শ্রদ্ধেয় হুুমায়ূন আহমেদ স্যার নিউইয়র্কে একজন ক্যানসার বিশেষজ্ঞের চেম্বারে বসে ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করলেন, ” ডক. আমি কি মারা যাচ্ছি?” ডাঃ মুচকি হেসে বললেন, আমরা সবাই মারা যাচ্ছি।
ল্যাবএইড হাসপাতালে আমার এক নিকট আত্বীয় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে আকুতি ,” স্যার আমি মনে হয় আর বাঁচবো না”। ডাক্তার তাকে সান্তনা দিয়ে বললেন, আপনাকে আমি বাঁচাতে পারবো না, তবে যতক্ষণ বেঁচে আছেন আপনাকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করতে পারি, এর বেশি ক্ষমতা আমাকে দেয়া হয় নি।
আমার খুব পরিচিতা একজন গৃহিণী মাদ্রাজে এক নামকরা হাসপাতালের কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞকে প্রশ্ন করেছিলেন, আমি নিয়ম মেনে চলি না, কিন্তু কিছু মানুষ সারাটা জীবন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেও দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয় কেন? ডাক্তার তার সৌম্যদর্শন চেহারায় হাসি এনে বললেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর কোন সঠিক ব্যাখ্যা নেই, তবে আমার কাছে এর একটা ব্যাখ্যা আছে। আর তা হলো, মানুষের জন্য মৃত্যু অবধারিত এবং এর একটা কারণ থাকা প্রয়োজন, যে কারণ সৃষ্টিকর্তাকে দায়মুক্তি দেবে। তাই মৃত্যু সময় সন্নিকটে এলে মানুষের দেহে রহস্যজনক ভাবে “ডেথ পয়জন” সিক্রেশন হয়। এই “ডেথ পয়জন” শরীরের কোন না কোন অংশে আঘাত হানে বিভিন্ন রোগের নাম নিয়ে, যার ফলাফল হলো মৃত্যু।
আসলে এই “রহস্যময়” শব্দটাই বড় সত্য। রহস্যঘেরা ব্রহ্মাণ্ডের বড় রহস্য এবং সত্য হলো মৃত্যু।

* প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে। ( আল কোরআন, সুরা আল ইমরান, আয়াত- ১৮৫)।
* ঈশ্বর কতৃর্ক দেয়া আত্মা আমাদের জৈবিক দেহের মৃত্যুর পর আবার ঈশ্বরের কাছে ফেরৎ যাবে।
( বাইবেল, Eeelesastes 12:7)।
* আত্মা অমৃত, আত্মাই অবিনাশী, যার তিন কালে বিনাশ নাই, আত্মাই সৎ। দেহ নাশবান, তাই অসৎ। ত্রিকালে যার কোন অস্তিত্ব নেই।
( ২।।১৮ শ্রীমদভগবদগীতা)।
* বৌদ্ধমতেও মৃত্যু অবধারিত। তবে কর্মফল ভোগের জন্য আবার জন্মলাভ হবে, যাকে বলা হয়েছে,” অনাত্মা”।
——–
উৎস থেকে মোহনা।
মাঝপথে গতি পরিবর্তন,
নানান নামে নানান শাখায়,
অবশেষে মিলন সেই মোহনায়।

 

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন