হত্যা, খুন-খারাবী, দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু কম বেশি সব দেশেই আছে। আমরা অনেক সময় বলি যে আজকাল এগুলো এতো বেশি হয় যে এসব খবরে কেউ আর তেমন একটা উদ্বিগ্ন হয় না।
যে কোন অস্বাভাবিক মৃত্যুই চরম ক্ষোভের এবং হতাশার একটা ব্যাপার। হায়াত মউতের উপর আমাদের কারও হাত নাই ঠিকই কিন্তু তারপরও কিছু কিছু মৃত্যু কেন জানি কিছুতেই মানতে পারা যায় না।
রিয়া নামের ১১ বছরের বাচ্চা মেয়েটার এ্যাবডাকশানের এ্যাম্বার এ্যালার্ট আসলো রাত প্রায় পৌনে বারটার দিকে। মেসেজেটা এরকম ছিল যে এরকম বলা ছিল যে রিয়া নামের ১১ বছরের মেয়েটাকে তার বাবা অপহরন করেছে। এদেশে বাবা মার ডিভোর্স হয়ে গেলে অথবা লিভ টুগেদার পর্ব শেষে সন্তানের অভিভাকত্ব নিয়ে ঝামেলা থেকে এরকম হয় আগেও দেখেছি। হয়তো মেয়েটার মা অন্য কারুর সাথে সময় কাটাচ্ছে আর বাবাটা রেস্ট্রেইন অর্ডারের কারণে তার মেয়েকে চোখের দেখাও দেখতে পারছেনা এবং সুযোগ বুঝে মেয়েকে নিয়ে উধাও হয়েছে তবে বাবা নিশ্চয়ই মেয়েকে অনেক ভালোবাসে যার কারণে ধরা পড়বে জেনেও এরকম একটা ঝুঁকির কাজ সে করেছে – এই সব মন গড়া কথা ভেবে এই নিয়ে আর চিন্তা না করে ঘুমাতে যাই। খুব একটা গুরুত্ব না দেয়ার কারণ এগুলোর বেশির ভাগই দেখা গেছে পরে নিজেদের মধ্যে কোনও একটা রফা হয়ে যায় এবং খুব একটা ফলোআপ খবর আর থাকে না। সকালে অফিসের জন্য রেডি হতে হতে যথারীতি আলেক্সাকে ফ্লাশ ব্রিফিং দিতে বলি। আলেক্সা প্রথমেই যান্ত্রিক গলায় রিয়ার মৃতদেহ পাবার খবর টা দিল। এরকম একটা খবর দিয়ে শুক্রবারটা শুরু হবে চিন্তাও করতে পারিনি। আজকে সারাদিন এখানকার প্রতিটা নিউজ চ্যানেল, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি সহ বার বার ঘুরে ফিরে এই খবরটাই আসছে। কোনো খবরই দেখতে ইচ্ছা করছে না, বাচ্চাটা যে আর ফিরে আসবে না !
কেইটি স্টকটোন সদ্যোজাত সন্তান বেবি ক্রিস্টালকে (এই নামেই বাচ্চাটা পরিচিতি পায়) স্নোর মধ্যে ফেলে রাখে যেখানে সে ঠান্ডায় জমে গিয়ে মৃত্যু বরন করে। কেইটির ৬০ বছরের সাজা হয় কিন্তু বেবি ক্রিস্টালও আর ফেরত আসেনি।
কাকে সন্তান দেবেন কাকে দেবেন না বা দিলেও পুত্র না কন্যা দেবেন তা আল্লাহ পরিষ্কার ভাবে বলেছেন সুরা-শুরার ৪৯ থেকে ৫১ আয়াতে। ছেলে মেয়েদেরকে সারাক্ষন মাথায় তুলে নাচার কোনো মানে নাই কিন্তু তাই বলে আল্লাহর দেয়া অপূর্ব এই নেয়ামতকে মেরে ফেলবে !
Kichu kichu koshto kokhono kawke dekhano jai na shudhu matro buker bhutor ta kepe kepe uthe jokhon e mone pore ar chitkar kore kante ichche kore! 🙁