প্রতিবার শীত আসার শুরুতেই আমাদের স্কুলের ছেলে মেয়েরা নিজেরা ফ্লাইয়ার্স বানিয়ে স্কুলের বিভিন্ন দেয়ালে টানিয়ে দেয়। এটা সারা কানাডার স্কুল গুলোর চিত্র। সেটা এলিমেন্টারী আর হাইস্কুল সবখানেই দেখবেন। “Your old stuff, Someones fresh start” তোমার পুরানো শীতের কাপড় গুলো, ধূয়ে পরিছন্ন করে হোম রুম টিচারের কাছে নিয়ে আসো। সবাই বিপুল উতসাহে কাজটি করে। শেষে দেখা যায় হাজার হাজার পিস জ্যাকেট, সোয়েটার জমা হয়ে গিয়েছে। তখন দায়িত্ব দেয়া হয় বিভিন্ন ক্লাশের টিচারদের ত্তত্বাবধানে ছাত্র/ছাত্রীরাই সেগুলো থেকে প্যাকেট করে,হোমলেস সেন্টার, মুসলিম ওয়েল ফেয়ার সেন্টার,চার্চ, যেখানে গরম কাপড় ছাড়া কেউ আছে সেখানে নিয়ে দিয়ে আসে। এমনকি অনেক ছাত্র/ছাত্রী আছে যাদের কেনার সামর্থ্য নাই তারাও সেখান থেকে কাপড় নিতে পারে।
আবার এখন ক্রীস্টমাস টাইম তাই প্রতি ক্লাশেই সেভাবে ফ্লাইয়ার্স টানানো, যে সব খাবার পচে যাবে না, প্লিজ সেসব কিছু খাবার যেমন পাস্তা,সেমাই, চাল, বিভিন্ন বিনস,ডাল, সস, যে যা পারো নিয়ে এসো। আমরা সে সব সর্ট করে প্যাকেট করে সেভাবে অভাবী পরিবার গুলোর হাতে তুলে দিয়ে আসি। এভাবে মানবিক কাজ গুলোর সাথে যখন ছেলেমেয়েরা জড়িত থাকে তারা কখনো শুধু নিজেদের নিয়ে চিন্তা করে না, তারা সমাজের ভাগ্যহীন মানুষের জন্য ভাবে। কাজ করে যায়।
বাংলাদেশেও এটা সম্ভব, স্কুলের শিক্ষকেরা এই উদ্যোগ নিলে এটা সফল হতে বাধ্য। ঈদ,কোরবানী, পূজায় যে যে টুকু পারে নিয়ে আসতে পারে। বাচ্চাদের বাবা মাকে আপনারা জানিয়ে দিন, অবশ্যই তারা স হ যোগিতা ক রবেন। আপনার স্কুলেই দেখবেন অনেক ছেলে মেয়ে আছে যাদের বাবা মায়ের সামর্থ্য নাই। তাদের মুখে হাসি ফোটাই। আমাদের ছেলে মেয়েদের মানবিক কাজে উৎসাহ দিলে বদলে যাবে সমাজ।