আজ সকালে বিবিসি বাংলা বিভাগের ব্রেকিং নিউজে একটা শিরোনাম দৃষ্টি আকর্ষণ করলো। ছোট একটা শিরোনাম হলেও আর পিছনের সংকেতটা ভয়ংকর।
শিরোনামটা ছিলো “ইতালির পর বাংলাদেশেই দ্রুততম ২ হাজার রোগী শনাক্ত”.. আগে জানতাম মানুষ একটা ভুল থেকে শিক্ষা নেয়। কিন্তু আমাদের জন্য হয়তো এই কথাটা মোটেই সত্য নয়। কারণ একই ভুল আমরা বার বার করছি। প্রথম ভুলটা ছিলো ইতালি থেকে আসা প্রবাসীদের চাপের মুখে তাদের ঘরে যেতে দেয়া। দ্বিতীয়ত হোম কোরানটিনে পাঠাবার পদ্ধতিটা ছিলো বড় রকমের একটা ভুল পদ্ধতি। তৃতীয়ত আইনদের যথাযত প্রয়োগ এবং জন সাঁচতনতা সৃষ্টির ব্যার্থতা। চতুর্থ ত্রান বিতরণে অব্যবস্থা ও চুরি। আরো অনেকগুলো কারন আছে , এখন সেই ফিরিস্তিতে যাবোনা। আমাদের দেশে আমরা অতি সহজে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখতে পারি , তাইতো এই দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে ও অন্যের হক চুরি করতে আমরা ভয় পাইনা। যার পরিপ্রেক্ষিতে খেটে খাওয়া মানুষগুলো ক্ষুধার যন্ত্রনায় কাজের জন্য বাইরে যেতে বাধ্য হচ্ছে। ওরাও জানে মৃত্যু আছে – হয় ক্ষুধায় নয়তো করেনায়। তাইতো ওরা ঘরের বাইরে যাচ্ছে কাজের খোঁজে , সেখানে হয়তো বাচার একটা সম্ভবনা আছে। কিন্তু ঘরে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে। এই অবস্থার জন্য দায়ী ত্রান চোররা। সরকার তার সাধ্যমতো চেষ্টা করছে খাদ্য সামগ্ৰি দেয়ার জন্য কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে তা পৌঁছায় না।
এই সব ত্রান চোরদের কেন আইনের আওতায় আনা হয় না ?
দেশের জনসংখ্যার অধিকাংশ মুসলমান এবং অত্যান্ত ধর্মভীরু। যার অধিকাংশ স্বল্প শিক্ষিত। তাদের এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে শুরু থেকে কিছু বক-ধার্মিক মোল্লারা তাদের ভুল পথে পরিচালনা করে আসছেন। এদের সংখ্যা কিন্তু খুব একটা বেশি নয়। সরকার ইচ্ছা করলেই সহজে এদের আইনের আওয়তায় আনতে পারেন। কারণ এরাই আল্লাহ ও তার রাসূলের বক্তব্যের অপব্যাখ্যা দিয়ে ধর্মপ্রাণ এই মানুষগুলোকে ভুল পথে পরিচালিত করছে। আমার এই বক্তব্য কিন্তু সকল ইমাম বা আলেম গোষ্ঠীর জন্য নয়। এদের বাইরে অনেকেই সত্যিকার অর্থে শিক্ষিত এবং ইসলামিক স্কলার , আর তারা কোরান আর সুন্নার আলোকে মানুষকে সঠিক পথের সন্ধান দেন। কারণ তারা কখনো ধর্মকে ব্যাবসা হিসাবে ব্যবহার করেন না।
সব কথার শেষ কথা – নিজের ভালো নিজের বুঝতে হবে। এই মুহূর্তে প্রয়োজন জন-সচেতনতা আর আমাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। এবং সরকারকে আইনের প্রয়োগে আরো কঠিন হওয়া প্রয়োজন।
সাবধান বাংলাদেশ আমরা কিন্তু ইতালির পথে হাটছি – যার পরিনাম হতে পারে অত্যান্ত ভয়াবহ।