সক্রেটিসের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঠিক আগ মূহুর্তে তাকে বলা হলো, তুমি যদি জ্ঞানচর্চা ছেড়ে দাও তবে তোমাকে মুক্ত করে দেয়া হবে। সক্রেটিস মুচকি হেসে বললেন, যখন কোন অলস অথর্ব অশ্ব দৌড়াতে চায় না, তখন তোমরা কি করো? ঐ অলস অথর্ব অশ্বের পশ্চাৎদেশ-এ একটা ডাঁসপোঁকা লাগিয়ে দিয়ে থাকো। ডাঁসপোঁকা কামড়াতে থাকে, সেই কামড়ের যন্ত্রণায় ঐ অশ্বটি প্রাণপণে দৌড়ায়।
আমি সক্রেটিসের জ্ঞানচর্চা হলো, এথেন্স নামক অলস অথর্ব অশ্বের পশ্চাৎদেশ-এ লেগে থাকা ডাঁসপোঁকা। আমি জ্ঞানচর্চা ছেড়ে দিলে, আমি বেঁচে যাবো কিন্তু এথেন্স আবারও অলস অথর্ব হয়ে যাবে।
……. অতঃপর জল্লাদ হেমলক পূর্ণ পানপাত্র তার দিকে এগিয়ে দিলো। তিনি তা পান করলেন এবং কতক্ষণ পায়চারি করে একটি সাদা চাদর মুড়ি দিয়ে শেষ শয্যা নিলেন।
——–
সক্রেটিসে বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগের মধ্যে মূল অভিযোগ ছিলো, প্রচলিত দেবতা এবং ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধাচারণ করে যুক্তি প্রদান এবং যুবসমাজকে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো মতো কাজ করা। যা তারা তাকে যুবকদের বিপথগামী করার অপরাধে অভিযুক্ত করে।
এথেন্সের তিন জন খ্যাতিমান পুরুষ সক্রেটিসের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। তারা হলেন…..
১) Melets—তখনকার এথেন্সের বিশিষ্ট কবি।
২) Lycon – তখনকার এথেন্সের বিশিষ্ট ধর্মীয় বক্তা।
৩) Anytas – তখনকার এথেন্সের বিশিষ্ট গণতান্ত্রিক নেতা।।।।।।।
