আজকাল প্রায়শই ফেসবুক গ্রুপগুলোতে সব সময় বিভিন্ন রকম প্রশ্ন আসে। বিশেষ করে আইনগত পরামর্শ, অভিবাসী আইন, নতুন অভিবাসীদের চাকুরি, শিক্ষা এবং দৈনন্দিন বিষয়সহ আরো অনেক কিছু।
মজার বিষয় হলো প্রশ্ন আসার সাথে সাথে খুবই দ্রুত গতিতেই উত্তর আশা শুরু করে। যেমন ৩০ মিনিটে ৮৩ টা উত্তর। কিন্তু দুঃখজনক হলেও একথা সত্য যে বেশীর ভাগ উত্তরের সাথে প্রশ্নের কোনো সম্পর্ক থাকে না। উত্তরের পরিবর্তে সবাই তাদের অতীত অভিজ্ঞতা তুলে ধরাতেই ব্যস্ত বা প্রশ্নকর্তা যে বিষয় জানেন সেটাই বলা হয়। অবশ্যই এই প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবি রাখে, কিন্তু বাস্তবতার দৃষ্টিতে প্রশ্নকর্তার কাছে এর কোনো মূল্য নাই। এর মধ্যে ২/১টা সত্য উত্তর আসলেও বাকিদের ভিড়ে ওই গুলি হারিয়ে যায়. প্রশ্নকর্তার উত্তর প্রশ্নই রয়ে যায় ।
উপর উল্লেখিত বিষয়টি বিবেচনায় এনে পরবাসী ব্লগ ASK PAROBASHI নামে একটা বিভাগ চালু করেছে। যেখানে আপনি আপনার প্রশ্নটা পরবাসীর প্রোফেসনাল টিমের কাছে করতে পারবেন। যার উত্তর পরবাসী ব্লগ এবং তার ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করা হবে যাতে করে প্রশ্নকর্তা ছাড়াও আরো অনেকে উপকৃত হতে পারেন। পরবাসীর এই প্রফেশনাল টিমে থাকছেন মুকুল বদিউজ্জামান, সৈয়দ মসিউল হাসান এবং জাকির হোসেন। তাছাড়া ASK PAROBASHI টিম আপনাকে সঠিক প্রফেশনাল পরামর্শদাতার সন্ধান ও দিক নির্দেশনা দিতে পারবেন।
email address :- [email protected]
মুকুল বদিউজ্জামান স্বাস্থ্য সেবাখাতে কর্মরত একজন পেশাজীবী। বর্তমানে তিনি Reconnect Mental Health Services নামক মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক উন্নয়ন সংগঠনে কেস ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। বাংলাদেশ, ফিনল্যান্ড এবং কানাডায় তার পড়াশুনার বিষয়বস্তু ছিল সমাজতত্ত্ব, সমাজকর্ম, সমাজসেবা এবং সামাজিক নীতি গবেষণা। গত দশ বছর ধরে তিনি বিভিন্ন পদে, যেমন কমিউনিটি মেন্টাল হেলথ কাউন্সেলর, ক্রাইসিস সাপোর্ট ওয়ার্কার, কেস ওয়ার্কার, রেসিডেন্সিয়াল সাপোর্ট ওয়ার্কার, প্রিভেনশন ওয়ার্কার,এসারটিভ কমিউনিটি ট্রিটমেন্ট কেস ম্যানেজার, ফরেনসিক এন্ড হাউসিং কেস ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন। প্লেসমেন্ট করতে আসা বিভিন্ন ছাত্রদেরকে তিনি তাদের তত্ত্বগত জ্ঞানকে বাস্তবে রূপদানের জন্য তত্ত্বাবধান করেন। ক্লায়েন্টদের সাথে অসাধারণ কাজের জন্য হ্যামিলটন মেন্টাল হেলথ রাইটস কোয়ালিশন তাকে ২০০৮ সালে SCOPE পদকে ভূষিত করে। রায়ারসন ইউনিভার্সিটি প্রবীণদের জীবনমান উন্নয়নে অবদানের জন্য তাকে ২০০৬ সালে লাইফ ইনস্টিটিউট জ্যাক ব্রাউন পুরস্কার প্রদান করে। কানাডিয়ান অভিবাসীদের প্রতি অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য রয়েল ব্যাঙ্ক অফ কানাডা এবং কানাডিয়ান ইমিগ্র্যান্ট মেগাজিন তাকে ২০১৭ সালের ২৫ জন সেরা অভিবাসীর তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য মনোনীত করে। তিনি BCCB এর হেলথ কেয়ার ফোরামের নেতৃত্ব দিস্ছেন এবং BCCB এর জব সাপোর্ট টিমের সেচ্ছাসেবক কনসালটেন্ট হিসাবে সহায়তা করে যাচ্ছেন। জনাব মুকুল পরবাসিব্লগ. কমের প্রতিষ্টাতা সদস্যদের একজন এবং এই ব্লগের সূচনালগ্ন থেকে এর উন্নয়নে নিবেদিতপ্রাণ। তিনি পরবাসিব্লগের প্রধান এডমিনদের একজন। নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে কানাডার অভিবাসীদের তিনি নিয়মিতভাবেই সহায়তা করে যাচ্ছেন। তার বিশ্বাস সামান্যতম সহায়তা এবং সঠিক পথ প্রদর্শন করতে পারলে সমাজের বেকার, গৃহহীন বা পিছিয়ে পড়া মানুষরা সহজেই তার লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারেন। বদিউজ্জামান মুকুল মনে করেন যে, একা সফল হওয়ার থেকে সকলকে নিয়ে একটি স্বাগতপূর্ণ এবং সমৃদ্ধশালী কমিউনিটিতে বাস করার মধ্যে আনন্দ বেশি।
iPage Plan on sale only $1.99 – Unlimited Disk Space, Unlimited Transfer, Unlimited E-mails & Site building tools.
সৈয়দ মসিউল হাসান একযুগের ও বেশি সময় ধরে সামাজিক ও স্বাস্থ্যগত উন্নয়নের বিভিন্ন শাখা প্রশাখায় কাজ করে চলেছেন. তিনি ঢাকা, লন্ডন ও টরোন্টোতে পড়াশুনা করেছেন সমাজ বিজ্ঞান, ‘মেন্টাল হেলথ এন্ড কমিউনিটি কেয়ার’, ‘হেলথ এন্ড সোশ্যাল পলিসি’ এবং ‘কমিউনিটি মেন্টাল হেলথ কেস ম্যানেজমেন্ট’ নিয়ে. বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, হাউসিং ওয়ার্কার, টেলিফোন সাপোর্ট লাইন ওয়ার্কার হিসেবে কাজ করেছেন একশন এইড, ওয়াটার এইড, সেন্টার ফর এডিকশন এন্ড মেন্টাল হেলথ, সেন্ট ক্লেয়ার ওয়েস্ট সার্ভিসেস ফর সিনিয়র্স এবং লফ্ট কমিউনিটি সার্ভিসেসে. মসিউল হাসান লফ্ট কমিউনিটি সার্ভিসেসে কেস ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন গত পাঁচ বছর ধরে. সূচনা লগ্ন থেকেই তিনি পরবাসী ব্লগের সাথে জড়িত. মনস্তত্ব, মানবিক বোধ, সমাজকর্ম এবং অভিবাসী জীবনের টানাপোড়েন ফুটে উঠে মসিউল হাসানের লেখায়. তিনি পরবাসী ব্লগ.কমের প্রতিষ্টাতা সদস্য এবং পরবাসিব্লগের এডমিনদের একজন।
উন্নয়ন কর্মী হিসেবে এস এম জাকির হোসেন কাজ শুরু করেন ১৯৯৯ সালে। বাংলাদেশ থেকে এ যাত্রা শুরু করে তিনি লাইবিরিয়া, কানাডাসহ ১৫ টিরও বেশি দেশে স্বল্প ও দীর্ঘকালীন সময়ের জন্য কমিউনিটি উন্নয়ন, বয়স্ক শিক্ষা ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন। দৈনিক প্রথম আলো, যুগান্তর, সমকালসহ স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রিকা/ জার্নালে লেখালেখি করছেন প্রায় বিশ বছর যাবত। তাঁর লেখা “নিত্যদিনের আইন” বইটি শ্রাবণ প্রকাশনী, ঢাকা ২০০৫ সালে প্রকাশ করে। মানবাধিকার ও আইন বিষয়ে কনসালটেন্ট হিসেবে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (একসেস টু ইনফরমেশন প্রকল্প) ও মানবাধিকার কমিশনসহ অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছেন। সর্বশেষ লাইবেরিয়ায় কাজ করেছেন মানবাধিকার উপদেষ্টা হিসেবে। বর্তমানে তিনি সদ্য প্রতিষ্ঠিত রাইটসপ্লাস কানাডার নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি, কানাডায় আইন বিষয়ে তাঁর দ্বিতীয় মাস্টার্স (এল এল. এম) বিষয়ে পড়াশুনা শীঘ্রই সম্পন্ন হবে। জাকির হোসেন পরবাসী ব্লগের উপদেষ্টা মন্ডলীর একজন সদস্য।