলার ও বাংলাসাহিত্যের , বাংলাভাষা বিকাশের জয়যাত্রা র বিকাশ  শ্রী বৃদ্ধি লাভকরবে আর বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বেঁচে থাকবে  আমাদের বাঙালি ও বাংলাদশিদের  স্বতন্ত্র আত্মপরিচয়ের ভিত্তি , আমাদের বাংলা ভাষা l এই ভাবে আমাদেরসংষ্কৃতির প্রবাহ কে আমরা আরো সুদৃঢ অবস্থান নিয়ে যেতে সক্ষম হবো দীর্ঘ সময় ।সেই প্রত্যাশা য়  আমার অফুরান শুভকামনা শেখ সাদী আহমেদ সহ বাংলা বই মেলার সাথে সংশ্লিষ্ট সম্মানিত সকলের জন্য l

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘কণ্ঠচিত্রণ’ এর আবৃত্তি কর্মশালা
পরবর্তী নিবন্ধবর্ণাঢ্য আয়োজনে ষোলতম টরেন্টো বাংলা বই মেলা উদযাপিত
ফারজানা নাজ শম্পা
কানাডার বৃটিশ কলোম্বিয়ায় স্বপরিবারে বসবাসরত ফারজানা নাজ শম্পা একজন লেখক , সংবাদ প্রতিনিধি ও অনুবাদক l নব্বই এর দশক হতে লেখালিখির সাথে সম্পৃক্ত ফারজানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসন বিষয়ে মাস্টার্স ও নরওয়ের বার্গেন বিশ্ববিদ্যালয় নোরাড ফেলোশীপ নিয়ে 'জেন্ডার উন্নয়ন ‘বিষয়ে এম ফিল সমাপ্ত করেন ।কর্মসূত্রে তিনি বাংলাদেশের 'দি ডেইলি ইনডিপেন্ডেন্ট ' এ সাংবাদিক ও ফিচার লেখক হিসেবে ও পরবর্তী তে নেদারল্যান্ডসের একটি গবেষনা প্রতিষ্ঠানের সহায়তা পুস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের " উইমেন ও জেন্ডার স্টাডিজ" বিভাগের একটি প্রজেক্ট অফিসিয়ালের দায়িত্বে কিছুদিন কর্মরত ছিলেন l যুগান্তর , কানাডার জনপ্রিয় পরবাসী ব্লগ , ঢাকা প্রকাশ , ভারতের র কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় নিয়মিত ভাবে তার লেখা প্রকাশিত হচ্ছে । ফারজানা টরেন্টোর কানাডিয়ান বাংলাদেশি নিউজ সি বি এন ২৪ এর সাথে একজন উপদেষ্টা সংবাদ প্রতিনিধি ও নিয়মিত লেখক হিসেবে সংযুক্ত আছেন । ফারজানা বর্তমানে উত্তর আমেরিকা প্রথম আলোর কানাডার আটলান্টিক সংবাদ প্রতিনিধি হিসেবে সম্পৃক্ত আছেন l তিনি সাংবাদিকতার পাশাপাশি কানাডার সাহিত্যের সাথে বাংলা সাহিত্য ও সংষ্কৃতির মেলবন্ধন স্থাপন করে দুটি দেশের লেখক ও পাঠক সমাজে ভাষাগত পরিচয় ও সাংষ্কৃতিক ভাব বিনিময়ের সুদৃঢ় ভিত্তি স্থাপনের প্রত্যয় নিয়ে তিনি বর্তমানে কানাডার মূল ধারার কয়েকজন লেখকদের বিশেষ সম্মতিক্রমে তাঁদের সাহিত্য কর্ম অনুবাদের প্রয়াস নিয়েছেন l সম্প্রতি কানাডার জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক ব্রুস মাযারের নির্বাচিত কবিতার সমন্বয়ে বাংলা দেশের আরো প্রকাশনী হতে তার প্রথম ভাবানুবাদ গ্রন্থ প্রকাশ পেয়েছে ,যা ২০২২ সালের অমর একুশের বই মেলায় যথেষ্ট পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে l কানাডার সাহিত্য ইতিহাসের পাশাপাশি তিনি বাংলাদশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ,যুদ্ধশিশু ও মহিয়সী বীরাঙ্গনা নারীর জীবন, আত্মত্যাগ ইত্যাদি বিষয়ে তাঁর লেখা ও গবেষণার ক্ষেত্রকে বিস্তৃত করেছেন l তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ছয়টি , একটি বই এর নুতন সংস্করণ জার্মানির একটি প্রকাশনা হতে প্রাকাশিত হয়েছে l

১ মন্তব্য

  1. ফারজানা নাজ শম্পা আমার শিক্ষাগুরুর সমতুল্য। তাঁর লেখার মধ্যে আমি হারিয়ে যাই সবসময়।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন