সকাল থেকেই বৃস্টি। সারাটা দিনই একটা অলস ভাব। কাজ থেকে ফিরতে না ফিরাতেই নিজের মাঝে একটা তাড়া অনুভব করছিলাম। মাসের শেষ শুক্রবার। অন্যমেলার সৃজন সন্ধ্যা। মিস করার কোনো ইচ্ছা ছিলোনা । তাইতো বেরিয়ে পড়লাম ,হাইওয়ে ৪০১ ধরতেই আবারো শুরু হলো হালকা বৃস্টি। নির্ধারিত সময়ের একটু দেরিতেই পৌছুলাম মিজান কমপ্লেক্সে। তখনো টিপ্ টিপ্ বৃস্টি পড়ছে। অনুষ্ঠান তথক্ষনে শুরু হয়ে গেছে।
হলরুমে ঢুকতেই মনটা বদলে গেল , অনেকগুলো সংস্কৃতি প্রিয় চেনা মুখ। চলছে আলোচনা পর্ব। এই মাসের বিষয় পহেলা বৈশাখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত সবাইকে স্বাগত জানালেন অন্যমেলার সাদী আহমেদ ভাই। এর পরে বক্তব্য রাখলেন টরন্টোর অতি পরিচিত সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিবর্গ। যাদের মধ্যে ছিলেন জনাব আশরাফ আলী , জনাব হাসান মাহমুদ,জনাব হাবীবুল্লাহ দুলাল,কবি মেহরাব রহমান ,অরুণা হায়দার ও জামান হাসিনা।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথের নৃত্যনাট্য “চণ্ডালিকা “.পরিবেশনায় ছিল সুকন্যা। নৃত্যনাট্য পরিচালনায় ছিলেন অরুণা হায়দার।
রবীন্দ্রনাথের নৃত্যনাট্য ‘চণ্ডালিকা’য় প্রকৃতি নামের এক অচ্ছুত নারীর দেহ-মনের চেতন লাভের গল্প দেখা যায়। এই অচ্ছুত চণ্ডালিনী নারীর নাম প্রকৃতি। প্রকৃতির কাছে এক বৌদ্ধ শিষ্য আনন্দ জলপান করতে চায় আর তাতেই প্রকৃতির সমস্ত অবগুণ্ঠন খুলে যায়। নিজেকে অচ্ছুত চণ্ডাল নারী থেকে মানুষ হিসেবে আবিষ্কার করে। আপন সত্তার স্বরূপ তার কাছে আবিষ্কৃত হয়।সুকন্যের তরুণ-তরুনী শিল্পিবৃন্দ অত্যান্ত দক্ষ্যতার সাথে কাহিনীটার একটা জীবন্ত রূপ তুলে ধরেছিলো উপস্থিত দর্শকদের সামনে । সুকন্যার শিল্পিবৃন্দের অভিনয় জয় করে নেয় দর্শকদের মন।
একটা সুন্দর সন্ধ্যা উপহার দেবার জন্য পরবাসী ব্লগের পক্ষ্য থেকে অন্যমেলা ও সুকন্যাকে ধন্যবাদ জানাই।